মোঃশাহেদুল ইসলাম
স্টাফ রিপোর্টার।
গর্ভবতী মায়ের পেটে থাকা ৫মাসের সন্তান মৃত বলে সেই মৃত সন্তানকে মায়ের পেট থেকে বের করতে হবে জানিয়ে ১৮ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ডাঃ ফাহীম তাসনুভার বিরোদ্ধে। যার বিএমডিসি নং ৬০৮৩৩। ডাক্তার ফাহিম তাসনুভা কক্সবাজারে কক্স ন্যাশনাল হাসপাতালে এই গর্ভপাত করান বলে জানা গেছে । ভোক্তভোগী মহিমাতুল সানজিন (১৯) এখন জীবন মৃত্যুর সাথে লড়ছেন বলে জানান তার স¦ামী মোঃ আব্দুল্লাহ আল ইমরান। এই দম্পতি কুতুবদিয়া, উপজেলার মধ্যম আমজাখালী ৪নং ওয়ার্ড়ের বড়ঘোপ এলাকার বলে জানা যায় । তবে বর্তমানে কক্সবাজারের দক্ষিণ তারাবনিয়ারছড়ায় বসবাস করছেন।
এবিষয় নিয়ে ভোক্তভোগির স্বামী ইমরান কক্সবাজার মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করছেন যা প্রতিবেদকের কাছেও একটি সংরক্ষণ রয়েছে । অভিযোগে মহিমাতুল সানজিদার স্বামী ইমরান জানান, আমার স্ত্রী মহিমাতুল সানজিন (১৯) অন্তসত্তা হওয়ার পর থেকে ডাঃ ফাহীম তাসনুভার অধীনে চিকিৎসাধীন ছিল। আমার স্ত্রী মহিমাতুল সানজিন ৫ মাসের অন্তঃসত্তা অবস্থায় রক্ত ক্ষরণ হলে ডাক্তারকে জানানো হয়। তখন তিনি আমার স্ত্রীকে চেম্বারে নিয়ে আসতে বলে। আমার স্ত্রীকে ডাক্তার শারীরিক পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আমাকে জানায় তার গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়ে গেছে। অন্তঃসত্তা সন্তান বের করতে হলে ১৮ হাজার টাকা দিতে হবে। আমি টাকা ব্যবস্থা করে দিই। প্রায় ৮/১০ মিনিট অপারেশন থিযেটারে রাখার পর বাচ্চা বাহির করে ফেলেছে বলা হয় আমাকে। ডাক্তারের কথা মতে গত ১০ জানয়ারী রাত অনুমান ২টার সময় রোগীকে বাসায় নিয়ে আসি। পরবর্তীতে পরের দিন গত ১০ জানুয়ারী দুপুরে ঔষধ খাওয়ার দেড় ঘন্টা পর আমার স্ত্রী প্রস্রাবের জন্য বাথরুমে গেলে ঐ সময় মৃত ৫ মাস বয়সী সন্তান বের হয়ে আসে।
এদিকে এ বিষয়ে ডাঃ ফাহীম তাসনুভার সাথে কথা হলে তিনি জানান, নিজে তাদের ডেকে আনি নাই। তারা নিজেরাই আমার কাছে এসেছে । ডাক্তার হিসাবে আমার দায়িত্ব রোগিকে বাচাঁনো । আমি তাই করেছি । রোগী যখন আমার কাছে আসে তখন দেখি তার পেটের বাচ্চাটি মৃত । আমি মাকে বাচাঁতে বাচ্চা মায়ের পেট থেকে পরিস্কার করেছি নিয়ম মেনে। তাদের বলা হয়েছিল হাসপাতালে যেন থাকে । কিন্তু আমার কথা না শুনে রোগীর স্বামীর তার আরেক আত্মীয় তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়। আমাকে জড়িয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছে জানতে পেরেছি । আপনারা থানায় ওসি সাহেবের ওখানে যান বিস্তারিত জানতে পারবেন। তিনি আরো বলেন, একটি সিন্ডিকেট আমার নাম খারাপ করতে এমন অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি ইউনিয়ন হাসপাতালে আসার পর থেকে এমন অনেকবার আমাকে নিয়ে বির্তকে আনার চেষ্টা করেছে। যারা এই অভিযোগ করেছে তাদের পেছনে দালালচক্র কাজ করছে।
এদিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইলিয়াস খান জানান, এই বিষয়ে এখনো আমি অবগত নই । বিস্তারিত জেনে জানাতে পারবো।