মো. জাকির হোসেন সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি:
ঘন কুয়াশার কারণে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে গতকালের মত আজ বৃহস্পতিবারও সকাল থেকে ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ রয়েছে। সেই সাথে নীলফামারীসহ দেশের উত্তরাঞ্চলে দৃষ্টিসীমা কম থাকায় কোন বিমান উঠানামা করেনি। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে। ধীর গতির কারণে সড়ক পথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচগুলো ৪-৫ ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। ট্রেনগুলোও চলাচল করছে নির্ধারিত সময় থেকে ২-৩ ঘন্টা বিলম্বে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ লোকমান হোসেন বলেন, ‘মধ্যরাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে এ অঞ্চল। দুপুর ১২টায় সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রানওয়েতে দৃষ্টিসীমা ছিল মাত্র ৮০০ মিটার। যা ফ্লাইট উঠানামার জন্য যথেষ্ট নয়। এর ফলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বাংলাদেশ বিমানসহ বেসরকারি কোম্পানির ৪টি ফ্লাইট সৈয়দপুরে অবতরণ করেনি।
তিনি আরও বলেন, ঘন কুয়াশায় সঙ্গে পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬-৭ কিলোমিটার বেগে হিমেল বাতাস বইছে। এ বায়ু প্রবাহের কারণে দ্রুত ঘন কুয়াশা কেটে যাচ্ছে। তারপরেও বেলা ১টার আগে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। এই অঞ্চলে আজ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সৈয়দপুর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ওবায়দুল ইসলাম রতন জানান, ঘন কুয়াশার কারণে ট্রেনগুলো ধীর গতিতে চলাচল করছে। এর ফলে ঢাকা-চিলাহাটি রুটের ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’ ও ‘চিলাহাটি এক্সপ্রেস’ এবং খুলনা-চিলাহাটি রুটের ‘রুপসা এক্সপ্রেস’ ও ’সীমান্ত এক্সপ্রেস’ ১-২ ঘণ্টা দেরিতে চলাচল করছে। কুয়াশা কেটে গেলে এ সমস্যা থাকবে না বলে জানান তিনি।
সৈয়দপুর শহরের দূরপাল্লা নাবিল পরিবহনে’র কমিশন এজেন্ট রবিউল আলম রবি জানান, রাত ১১টার পর ঘন কুয়াশার কারণে মহাসড়কের যানবাহনের চালকেরা ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালিয়েছেন। এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা উত্তরাঞ্চলের নৈশ কোচগুলো ৩-৪ ঘণ্টা দেরিতে গন্তব্যে পৌঁছেছে।
সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার সুপ্লব কুমার ঘোষ বলেন, ঘন কুয়াশার কারণে ইউএস-বাংলা, নভোএয়ার ও বাংলাদেশ বিমানের ৪টি ফ্লাইট হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করেনি। সকাল ১০টা ৫০ মিনিট থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে ওই সব ফ্লাইট সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার সময়সূচি ছিল। এসব ফ্লাইট বাতিলের সম্ভাবনা এখনো নেই। কুয়াশা কেটে গেলে ফ্লাইট চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানান তিনি।