ভোলা প্রতিবেদক:
ভিয়েনার রাজ্য নির্বাচনে ভিয়েনার ২৩ নাম্বার ডিস্ট্রিক্ট থেকে অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি (OVP) প্রার্থী হয়ে আবারও জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নমিনেশন পেয়েছেন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ও ভোলা লালমোহনের কৃতি সন্তান মাহমুদুর রহমান নয়ন।
আগামী ২৭ এপ্রিল (রবিবার) একই সাথে ভিয়েনা সিটি কর্পোরেশন এবং ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে ভিয়েনার ডিসট্রিক্ট কাউন্সিল নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ২৩ নং ডিসট্রিক্টের কাউন্সিলর নির্বাচিত হন মাহমুদুর রহমান নয়ন। এর মাধ্যমে তিনি অষ্ট্রিয়ার মাটিতে ইতিহাস গড়েছেন।
অষ্ট্রিয়ার সাড়া জাগানো এই তরুণ রাজনীতিবিদের পৈতৃক বাড়ি ভোলা জেলার লালমোহন উপজেলায়।তাঁর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুর রহমান প্রায় চার দশকের অধিক সময় অস্ট্রিয়া প্রবাসী এবং অস্ট্রিয়া থেকে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত জনপ্রিয় অনলাইন গণমাধ্যম “ইউরো বাংলা টাইমস্” এর এডিটর ইন চীফ ও ইউরোপিয়ান বাংলা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন এর প্রধান উপদেষ্টা।
এ দিকে মাহমুদুর রহমান নয়ন মনোনয়ন পাওয়ায় অষ্ট্রিয়ার বাংলাদেশীদের মধ্যে আনন্দ বিরাজ করছে। অস্ট্রিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটির সদস্যরা বলেন, আমরা গর্বিত। আমাদের বাংলাদেশের সন্তান মাহমুদুর রহমান (নয়ন) অস্ট্রিয়ার স্থানীয় মূলধারার একজন প্রতিষ্ঠিত ও জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ। অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টিতে তাঁর যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।
উল্লেখ, অস্ট্রিয়ার যে কোনও নির্বাচনে প্রথমে ভোট দিতে হয় দলকে। তারপর নিজের পছন্দের কেহ থাকলে তার নাম লিখে দিতে হয়। বিদেশে বিভিন্ন সংগঠন অথবা মূলধারার রাজনীতিতে বাংলাদেশীদের অংশগ্রহণ এখন আর নুতন কিছু নয়। মেধা, যোগ্যতা আর সাহসিকতা নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূতরা এখন সগৌরবে মহামান্নিত।
মাহমুদুর রহমান নয়ন ছাত্র রাজনীতি দিয়ে তার রাজনৈতিক জীবন শুরু। তিনি হায়ার ট্যাকনিকেল কলেজে ছাত্রবস্থায় ২০১২/২০১৩ সনের সমগ্র অষ্ট্রিয়ার সেন্ট্রাল স্টুডেন্ট ইউনিয়নের স্পিকার নির্বাচিত হন। সেখানে তিনি ১.১ মিলিয়ন স্টুডেন্ট এর নেতৃত্ব দেন।
অস্ট্রিয়ান তরুণ রাজনীতিবিদ মাহমুদুর রহমান নয়ন, মাত্র ২৯ বৎসর বয়সে অষ্ট্রিয়ার মূলধারার রাজনীতিতে নিজের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছেন। এবার ভিয়েনায় বসবাস করা শুধু মাত্র ২৩নং ডিসট্রিক্টের বাংলাদেশী অস্ট্রিয়ান নাগরিকবৃন্দ মাহমুদুর রহমান নয়ন কে ভোট দিতে পারবেন।
এক সাক্ষাৎকারে মাহমুদুর রহমান নয়ন দলমত নির্বিশেষে সবার ভোট চেয়ে সহযোগিতা কামনা করেন।