নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদী জেলা পলাশ উপজেলার চলনা গ্রামের মোরশেদ আলম বাবুল গং এর ৭০ বছরের দখলীকৃত পৈতৃক সম্পত্তি ১৭ বছর যাবৎ জবরদখলে রাখে একই এলাকার মৃত বাতেন মোল্লার ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন মোল্লা গং। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, চরসিন্দুর ইউনিয়নের চলনা গ্রামের চলনা মৌজায় সি এস ২৯ খতিয়ানে সি এস ২৫৭ দাগে ৬৬ শতাংশ সম্পত্তি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক মোরশেদ আলম বাবুল গং এর পিতা বশির উদ্দিন মোল্লা। ঘরোয়া আপোষ মিমাংসা বন্টনে ভোগদখলে থাকলেও তৎকালীন আওয়ামী সরকারের আমলে আবদুল্লাহ আল মামুন মোল্লা ও তার ছোট ভাই মুমিন মোল্লা জবরদখলের চেষ্টা করে।এ নিয়ে চরসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে একাধিক শালিশ দরবার হয়।শালিশে মোরশেদ আলম বাবুল গং এর পক্ষে রায় দিলেও আওয়ামী লীগ নেতা মুমিন মোল্লা পেশিশক্তির প্রভাব খাটিয়ে দখলের চেষ্টা করে।একাধিক দরবারে মোরশদ আলম এর পক্ষে রায় থাকায় মোরশেদ আলম তার পৈতিক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণ করার কাজ শুরু করলে ২২/৮/২০২৪ তারিখে আবদুল্লাহ আল মামুন নরসিংদী বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১। মোরশেদ আলম বাবলু (৫৫),২। মোঃ ফারুক আহম্মেদ (৪৫),৩। মোছাঃ নাজমা সুলতানা (৪৭),৪।মোছাঃ সেলিনা বেগম (৫০), সর্ব পিতা- মোঃ বাশির উদ্দিন,৫।সামসুদ্দিন মোল্লা সুরুজ (৫৮), পিতামৃত- ফজলুর রহমান, সর্ব সাং- চলনা, থানা- পলাশ, জেলা- নরসিংদী মামলা দায়ের করে। মোকদ্দমা নং-৮৪২” মামলায় সম্পত্তিতে ১৪৫ জারি সহ সমস্ত কার্যক্রম বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হয়। এর প্রেক্ষিতে গত ৯/১২/২০২৪ তারিখে মোরশেদ আলম বাবুল গং তাদের পৈতৃক সম্পত্তিতে নির্বিঘ্নে চলাচল ও কার্যক্রম চালানোর আদেশ দানের প্রার্থনা করলে নরসিংদীর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্টেট মাহমুদা বেগম আদেশ মঞ্জুর করে। এবিষয়ে মোরশদ আলম বলেন,এই সম্পত্তি আমরা পৈতৃক ওয়ারিশ সূত্রে মালিক, আমার পিতা ৭০ বছর যাবৎ ভোগদখল করে আসছে। আমাদের চাচাতো ভাই মামুন ও মুমিন জবরদখল করার চেষ্টা করায় শালিশ দরবার হলেও তারা দরবার না মানে আদালতে মামলা করে, আদালত সমস্ত কাগজপত্র দেখে আমাদেরকে বাড়ির কাজ করার অনুমতি দেয়।গত ৬ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৩ টার সময় ৫/৬ জন দূর্বৃত্ত এসে পাহারাদার কে হুমকি দেয় এবং কর্মচারীদের থাকার ঘরে দেশীয় অস্ত্র দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। কর্মচারীদের ডাক চিৎকারে আমরা ঘটনাস্থলে এসে ৯৯৯ এ কল দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। এই ঘটনায় আমরা আতংকিত এবং নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ বিষয় পাহারাদার কামাল উদ্দিন মোল্লা বলেন,আমি রাত্রে এখানে বসেছিলাম এই সময় ৫/৬ জন মুখ বাধা লোক আমার সমনে এসে বলে যদি বাইর হছ তাহলে মেরে ফেলবো , তাদের হাতে দা ছুরি ছিল এবং দা দিয়ে ঘর কুপিয়ে চলে যায়। মুখ বাধা থাকায় আমি কাউকে চিনতে পারিনি। বীর মুক্তি যুদ্ধ শামসুদ্দিন মোল্লা বলেন, এই সম্পত্তি বশির উদ্দিনের, মামুন ও মুমিন দুই ভাই দখল করার চেষ্টা করে।এ নিয়ে দরবার হইছে রতন চেয়ারম্যান দরবারে মোরশেদের পক্ষে রায় দেয়। চলনা ৪ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা এজাহার ভূইয়া বলেন, এই জমি বশির উদ্দিন মোল্লার পৈতৃক সম্পত্তি।অনেক দিন যাবত মৃত আঃ বাতেন মোল্লার ছেলে মামুন ও মুমিন জবরদখল করার চেষ্টা করছে।এ নিয়ে কয়েকটি দরবার হলেও মামুনরা দরবার মানেছে না। তার বাড়ির কাজে বাধা প্রদান করে এবং আদালতে মামলা করে ও আদালত মোরশেদের পক্ষে রায় দিছে। এবিষয়ে চরসিন্দুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোফাজ্জল হোসেন রতনের মেবাইল ফোনে জানতে চাইলে নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়।