আ: ছাত্তার মিয়া নরসিংদী:
নরসিংদী শিবপুর যশোর ইউনিয়নের দেবালেরটেকে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নরসিংদীর রায়পুরা থানার বটতলি খামারপাড়া এলাকার শেখ ফরিদ (৩৫), শিবপুর থানার নৌকাঘাটা এলাকার আবুল কাশেম (৪২), নরসিংদী সদর থানার চস্পকনগর এলাকার নূরুল ইসলাম (২৯), রায়পুরা থানার দড়িবালুয়াকান্দি এলাকার মোক্তার হোসেন (৪৪), চর-আড়ালিয়া এলাকার আল আমিন (২৯) ও নরসিংদী সদর থানার বকশালীপুরা এলাকার রাজিব (২২)। এ ছাড়া লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়ের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয় পলাশ থানার ভাটপাড়াদিঘির পাড় এলাকার শিপন চন্দ্র সূত্রধর।
পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, গত ২৬ জানুয়ারি দিবাগত রাতে শিবপুর থানাধীন যশোর বাজার ইউনিয়নের দেবালেরটেক এলাকার হাজী মো. মেজবাহ উদ্দিন মেজুর বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ১০ থেকে ১২ জনের ডাকাত দলটি টিনশেড ঘরের বারান্দার গ্রিল কেটে ঘরে প্রবেশ করে। এ সময় সাত জন ডাকাত রুমে প্রবেশ করে গৃহকর্তার স্ত্রীকে ছুরি ও পাইপগান ধরে জিম্মি করে আলমারির তালা ভেঙে ১৯ লাখ লুট করে। এ ছাড়াও শরীরে থাকা স্বর্ণের গয়না ছাড়াও আলমারিতে রক্ষিত ১৭ লাখ ৩৪ হাজার টাকা মূল্যের প্রায় ১৬ ভরি স্বর্ণালংকারসহ একটি বাটন মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। ডাকাতরা নগদ টাকাসহ মোট ৫৩ লাখ ৩৬ হাজার টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী শিবপুর থানায় মামলা করেন।
এসপি আরও বলেন, ‘মামলা দায়েরের পরে আমিসহ জেলা পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং ডিবি পুলিশ তদন্ত শুরু করে। ডাকাতির সময় লুণ্ঠিত মালামাল ক্রয়কারী শিপন চন্দ্র সূত্রধকে গ্রেপ্তারসহ তাদের কাছ থেকে ডাকাতিতে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেটকার, নগদ অর্থ, ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পাইপগান ও চার রাউন্ড গুলি জব্দ করা হয়।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে এর আগেও ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। জড়িত অন্য আসামি গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত আছে এবং গ্রেপ্তারদের আদালতে পাঠানো হবে।