বিএম মহসিন….
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বারোপাড়া ইউনিয়ন এর দুর্গাপুর গ্রামে ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলা ভাংচুর আহত ৪,
থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা যায় দুর্গাপুর গ্রামের মৃত আবদুল মান্নান এর পুত্র ও শ্রীনিবাস গ্রামের মিজানুর রহমান এর পুত্র মো : নাজমুল হাছান জেলখানা বাড়ি থেকে সকাল আনুমানিক ১১ টার দিকে মোটর সাইকেল যুগে বিজয়পুর বাজারে যাওয়ার পথে বিশ্বরোড় থেকে আসা একটি সিএনজি কুমিল্লা চাঁদপুর মহাসড়কের ফ্রন্ট লাইনে কোন সিগনাল বা সংকেত না দিয়ে হঠাৎ সিএনজি গাড়িটি রংসাইডে ঘুরিয়ে দেয় এতে পিছনে থাকা২ মোটর সাইকেল আরোহী
রাস্তায় পড়ে গিয়ে সামান্য আহত হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মোটরসাইকেল আরোহী ঐ সিএনজি চালককে জিজ্ঞেস করে
কেনো সিগনাল না দিয়ে গাড়ি গুরিয়ে দিলো তখন সিএনজি চালক তার ভুল স্বীকার না করে উল্টো লোকজনের সাথে দুর্ব্যবহার করে এ নিয়ে মোটরসাইকেল ও সিএনজি চালক এর মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়
এক পর্যায়ে দুই পক্ষ অঘটনাস্থল থেকে যার যার অবস্থানে চলে যায়।
এদিকে সদর দক্ষিণ উপজেলার সালমানপুর গ্রামের তাজুল ইসলাম এর পুত্র সিএনজি চালক মো: তুহিন
সিএনজি চালক তুহিন পিতা: তাজুল ইসলাম গ্রাম সালমানপুর,
ঐ সিএনজি চালকের বোনের বাড়ি ঘটনাস্তলের পাশেই গাংকুল কলনি বাড়ি
সে মোবাইলে ফোন করে তার বোনের আত্মীয়-স্বজনদের দেশীয় অশ্রস্ত্র নিয়ে দুর্গাপুর গ্রামের সোলেমানের বাড়িতে আক্রমণ হামলা করার কথা বলে
খবর পেয়ে গাংকুল গ্রাম থেকে মো: সুমন পিতা: সিরাজুল ইসলাম, বিল্লাল হোসেন পিতা : ভান্ডারী, মোস্তফা মিয়া পিতা : নুরু মিয়া,আনোয়ার হোসেন প্রকাশ (কালা মিয়া) পিতা: আক্তার হোসেন, মিন্টু পিতা: বিল্লাল হোসেন, জসিম পিতা : আবদুল হালিম, জাকির হোসেন পিতা : শফিকুল ইসলাম সহ অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র
নিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় দুর্গাপুর গ্রামে এসে সোলেমান এর বসত ঘরে অতর্কিতভাবে হামলা করে এসময় সোলেমান এর স্ত্রী রিনা আক্তার ও তার কলেজ পড়ুয়া বোন ভাংচুর করার সময় বাধা দিলে তাদের কে পিটিয়ে আহত করে এবং ঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে, একপর্যায়ে হামলাকারীরা ঘরে ঢুকে মোটর সাইকেলে আহত হওয়া সোলেমান ও নাজমুল হাছানকে ঘরে ডুকে মারধর করে ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয়দের বাঁধার মুখে উশৃংখল ও বখাটেদের কাছে থাকা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।
এই ঘটনায় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: কামাল হোসেন ঘটনাস্থলে এসে আহতদের কে চিকিৎসা নেওয়ার পরামর্শ দেন
এবং বাড়িতে এসে ভাংচুর ও মারধর করার বিষয় দুঃখ প্রকাশ করেন সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন
এই ঘটনা আহত রিনা আক্তার বাদি হয়ে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ বিষয় তদন্ত কারি অফিসার এস আই মাইন উদ্দিন বলেন আমি তদন্ত করে ঘটনার সঙ্গে
জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
হামলার বিষয় সিএনজি চালক তুহিন বলেন আমি সিএনজি নিয়ে যাওয়ার পথে ২ মোটর সাইকেল এসে আমার গাড়িতে লাগিয়ে দেয় এবং আমাকে মারধর করে আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি হামলার বিষয়ে জানিনা।
হামলার সঙ্গে জড়িত সুমন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে ঘটনার বিষয় জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন।