রহমত উল্লাহ, দৈনিক বিকাল বার্তা, স্টাফ রিপোর্টার:
গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় “এস আই ডি ভোকেশনাল স্কুল”- র ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মঞ্জুয়ারা চলতি এসএসসি/ ভোকেশনাল “ব্যবহারিক পরীক্ষা” দিতে হইবে না মর্মে প্রতি পরীক্ষার্থীর নিকট হইতে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা দাবী করেছেন। দাবীকৃত টাকা দিলেই সর্বোচ্চ নম্বর দিয়ে পাশ করে দেওয়া হইবে পরীক্ষায় অংশ করার দরকার নাই বলে সাফ জানিয়ে দেন। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও অবিভাবক গন একত্রিত হয়ে পরীক্ষা সচিব ” মঞ্জুয়ারা’র সঙ্গে দেখা করলে তিনি পুনরায় বলেন টাকা দিলেই পাশ কোন পরীক্ষার দরকার নাই আমি তো কেন্দ্র সচিব যা বলবো তাই হবে। কেউ আমার কিছু ছিঁড়তে পারবে না। ভুক্তভোগীদের মধ্যে ৩০ জন হলেন “হামিদা খাতুন মাধ্যমিক এসএসসি ও ভোকেশনাল স্কুল” র পরীক্ষার্থী।ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী ও অবিভাবকগন তাদের স্কুলের সভাপতিকে বিষয়টা নিশ্চিত করলে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করিবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন বলিয়া আশ্বাস দিয়েছেন।তিনি পরবর্তীতে দৈনিক বিকাল বার্তা পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টারকে অবহিত করেন। সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করিলে অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয় এবং স্থানীয় কয়েকজন লোক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ মঞ্জুয়ার বেগম এর একাডেমিক সনদ জাল তিনি ১৯৯৬তে চারদলীয়জোট জামাত বিএনপির আমলে সহকারী শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ভুয়া সনদে ইন্সট্রাক্টর পদে কর্মরত আছেন।যাহা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন ০৪ এপ্রিল ২০১০ এর ১৮(০১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শাস্তি যোগ্য অপরাধ।এস আই ডি ভোকেশনাল স্কুল এর সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগমের মুঠোফোনে কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থী,অবিভাবক ও এলাকাবাসী সকলেই অভিযোগের সুষ্ঠু নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে ভুয়া ইন্সট্রাক্টর মোছাঃ মঞ্জুয়ারা বেগমের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।