আরিফুল ইসলাম কুষ্টিয়া.প্রতিনিধিঃ
পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর কুষ্টিয়ার গড়াই রেলসেতুর গুরুত্ব বেড়েছে বহুগুণ। এই রেল সেতুর উপর দিয়ে দিনে ০৪ টি আন্তঃনগর, ০১ টি কমিউটার ও ০২ টি শাটল ট্রেন আপ-ডাউন করে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের থেকেও বয়স বেশি এই ব্রিজটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রথম মেজর রেলব্রিজ।
ইস্টার্ন বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃক নির্মিত গড়াই রেলসেতুটি বাংলাদেশ ভূখণ্ডের প্রথম মেজর রেলওয়ে ব্রিজ। সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৮৬৫ সালে এবং এই সেতুর মাধ্যমে গড়াই নদীর উভয় পাড়কে সংযুক্ত করে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সেকশন চালু হয় ১ জানুয়ারি ১৮৭১ তারিখে।
স্টিল পাইল ফাউন্ডেশনের উপর নির্মিত এটিই বাংলাদেশের প্রথম সেতু। ৮টি পিয়ারের উপর স্থাপিত এর ৭টি মেজর স্প্যান (১৮৫ ফুট করে প্রতিটি) এবং পশ্চিম প্রান্তে সংযুক্ত একটি ভায়াডাক্ট মিলিয়ে সেতুটির সর্বমোট দৈর্ঘ্য ৫১৫ মিটার। সেতুটির উপর একটি ব্রডগেজ রেললাইন রয়েছে। সেতুটির সুপারস্ট্রাকচার হিসেবে Pratt Steel Truss দিয়ে ৭টি স্প্যান নির্মিত হয়েছে, যেগুলো পিয়ারের উপর বসানো হয়েছে Rocker টাইপ বিয়ারিং দিয়ে। পশ্চিম প্রান্তের ভায়াডাক্টটি স্টিল বক্স গার্ডারের তৈরি এবং Shear Pad বিয়ারিং এর উপর বসানো।
কিন্তু বর্তমানে অধিক গুরুত্ব বহন করা এই সেতুতে সংস্কারের অভাবে মরিচা ধরে ভঙ্গুর হয়েছে পিয়ার স্ট্রাকচারগুলো। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ, বড় কোনো দূর্ঘটনা ঘটার পূর্বেই সংস্কার করা হোক রেল সেতুটি।