মোঃ আরফাতুল ইসলাম (সানি) চকরিয়া প্রতিনিধি: সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টায় পৌরশহরের চিরিঙ্গা কক্সবাজার মহাসড়কে এ মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাইজিং স্টার ফাউন্ডেশন, নূরানী কাফেলা, স্বপ্নচূড়া ফাউন্ডেশনসহ দেড়ডজন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠনের কর্মকর্তা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে অংশগ্রহণ করেন কয়েক হাজার সর্বস্তরের নারী-পুরুষ।
মানববন্ধন কর্মসূচির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন চকরিয়া পৌরসভা জামায়াতের আমীর মো. আরিফুল কবির, সেক্রেটারি মাওলানা কুতুব উদ্দিন হেলালী, সাবেক কমিশনার মো. সেলিম, চকরিয়া পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শহিদুল ইসলাম ফোরকান, চকরিয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবদুল মজিদ, নূরানী কাফেলার সভাপতি সৈয়দ মুহাম্মদ রাসেল, ৯নং ওয়ার্ড জামায়াতের আমীর মো. এহসানুল হক, সেক্রেটারি মাওলানা জসিম উদ্দিন হেলালী, রাইজিং স্টার ফাউন্ডেশনের সভাপতি মামুনুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক আরমানুল ইসলাম ও ভুক্তভোগি সাংবাদিক আবদুল হামিদ।
মানববন্ধনের সমাবেশ থেকে বক্তারা বলেন- জোড়া হত্যার খুনি শওকত হাসান মেহেদীর ফাঁসি এবং জড়িতদের গ্রেফতার পরবর্তী দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় প্রশাসনের কাছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার ১৭জানুয়ারি পারিবারিক মনোমালিন্যতার জের ধরে চকরিয়া পৌরসভার ভাঙ্গারমুখ এলাকার বাসিন্দা নূরানী কাফেলার সহ-সভাপতি সাংবাদিক আবদুল হামিদের মেয়ে উম্মে হাফসা তুহিকে মেয়ের বাড়িতেই ছুরিকাঘাতে হত্যা করে জামাতা টিকটকার শওকত হাসান মেহেদী।
একইদিন পুরুষ শূণ্যতার সুযোগে তার শ্বাশুড়ি তথা সাংবাদিক আবদুল হামিদের সহধর্মীনিকেও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করা হয়। তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত চিকিৎসকের পরামর্শে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দুই সপ্তাহ ভর্তি থাকার পর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে; আইসিইউতে শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ভোর ৫টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনিও মারা যান।