বিশেষ প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রভাব খাটিয়ে সিরাজদীখান উপজেলার মিঠুন বাউল একাধিক অবৈধ কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সূত্র এবং প্রতিবেদকের কাছে থাকা একাধিক প্রমাণ অনুযায়ী, তিনি মদ, নারী, এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিত্তবৈভব গড়ে তুলেছেন।
মিঠুন বাউল নিজেকে কখনো যুবলীগ, কখনো স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতার পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন পোস্টারে নাম এবং ছবি ব্যবহার করেছেন। তার এসব পোস্টার বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে, যা রাজনৈতিক মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
মদ ও নারীঘটিত অনৈতিক কর্মকাণ্ড
প্রতিবেদকের কাছে থাকা ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, মিঠুন বাউল মাদক ও নারীর সঙ্গ উপভোগে লিপ্ত। একাধিক মেয়ের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ভিডিও প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে।
অবৈধ সম্পদের পাহাড়
আওয়ামী লীগের নেতাদের সান্নিধ্যকে কাজে লাগিয়ে তিনি পাগল নাজী উদ্দীন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। স্থানীয়দের দাবি, এ প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করে তিনি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া
স্থানীয় জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তাদের দাবি, মিঠুন বাউলের এই কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তারা শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে এর দ্রুত প্রতিকার দাবি করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা
এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করা হবে। তবে, এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।