আল আমিন কাজী,বরিশাল : বরিশাল ২ ( বানারীপাড়া – উজিরপুর ) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল মার্কায় মাঠে আছেন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হক রাজু।
যার নির্বাচনী প্রচারনায় বানারীপাড়া উপজেলার ৪ নং চাখার ইউনিয়নের ঈগল প্রতীকের প্রথম উঠান বৈঠক আনুষ্ঠানিক ভাবে পরিচালিত হয় ৪ নং চাখার ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক ১ নং ওয়ার্ড চালিতাবাড়ী। যা চাখার ইউনিয়নের বিশিষ্ট সমাজসেবক, মোঃ আলী হাসানের তত্ত্বাবধানে চালিতাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখ বিকাল ৪ ঘটিকায় অনুষ্ঠিত হয়।
উঠান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি ফাইয়াজুল হক রাজুর ছেলে, ফাইয়াজ ফারদিন এবং তার মেয়ে সাদিতা হক ও তার জামাতা।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, আঃ সালাম, বাকপুর ইউনিয়ন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক সহ: সভাপতি এবং সৈয়দ সেলিম, বিশিষ্ট সমাজসেবক । এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বানারীপাড়া উপজেলা ঈগল সমর্থনের নেতৃবৃন্দ।
বৈঠকের প্রথমভাগে কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে কার্যক্রম শুরু হয়। পর্যায়ক্রমের দ্বিতীয় ধাপে একে একে ঈগল সমর্থনে বক্তব্য পেশ করেন।
তবে বিশেষ কিছু কক্তব্যে মোঃ আলী হাসান বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের বিপক্ষে নই, আমরা হাতুড়ি মার্কার বিপক্ষে।আমাদের মার্কা ঈগল আর ঈগল মার্কায় জিনি তার পরিচয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য পদ বহন করে। আর যেখানে নৌকার প্রতীকে রাশেদ খাঁন মেনন, তিনিতো প্রকৃত আওয়ামী লীগ সদস্য নন।তার খবর উজিরপুর উপজেলাবাসী ভালো করে জানে। তিনিতো সেখানে এমপি ছিলো, সকলে ভাবছিলো সে উজিরপুর বাসীর জন্য কাজ করবেন। সে কী করেছে তা তখন উজিরপুর উপজেলাবাসী ভালো করে বুঝেছে। মেনন সাহেব যে বরিশাল ২ আসনকে ডিজিটাল করবেন, সে তো এখন পর্যন্ত এনালগ এ পৌঁছাতে পারে নাই, ডিজিটাল তো দূরের কথা। তিনি আরো বলেন, আজ এখানে দাড়িয়ে নৌকা মার্কার বিপক্ষে কথা বলবো তা ভাবতেও কষ্ট হচ্ছে। সুতারং দিন শেষে রাজুর বিকল্প নাই।
বক্তব্যে সৈয়দ সেলিম বলেন, ৭ তারিখ তো মাঠে আমরাই খেলবো। ঈগলের সমর্থন নৌকার অবস্থান থেকে বেশি। প্রথম দিকে সকলের ভয় ছিলো রাজুকে ২৯ তারিখ প্রধানমন্ত্রী আসলে তাকে মিলিয়ে দিয়ে নৌকার নির্বাচন করাবেন। তবে এটা ছিলো আপনাদের ভূল ধারনা।তিনি পাঁচ বার সংসদ সদস্য হওয়ার পর যখন দেখে এবার তার অবস্থান টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়, তখন প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে নৌকার সমর্থন নিয়েছেন। রাশেদ খাঁন মেননের যদি এতই শক্তি থাকে তবে তার হাতুড়ি মার্কা নিয়ে জয় লাভ করুক।
একইভাবে বক্তব্যে আঃ সালাম বলেন, রাশেদ খাঁন মেনন একজন কমরেড। আর কমরেড হলো শান্তির দূত। কিন্তু মেনন তো শান্তির দূত নয়, সে বরিশাল ২ আসনে অশান্তির বাহক হিসেবে এসেছেন। আমি প্রথমে মনে করছিলাম এ্যাড. তালুকদার মোঃ ইউনুস মনোনয়ন পাবে। যদি সে পায় তবে আমরা যৌথ ভাবে তার নির্বাচন করবো। তবে দিন শেষে দিলো রাশেদ খাঁন মেনন কে, যে ঠিক ভাবে জয় বাংলা নামটাই বলতে পারে না।
পর্যায়ক্রমে একে একে উপস্থিত বানারীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন সহোযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ঈগল সমর্থনে কথা বলেন।
সর্বশেষ বিশেষ অতিথি ফাইয়াজ ফারদিন বক্তব্যে বলেন, আমার দাদির স্বপ্ন ছিলো আমার বাবা ফাইয়াজুল হক রাজু একদিন জাতীয় সংসদের সদস্য হবেন। আজ আমার দাদি বেঁচে নেই, আমার দাদির স্থানে আমি আপনাদের কাছে এসেছি। আপনারা আমার বাবাকে ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে আমার দাদির স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবেন। আর আমার বাবাতো দূর থেকে আসেনি, আমার বাবা আপনাদের এলাকারই সন্তান। সব থেকে বড় পরিচয় হলো, আমার বাবা শেরে বাংলা একে ফজলুল হকের নাতি, শেরে বাংলার বংশধর। শেরে বাংলার পরিচয় শুধু চাখার কিংবা বাংলাদেশে নয়, বহি: বিশ্বে আমার দাদার নাম রয়েছে, তাকে বিশ্বের সবাই চেনে।
একই ভাবে তার মেয়ে বক্তব্যে বলেন, আমরা আমার বাবার পক্ষ থেকে আপনাদের কাছে একটাই দাবি জানাই, আপনারা আমার বাবাকে ৭ জানুয়ারি ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন।
একই সাথে উৎসুক জনতার সমর্থনে বৈঠক সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।