,,,,,,, স্টাফ রিপোর্টার,,,,,
বন বিভাগ গ্রামীণ রাস্তার দুই ধারে সরকারি ভাবে লাগিয়েছিল বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। যেগুলো ইতোমধ্যে বেশ বড়ই হয়েছে। অনুমতি ছাড়াই এসব গাছ কাটার হিড়িক পড়েছে। ফলে রাস্তায় এখন আছে শুধু গাছের কাটা অংশের মূল। ঈশ্বরদী উপজেলার রেলওয়ে গেইট থেকে সাঁড়া ৫ নং ঘাট পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে এমন দৃশ্যই চোখে পড়ে। ঈশ্বরদী উপজেলা ও পাবনা জেলা বন বিভাগের কর্মকর্তাদের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মো. এনামুল কবির ও তার আস্থাভাজন ঠিকাদার মিলে সাবাড় করেছে প্রায় শতাধিক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার রেলওয়ে গেইট থেকে সাঁড়া ৫ নং ঘাট পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজ উপজেলা প্রকৌশলীর মৌখিক অর্ডারে শুরু করেছে ঠিকাদার। রাস্তার দুই ধারে বিশাল বিশাল গাছ থাকায় প্রকৌশলীর অর্ডারে রাতের আধারে ভেকুদিয়ে কেটে ফেলছে প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ব্যক্তিরা। গভীর রাতে গাছ কেটে সরকারি সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। এখনও অনেক কাটা গাছ পড়ে রয়েছে রাস্তার মধ্যে।
উপজেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে গাছগুলো রাস্তার ধার দিয়ে সরকারি জায়গায় রোপণ করা হয়েছিল। কিন্তু সেগুলো এখন রাতের আঁধারে কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইসমাইল হোসেন জানান, আমি গাছ কাটার ঘটনা লোকমুখে শুনতে পেয়েছি। তবে রাস্তার কাজ করার স্বার্থে গাছ কাটার দরকার হলে অবশ্যই বন বিভাগ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছ কাটার ব্যবস্থা করা উচিত ছিল। এলজিইডি কর্মকর্তা আমাকে বা আমার অফিসকে পূর্বে অবগত করেন নাই বা নিয়মানুযায়ী গাছ কাটার অনুমোদনও নেননি। তাদের এ অনিয়মের অংশীদার আমি হতে পারবো না।
উপজেলা প্রকৌশলী মো. এনামুল কবিরের কাছে গাছ কাটার বিষয়ে জানার জন্য বারবার তার মুঠোফোনে কল করে তাকে পাওয়া যায়নি।