সুদীপ্ত মিস্ত্রী খুলনা ব্যুরোঃ
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা কৃষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে প্রোগ্রাম অন এগ্রিকালচারাল এ্যান্ড রুরাল ট্রান্সফরমেশন ফর নিউট্রিশন, এন্টারপ্রেনারশিপ এ্যান্ড রেসিলিয়েন্স ইন বাংলাদেশ (পার্টনার) প্রকল্পের আওতায় দিনব্যাপী কৃষক GAP সার্টিফিকেশন” দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ ইনসাদ ইবনে আমিন তুহিন’র সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন প্রকল্পের সিনিয়র মনিটরিং অফিসার PARTNER projed মোঃ মোসাদ্দেক হোসেন।
প্রশিক্ষক হিসেবে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ হামিদুল ইসলাম ও অধির কুমার বিশ্বাস দিন’ব্যাপী এ অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন।
বিশ্বব্যাপী খাদ্য সামগ্রী আমদানি ও রপ্তানির ফলে খাদ্য শৃঙ্খল জীবাণু সমূহের সংক্রমণ এবং বিস্তৃত ঘটার আশংকা থাকে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় ধরনের ঝুঁকি। এ প্রেক্ষাপটে নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানে সমধিক গুরুত্ব দিয়ে বিভিন্ন দেশ কর্তৃক খাদ্য আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হচ্ছে। কৃষি উৎপাদনে ফসলে নিরাপদ খাদ্য সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহ হলো প্রয়োগকৃত রাসায়নিকের অবশিষ্টাংশ, দূষণকারী বস্তুর উপস্থিতি, পোকামাকড়, রোগ সৃষ্টিকারী অণুজীব, বাহ্যিক সংক্রামক ইত্যাদি। এছাড়া, খাদ্য অন্যান্য বস্তু যথা- ভারী ধাতব বস্তু বা বিষাক্ত দ্রব্যের উপস্থিতি। নিরাপদ খাদ্য বিষয়ক বিপত্তি (Hazard)/ঝুঁকি (Risk) খাদ্য শৃঙ্খলের যে কোনো পর্যায়ে ঘটতে পারে, তাই খাদ্য শৃঙ্খলের প্রত্যেক স্তরেই নিরাপদ খাদ্য সংক্রান্ত সমস্যা প্রতিরোধ বা দূরীভূত করা প্রয়োজন। খাদ্য শৃঙ্খলের সকল স্তরে সুনির্দিষ্ট অনুশীলনসমূহ সঠিকভাবে অনুসরণ করাই হচ্ছে উত্তম কৃষি চর্চার মূল ভিত্তি। উত্তম কৃষি চর্চা অনুসরণের নিরাপদ খাদ্য প্রাপ্তির লক্ষ্যে খাদ্য শৃঙ্খলের প্রাথমিক অর্থ্যাৎ কৃষক পর্যায় থেকে প্রতিটি স্তরে প্রত্যেক কর্মীকে তার নিয়ন্ত্রণাধীন বিষয়ে দায়িত্বশীল থেকে সকল কার্যক্রমের বিবরণ যথাযথভাবে লিপিবদ্ধ ও সংরক্ষণ করা আবশ্যক। উৎপাদনকারীকে নিশ্চয়তা দিতে হবে যে উৎপাদিত পণ্য খাদ্য হিসেবে ঝুঁকিমুক্ত ও নিরাপদ। এক্ষেত্রে উৎপাদকের পাশাপাশি প্যাকেজিং, সরবরাহ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ ইত্যাদি প্রক্রিয়ায় সকলেরই দায়িত্ব রয়েছে খাদ্যকে নিরাপদ এবং মানসম্পন্ন রাখা। উত্তম কৃষি চর্চা বাস্তবায়নের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসল খাদ্য হিসেবে গ্রহণ স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। কারণ উৎপাদনের সকল স্তরে খাদ্যমান, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, কর্মীদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং কল্যাণ সাধন নিশ্চিত হবে।
দিন ব্যাপী এ প্রশিক্ষণে ৫০ জন কৃষক অংশগ্রহণ করেন এবং প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষনার্থী কৃষকদের মাঝে সনদপত্র প্রদান করা হয়।