স্টাফ রিপোর্টার:
নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার শীলমান্দী গ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধার বসতবাড়ীতে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ মোস্তফা মিয়া, পিতামৃত— মূসকত আলী থানা ও জেলা নরসিংদী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১, বিবাদী মোঃ জাহাঙ্গীর আহমেদ (৪০), পিতা— মোঃ গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, সাং— বাগহাটা, ২,মোহাম্মদ জুয়েল মিয়া (৪৫), ৩, মোঃ সবুজ সরকার (২৮), ৪, মোঃ হানিফ মিয়া (৩৮), সর্ব সাং— মধ্য শীলমান্দী, ৫,শরীফ মিয়া ওরফে টাইগার শরিফ (৩০), ৬,মোঃ কাইয়ুম সরকার (৩৫), ৭, বাদল ভূইয়া (৩০), ৮, ইয়াছিন (৩২), উভয় পিতা— জামান ডাক্তার, সাং— শধ্য শীলমান্দী, ৯, তপু মিয়া (৩২),১০, মাসুম (৩৫), (১১) ইসমাইল (৩০), পিতা— অজ্ঞাত, সাং— দক্ষিন শীলমান্দী, সর্ব থানা ও জেলা— নরসিংদী সহ আরো অজ্ঞাতনামা আরো ১৪/১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন বিবাদীরা খুবই খারাপ এবং উচ্ছৃংখল ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। পক্ষান্তরে ভুক্তভোগী নরসিংদী থানাধীন শধ্যশীলমান্দি পশ্চিমপাড়া ঈদগাহের সভাপতি হিসেবে নিয়োজিত আছেন। ৭ ও ৮নং বিবাদীদ্বয়ের পিতা— জামান ডাক্তারের সহিত উক্ত ঈদগাহের জায়গার বিষয় নিয়ে পূর্ব হইতেই বিরোধ থাকায় উক্ত বিরোধের বিষয়টি সমাধানের লক্ষ্যে গত: ০৮/০৪/২০২৪ইং তারিখ সকাল অনুমান ১১.০০ ঘটিকার সময় নরসিংদী থানাধীন মধ্য শীলমান্দী পশ্চিমপাড়া ঈদগাহ মাঠে এই গ্রাম্য শালিস বসানো হয়। বিচার শালিস চলার এক পর্যায়ে ১নং বিবাদী মো: জাহাঙ্গীর আলম সহ তাহার সঙ্গীয় অন্যান্য বিবাদীরা বে—আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে তাহাদের হাতে থাকা দেশীয় তৈরি অস্ত্র—সস্ত্র লইয়া শালিসীতে প্রবেশে করিয়া ৭ ও ৮নং বিবাদীদ্বয়ের পিতা— জামান ডাক্তারের দাবীকৃত ঈদাগাহের জায়গা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বিভিন্ন ধরনের ভয়—ভীতি ও হুমকী প্রদান করিয়া শালিসী দরবার ভন্ডুল করিয়া দিয়া চলে যায়। পরবতীর্তে গত: ০৯/০৪/২০২৩ ইং তারিখ বেলা ১২.৩০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন সহ তাহাদের সংগীয় অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন বিবাদী একটি দল প্রাইভেটকার ও ১০/১২ টি মোটর সাইকেল যোগে তাহাদের হাতে থাকা রামদা, চাপাতি, দা, লোহার পাইপ, রড লাঠিসোটা ইত্যাদী দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজ্বি মো: মোস্তফা মিয়ার বসতবাড়ীর বাউন্ডারী গেইট বাইরাইয়া ভাংচুর করে বাড়ীর ভিতরে প্রবেশ করিয়া ১নং বিবাদী স্থানীয় চেয়ারম্যান সু পুত্র মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের হুকুমে ২নং বিবাদী মো:জুয়েল তাহার হাতে থাকা লোহর পাইপ দিয়া বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মিয়ার কোমড়ে স্বজোড়ে বাড়ি মারিয়া হাড় ভাঙ্গা গুরুত্বর জখম করে। ৩নং বিবাদী সবুজ মিয়া তাহার হাত দিয়া আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় চাপ দিয়া শাসরুদ্ধ করার চেষ্টা করে। তখন তাহার স্ত্রী শাহনাজ বেগম আগাইয়া আসিয়া মোস্তফা মিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা করিলে ৪ ও ৫নং বিবাদীদ্বয় মোস্তফা মিয়ার স্ত্রীকে গলায় ধাক্কা মারিয়া মাটিতে ফেলিয়া দেওয়ার পর ৭নং বিবাদী তাহার স্ত্রীর গলায় থাকা ১২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইট মূল্য অনুমান ৭০,০০০/— (সত্তর হাজার) টাকা এবং ৮নং বিাবদী বীর মুক্তিযুদ্ধা মোস্তফা মিয়ার স্ত্রী হাতে থাকা দেড় ভরি ওজনের এক জোড়া স্বর্ণের বালা মূল্য অনুমান ১,৪০,০০০/— (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা নিয়া যায়। পরবতীর্তে ১নং বিবাদী নেতৃত্বে সকল বিবাদীরা বসত ঘরের ভিতর প্রবেশ করিয়া ঘরের বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করিয়া প্রায় ৭০,০০০/— হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। ১নং বিবাদী মোস্তফা মিয়ার স্ত্রীর পরিহিত কাপড়ের আঁচলে বাধা স্টীলের আলমারীরর চাবি অস্ত্রের মুখে ভয় দেখাইয়া ছিনাইয়া নিয়া ঘরের ভিতর থাকা আলমারীর লক খুলিয়া ড্রয়ারের ভিতর হইতে জমি বিক্রয়ের নগদ ৫,০০,০০০/— (পাঁচ লক্ষ) টাকা নিয়া যা। তাহাদের ডাক—চিৎকারে আশাপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে দেখিয়া বিবাদীরা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তফা মিয়াকে এই মর্মে হুমকি প্রদান করে যে, যদি ৭ ও ৮নং বিবাদীদ্বয়ের পিতা:জামান ডাক্তারের দাবীকৃত জায়গা ছেড়ে না দেয় এবং এই বিষয় নিয়া বাড়াবাড়ি করি বা থানা— পুলিশকে জানালে বিবাদীরা পরবতীর্তে আরো লোকজন নিয়া আসিয়া মুক্তিযোদ্ধাকে জানে মেরে ফেলা সহ ঘর—বাড়ী জ্বালাইয়া দিবে বলে হুমকি দেয় । তারপর ঘটনাস্থলের অন্যান্য লোকজনের সহায়তায় ১০০ শয্যা নরসিংদী জেলা হাসপাতাল, এর জরুরী বিভাগে চিকিৎসা সেবা নেন।উক্ত বিষয়ে থানায় অভিযোগ হলে ও দীর্ঘদিনে উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত কোন আসামি গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি প্রশাসন। এ ব্যাপারে বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মোস্তফা মিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় পৃথক পৃথক দুটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা যায়। শিলমান্দি মুক্তিযোদ্ধা পরিবার বিচার না পেয়ে সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।