1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ব্রহ্মপুত্রের বালুতে খনিজ সম্পদের সন্ধান গাইবান্ধায়.. - Bikal barta
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ১১:৪১|
সংবাদ শিরোনামঃ
শেরপুরে ১২০ পিস ইয়াবাসহ মাদক কারবারি গ্রেফতার ১ নেত্রকোণায় ৯ জুয়ারিকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ নেত্রকোণা জেলা পুলিশের মাস্টার প্যারেড, মাসিক কল্যাণ সভা ও মাসিক অপরাধ পর্যলোচনা সভা। রামপালে আওয়ামীলীগ- বিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ছাত্র জনতা।। সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে সাড়ে ১৭ কেজির স্বর্ণের চালানসহ আটক ২ নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলা বিএনপি’র পকেট কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল নেত্রকোণা আটপাড়া উপজেলায় মৎস্যজীবদের মানববন্দন নেত্রকোণা কেন্দুয়া উপজেলার নওয়াপাড়ায় ভাগ্নের হাতে মামা খুন প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জামালপুর জেলা শিবিরের বর্ণাঢ্য রেলি। হবিগঞ্জের অলিপুরে ইউসিবি এজেন্ট ব্যাংকিং খোলার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছেন শেখ শাহাউর রহমান বেলাল!

ব্রহ্মপুত্রের বালুতে খনিজ সম্পদের সন্ধান গাইবান্ধায়..

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় সোমবার, মার্চ ৪, ২০২৪,
  • 135 জন দেখেছেন

 

স্টাপ রিপোটার:-বর্ষার মৌসুমে এই নদে পানির প্রবাহ ব্যাপক থাকে। তবে বর্ষা কমার সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রবাহও কমতে থাকে। একসময় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে জেগে ওঠে ধু-ধু বালুচর। শুষ্ক মৌসুমে বিস্তৃর্ণ চর জাগে এই নদের বুকে। এই চরের বালুতেই হাজার হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদ লুকিয়ে থাকার তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়।

কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র নদের বালুতে মূল্যবান ছয়টি খনিজ পদার্থের সন্ধান পাওয়ার কথা জানিয়েছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জি।

প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকায় প্রাপ্ত খনিজ সম্পদের টেকনো ইকোনমিক ইভাল্যুয়েশন ছাড়াই দাম অন্তত তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। এ নদের বালুতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ সম্পদ আছে বলে গবেষণার বরাত দিয়ে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন।

যেসব মূল্যবান খনিজ পদার্থ পাওয়া গেছে সেগুলো হলো- ইলমিনাইট, রুটাইল, জিরকন, ম্যাগনেটাইট, গারনেট ও কোয়ার্টজ। রং, প্লাস্টিক, ওয়েলডিং রড, কালি, খাবার, কসমেটিকস ও ওষুধ উৎপাদনে ব্যবহৃত হয় রুটাইল। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইতালি, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র মূল্যবান এই খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে।

জিরকন ব্যবহৃত হয় সিরামিক, টাইলস, রিফ্যাক্টরিজ ও মোল্ডিং সেন্ডসে (ছাঁচ নির্মাণে ব্যবহৃত বালু)। বর্তমানে সারা বিশ্বে অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ভারত, চীন, ব্রাজিল, সিয়েরা লিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র এ খনিজ উপাদানটি রপ্তানি করে থাকে।

ম্যাগনেটাইট চুম্বক ও ইস্পাত উৎপাদন, খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা পরিষ্কার করা এবং তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গভীর কূপ খননে ব্যবহার হয়ে থাকে। বিশ্বের মাত্র দুটি দেশ মূল্যবান এ খনিজটি সারা বিশ্বে রপ্তানি করে থাকে। দেশ দুটি হলো দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়া।

গারনেট হলো ভারি ও মূল্যবান খনিজ। এটি ব্যবহার করা হয় সিরিশ কাগজ উৎপাদন, লোহাজাতীয় পাইপ পরিষ্কার ও বালুতে বিস্ফোরণ ঘটানোর জন্য। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া ও ভারত সারা বিশ্বে খনিজটি রপ্তানি করে থাকে।

হিমালয় পর্বতের কৈলাস শৃঙ্গের নিকটে মানস সরোবর থেকে উৎপন্ন হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ তিব্বত ও ভারতের আসামের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে কুড়িগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় এসে নাম ধারণ করেছে যমুনা।

বর্ষার মৌসুমে এই নদে পানির প্রবাহ ব্যাপক থাকে। তবে বর্ষা কমার সঙ্গে সঙ্গে পানির প্রবাহও কমতে থাকে। একসময় যমুনা-ব্রহ্মপুত্রে জেগে ওঠে ধু-ধু বালুচর। শুষ্ক মৌসুমে বিস্তৃর্ণ চর জাগে এই নদের বুকে। এই চরের বালুতেই হাজার হাজার কোটি টাকার খনিজ সম্পদ লুকিয়ে থাকার তথ্য উঠে এসেছে গবেষণায়।

খনিজ সম্পদ নিয়ে গবেষণা করা প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাটের ইনস্টিটিউট অব মাইনিং, মিনারেলজি অ্যান্ড মেটালার্জির পরিচালক ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান বলেন, ‘কুড়িগ্রামে প্রবেশ থেকে ডাউনস্ট্রিমে গাইবান্ধা পর্যন্ত এবং তিস্তা নদীর অববাহিকায় যেসব চর, সেগুলো নিয়ে আমরা জিওফিজিক্যাল সার্ভে করি। কোন জায়গায় কোন ধরনের মিনারেলস আছে, এটার প্রাথমিক স্টাডি ২০১০ থেকে ২০১২ পর্যন্ত সম্পন্ন করা হয়। এটি কার্যকরী হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয় পাইলটিং করার নির্দেশনা দেন। এর পর ২০১৭ সালে একটি এটিপি প্রকল্প নেওয়া হয়। সেই প্রকল্প অনুযায়ী জয়পুরহাটে একটি খনিজ গবেষণা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়। এখানে গবেষণা করে ব্রহ্মপুত্র নদে মূল্যবান খনিজগুলোর সন্ধান মেলে।

তিনি জানান, কয়েক বছর আগে কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধার বিভিন্ন বালুচর থেকে আড়াই হাজার টন বালু সংগ্রহ করা হয়। খনিজ প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্রে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে প্রতি টন বালু থেকে দুই কেজি ইলমিনাইট, ২০০ গ্রাম রুটাইল, ৪০০ গ্রাম জিরকন, ৩.৮ কেজি ম্যাগনেটাইট, ১২ কেজি গারনেট ও ৫০ কেজি কোয়ার্টজ মিনারেল পাওয়া যায়।

গবেষণার বরাত দিয়ে ড. মোহাম্মদ নাজিম জামান বলেন, ১০ মিটার গভীরতায় প্রতি এক বর্গকিলোমিটার এলাকা থেকে উত্তোলনের পর নির্মাণ কাজে ব্যবহৃত বালুর বাজারমূল্য ৮০ থেকে ১০০ কোটি টাকা। আর সমপরিমাণ এলাকা থেকে প্রাপ্ত খনিজের বাজার মূল্য তিন হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। কীভাবে কোন প্রক্রিয়া কোন প্রতিষ্ঠান এসব খনিজ আহরণ করবে, তা গবেষণার মাধ্যমে নির্ধারণ করবে সরকার।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!