1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
চরফ্যাসনে পানিতে ভাসছে ঘরের চাল, ভাসছে মানুষ ও গবাদিপশু  - Bikal barta
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শনিবার| দুপুর ১২:১৭|

চরফ্যাসনে পানিতে ভাসছে ঘরের চাল, ভাসছে মানুষ ও গবাদিপশু 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, মে ২৮, ২০২৪,
  • 128 জন দেখেছেন

 

হাবিবুর রহমান মিরাজ

চরফ্যাসন)প্রতিনিধি:

পরিস্থিতিকে লণ্ডভণ্ড বললেও কম বলা হবে,

উতাল- পাতাল বাতাস আর ঝড়ো হাওয়ায় রীতিমতো তছনছ হয়ে গেছে চারপাশ। ঘরের চাল উড়ে কোথায় চলে গেছে জানেন না বাসিন্দারা। তীব্র বাতাসের তোরে খোলা আকাশের নিচে থাকার ও উপায় নেই। আবার হয়তো চাল উড়ে যায়নি কিন্ত ঘরের মধ্যে ঢুকে পড়েছে পানি তাতে ভেসে গেছে বিছানা বালিশ ও খাবার-ধাবার। পানিতে ভাসছে টিনের আস্তো চাল, ভাসছে মানুষ গাছ উপড়ে গেছে আবার কোথাও কোথাও গাছের বড় ডাল ভেঙে গিয়ে পড়েছে টিনের চালে। পরিস্থিতি ভয়াবহ হওয়ার আগেই কোন -কোন পরিবার আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছিলেন।কিন্ত সোমবার সকালে ফিরে দেখেন ঘরটি আর নেই। কখন ও জীবিত আবার কখনও পানিবন্দি হয়ে মারা যাওয়ার পর ভেসে গেছে গবাদিপশু।

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে এমন ধ্বংসাযজ্ঞ দেখা গেছে ভোলা চরফ্যাসন উপজেলায়। বিশেষ করে ঢাল চর,চর কুকরি মুকরি,মুজিবনগরসহ উপকূলীয় অঞ্চলের হাজারীগঞ্জ, জাহানপুর,রসুলপুর, চর মানিকা,চর পাতিলা, নজরুল নগর,নুরাবাদ, আহাম্মদ পুর,নীলকমল, চর কলমী এলাকা রীতিমতো পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার বাসিন্দারা বেঁচে এক দুর্বিসহ পরিস্থিতিতে। ঢাল চরের ইসরাফিল হালাদার জানান, পানি উঠে ঢালচরের অনেক ঘর ডুবে গেছে, গাছ পড়ে ঘর ভেঙ্গে গেছে এবং গরু ছাগল অনেক মারা গেছে।

চরপাতিলার কয়েকজন বাসিন্দারা জানান, আমাদের থাকার জায়গাটুকু পানিতে তলিয়ে গেছে। আমাদের চেয়ারম্যান সাহেব খাবারের ব্যবস্থা করেছেন।গোটা চরফ্যাসন উপজেলার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে।মোবাইল টাওয়ারগুলোতে সমস্যা হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।

ভিটে মাটি পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় সেখানকার প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ খাবার রান্না করতে পারছে না।

খেয়ে না খেয়ে পানিতে ভাসছেন তারা

এভাবে কতক্ষণ টিকে থাকতে পারবেন সেটা জানেন না ।

চরফ্যাসন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা নওরীন হক জানান, উপজেলার ২১ টি ইউনিয়নে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তবে সেটার পরিমান এখনো নির্ধারন করা সম্ভব হয়নি। এ ব্যাপারে প্রশাসন কাজ করছে। পাশাপাশি অসহায় এসব মানুষদের পাশে দাড়াতে বিত্তবানদের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!