1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত! দুধরচকী। - Bikal barta
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| সোমবার| ভোর ৫:০১|
সংবাদ শিরোনামঃ
ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫ তুমিই আমার চাঁদ পাবনা ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ এর তিন ইউপি সদস্য আটক  এম সাইফুর রহমান কলেজ পরিচালনা পরিষদের সভাপতি হলেন জনাব মিফতাহ্ সিদ্দিকী বীরগঞ্জে ১০শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা ডাক্তারের অবহেলায় রোগীর অকাল মৃত্যু! জনসম্মুখে চিকিৎসককে ব্যাপক মারধর ভিয়েনা রাজ্য নির্বাচনে পুনরায় মনোনয়ন পেলেন ভোলার কৃতি সন্তান- মাহমুদুর রহমান নয়ন ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ।  ভাঙ্গায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৫টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট সহ অগ্নিসংযোগ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সাজাপ্রাপ্ত এক আসামী সহ ৩ জন গ্রেপ্তার

পবিত্র শবে কদরের গুরুত্ব ও ফজিলত! দুধরচকী।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় সোমবার, মার্চ ২৪, ২০২৫,
  • 51 জন দেখেছেন

 

এ রাত মহামহিমান্বিত, অভাবনীয়। নিশ্চিত পুণ্যের অভাবনীয় খাজাঞ্চি সাজানো রজনী পবিত্র লাইলাতুল কদর। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, হাজার মাসের অপেক্ষা এই রাত শ্রেষ্ঠ। মহিমান্বিত এই রাতটি ২৭ রমজানের রাত হিসেবে চিহ্নিত।

মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা শেষে অধিক সম্ভাবনার ভিত্তিতে ২৭ রমজানের রাতে সারা দুনিয়ার ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা পবিত্র লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করে থাকেন। মাহে রমজানের বিশেষ ফজিলত ও গুরুত্ব অনেকাংশে মহিমান্বিত এ রাতের কারণেই বৃদ্ধি পেয়েছে। আল্লাহ তা’আলা এ রাতকে সকল রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি তার কালামে এ রাতকে প্রশংসার সাথে উল্লেখ করেছেন। তিনি তার কালাম সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইরশাদ করেছেন : নিশ্চয় আমি এটি নাযিল করেছি বরকতময় রাতে; নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। সে রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। [সূরা আদ-দুখান : ২-৩]

বরকতময় রজনী হল, ‘লাইলাতুল কদর’। আল্লাহ তা’আলা একে বরকতময় বলে অভিহিত করেছেন। কারণ, এ রাতে রয়েছে যেমন বরকত তেমনি কল্যাণ ও তাৎপর্য। বরকতের প্রধান কারণ হল : (ক) এ রাতে আল-কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে। (খ) এ রাতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের সিদ্ধান্ত লওহে মাহফুজ থেকে ফেরেশতাদের হাতে অর্পণ করা হয় বাস্তবায়নের জন্য। (গ) এ রাতের অপর একটি বৈশিষ্ট্য হল, আল্লাহ তা’আলা এ রাত সম্পর্কে একটি পূর্ণ সূরা (সূরা কদর) অবতীর্ণ করেছেন, যা কিয়ামত পর্যন্ত পঠিত হতে থাকবে। (ঘ) এ রাত হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। অর্থাৎ তিরাশি (৮৩) বছরের চেয়েও এর মূল্য বেশি। (ঙ) এ রজনীতে ফেরেশতাগণ রহমত, বরকত ও কল্যাণ নিয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করে থাকে। (চ) গুনাহ ও পাপ থেকে ক্ষমা লাভ। এই রাতের ফজিলত সম্পর্কে হাদিসে বর্ণিত হয়েছে : নবী করীম সা. বলেছেন, যে লাইলাতুল কদরে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে সালাত আদায় ও ইবাদত-বন্দেগি করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। [বুখারী ও মুসলিম]

লাইলাতুল কদরে করণীয় : লাইলাতুল কদরে আমাদের করণীয় হল বেশি করে দোয়া করা, জিকির আযকার করা, নামাজ পড়া, ইবাদত-বন্দেগী করা, দুরুদ শরিফ পড়া, মিলাদ শরিফ পড়া, তাওবা করা। হযরত আয়েশা রা. নবী করীম সা. কে জিজ্ঞেস করলেন, লাইলাতুল কদরে আমি কি দোয়া করতে পারি ? তিনি প্রত্যুত্তরে বললেন, তুমি বলবে : হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল, ক্ষমাকে ভালোবাসেন, অতএব আমাকে ক্ষমা করুন। [তিরমিযী]

পবিত্র রমজানের এ রাতে লাওহে মাহফুজ থেকে নিম্ন আকাশে মহাগ্রন্থ আল কোরআন অবতীর্ণ হয়। আল্লাহ্ সুবহানাহু তা’য়ালা সুরা ক্বদরে বলেন, ‘নিশ্চয় এ কোরআন আমি লাইলাতুল কদরে নাজিল করেছি।’ অন্য আয়াতে বলেন, ‘রমজান মাস, এ মাসেই কোরআন অবতীর্ণ হয়।’ পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা লাইলাতুল কদরকে হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম বলে অভিহিত করেছেন। এর অর্থ হলো, সাধারণ এক হাজার মাস তথা তিরাশি বছর চার মাস প্রতিরাত জাগ্রত থেকে নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত ইত্যাদি নফল ইবাদত করলে যে সওয়াব হবে, এই এক রাতের ইবাদতে তার চেয়েও অনেক বেশি সওয়াব পাওয়া যাবে।

শবে কদরকে আরবিতে লাইলাতুল কদর বলা হয়। আরবি ভাষায় ‘লাইলাতুন’ অর্থ হলো রাত্রি বা রজনী এবং ‘কদর’ শব্দের অর্থ সম্মান, মর্যাদা, মহাসম্মান। এছাড়া এর অন্য অর্থ হলো ভাগ্য, পরিমাণ ও তাকদির নির্ধারণ করা। এ রাতের ফজিলত সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা ‘আলফ’ তথা ‘হাজার’ শব্দ ব্যবহার করেছেন। আলফ আরবি গণনার সর্বোচ্চ সংখ্যা।

মুফাসসিররা বলেন, যদি এর চেয়ে বড় আরো কোনো সংখ্যা প্রচলিত থাকত, তাহলে আল্লাহ তায়ালা হয়তো তা-ই ব্যবহার করতেন। এছাড়া, শবে কদরের ফজিলত তো আর হাজার মাসের মধ্যে সীমিত করা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, লাইলাতুল কদর হাজার মাস অপেক্ষা উত্তম। তার সঠিক পরিমাণ কত, তা আল্লাহই ভালো জানেন। এখানে সংখ্যার হিসাব মুখ্য নয়, আল্লাহর অশেষ দানটিই প্রধান হিসেবে প্রতিভাত হবে। লাইলাতুল কদর উম্মতে মোহাম্মদীর একক সৌভাগ্য। আর কোনো নবীর উম্মতকে এ ধরনের ফজিলতপূর্ণ কোনো রাত বা দিন দান করা হয়নি। আগেকার নবীদের উম্মতরা অনেক আয়ু পেতেন। এজন্য তারা অনেকদিন ইবাদত করারও সুযোগ পেতেন। সে তুলনায় উম্মতে মোহাম্মদীর আয়ু নিতান্তই কম। এজন্য আল্লাহ তায়ালা তার বিশেষ দয়ায় মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের উম্মতকে মহিমান্বিত এ রাত দান করেছেন।

যারা এ রাত ইবাদত করে কাটাবেন, তাদের জন্য রয়েছে মহাপুরস্কারের ঘোষণা। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদের সকল মুসলমানকে কের শবে কদরের রাত্রির উছিলায় আমাদেরকে মাফ করে দাও, ও পবিত্র শবে কদরের উছিলায় হে, আল্লাহ বিশ্বের মানব জাতিকে করোনা মহামারি থেকে মুক্তি দাও, আল্লাহুম্মা আমিন।

 

লেখকঃ- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী ছাহেব। সাবেকঃ- ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!