আব্দুস শহীদ শাকির জকিগঞ্জ সিলেট থেকে: কাজের বুয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর আব্দুল মতিন (৬০)-এর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়েছে।অভিযুক্ত ধর্ষক, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসে পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত। ধর্ষিতার বাড়ি জকিগঞ্জ উপজেলার বিরশ্রী ইউনিয়নের পিয়াইপুর গ্রামে। দীর্ঘ চার-পাঁচ বছর ধরে স্বামী সন্তানসহ জকিগঞ্জ পৌর শহরের হাইদ্রাবন্দ এলাকার একটি ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন।মামলা সূত্রে জানা যায়- ধর্ষিতা সংসারের অভাব অনটনের কারণে হাইদ্রাবন্দ এলাকার বিভিন্ন বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করেন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। প্রায় দেড় বছর ধরে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তাদের ওই বাসায় সে গৃহকর্মীর কাজ করে আসছে। অভিযুক্ত আব্দুল মতিনের পূর্বে ওই বাসার ভাড়াটিয়া ছিলেন জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের পাওয়ার ইউজ কো-অর্ডিনেটর আনিসুর রহমান। চার-পাঁচ মাস পূর্বে তিনি বদলির কারণে তিনি চলে গেলে একই বাসা ভাড়া নেন অভিযুক্ত আব্দুল মতিন। পূর্বে ন্যায় ধর্ষিতা লম্পট আব্দুল মতিনের চার-পাঁচ মাস থেকে রান্নাবান্নার কাজ করে আসছে। কাজের সুবাদে লম্পট আব্দুল মতিন টাকা পয়সা লোভ লালসা ও বিভিন্ন হুমকি দিয়ে জোরপূর্বক বিভিন্ন সময়ে ধর্ষন করেছে। সর্বশেষ গত (৮ সেপ্টেম্বর) রবিবার প্রতিদিনের ন্যায় লম্পট আব্দুল মতিন অফিস মধ্যবর্তী সময়ে মধ্যাহ্নভোজে এসে হঠাৎ ঘরে দরজা বন্ধ করে তাকে জড়িয়ে ধরে জোরপূর্বক বিছানায় ফেলে টানা তিনবার ধর্ষণ করে। পূর্ব পরিচিত হওয়ায় বিষয়টি সাবেক পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা (পিউসি) আনিসুর রহমানকে অবগত করে ধর্ষিতা। আনিসুর রহমান ও অভিযুক্ত আব্দুল মতিন মিলে ধর্ষণের বিষয়টি টাকা পয়সার বিনিময়ে দামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেলে মেনে নেন নি ধর্ষিতা। একপর্যায়ে বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হয়ে গেলে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ধর্ষিতা বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।ধর্ষণের শিকার ওই কাজের বুয়া (ছন্দ নাম) মিসু বেগম (৩৩) বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ অফিসার মতিন স্যারের ৮ সেপ্টেম্বর যে ঘটনাটা ঘটাইছে ইয়া মানুষের সামনে বলা যায় না, ইজ্জত যায়। আমি তার কঠিন বিচার চাই। জকিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের (পিউসি) আব্দুল মতিন বলেন, এটি পূর্ব পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্র। তার কাজের টাকা পরিশোধ করার পরেও সে আমার কাছে ২ হাজার টাকা দাবি করে বসে। সে আমার কাছে কোন টাকা পাওনা নাই বললে ক্ষোব্ধ হয়ে চিনাইবে বলে চলে যায়। এরপর আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের মাধ্যমে ন্যায় বিচার কামনা করছি। মামলার বিষয় সত্যতা নিশ্চিত করেন জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ তরফদার বলেন, মামলা রেকর্ড করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।