এম এইচ মুন্না: রাজউকের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি কার্যকর করেছেন। প্রতিটি কাজকে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতার আওতায় আনতে তিনি আধুনিক প্রযুক্তি ও ডিজিটাল পদ্ধতির ওপর জোর দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে ইতোমধ্যেই রাজউকের বিভিন্ন বিভাগে ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
তিনি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “রাজউক একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। এখানে দুর্নীতির কোনো স্থান নেই। জনগণের সেবা নিশ্চিত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে আমি বদ্ধপরিকর।”
রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, “চেয়ারম্যান স্যারের নির্দেশনায় আমরা প্রতিটি কাজ দ্রুত ও নির্ভুলভাবে সম্পন্ন করার জন্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করছি। এতে সেবাগ্রহীতাদের সময় ও খরচ দুই-ই কমছে।”
ফাস্ট ট্র্যাক সার্ভিস সেন্টার: জনগণের আস্থা অর্জন
রাজউক ভবনে স্থাপিত ফাস্ট ট্র্যাক সার্ভিস সেন্টার জনবান্ধব সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখানে সেবাগ্রহীতারা অল্প সময়েই প্রয়োজনীয় সেবা পেতে পারছেন।
একজন সাধারণ নাগরিক, মোহাম্মদ সালাম, বলেন, “আগে রাজউকের কাজ করতে অনেক সময় লাগত। এখন ফাস্ট ট্র্যাক সেন্টার থেকে কাজ দ্রুত হয়ে যায়।”
চেয়ারম্যান ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, “আমাদের লক্ষ্য, জনগণের আস্থা অর্জন করা। সেবাগ্রহীতারা যেন হয়রানি ছাড়াই সেবা পান, সেদিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি।”
গণশুনানিতে সমস্যার সমাধান
প্রতি মাসে রাজউকে গণশুনানির আয়োজন করা হচ্ছে। চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নাগরিকদের অভিযোগ শুনে তাৎক্ষণিক সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।
রাজউকের এক সেবাগ্রহীতা বলেন, “গণশুনানিতে চেয়ারম্যান স্যারের সরাসরি কথা বলার সুযোগ পেয়ে আমি খুব স্বস্তি পেয়েছি। আমার জমির সমস্যাটি দ্রুত সমাধান হয়েছে।”
জোনাল অফিস স্থানান্তর: সেবার নাগাল বাড়ানো
রাজউকের ৮টি জোনাল অফিস সংশ্লিষ্ট এলাকার কাছাকাছি স্থানান্তর করার ফলে সেবা গ্রহণ আরও সহজ হয়েছে। সেবাগ্রহীতারা এখন আর দূরের অফিসে যেতে বাধ্য হচ্ছেন না।
রাজউকের এক কর্মকর্তা জানান, “জোনাল অফিস স্থানান্তরের ফলে সেবাগ্রহীতাদের ভোগান্তি কমেছে এবং কাজের গতি বেড়েছে।”
পরিকল্পিত নগর গড়ার উদ্যোগ
রাজউকের নেতৃত্বে বর্তমানে ঢাকাকে একটি পরিকল্পিত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ড্যাপ (Detailed Area Plan) সংশোধনের কাজ চলছে। পাশাপাশি, ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ২০২৪ প্রণয়নও দ্রুত এগোচ্ছে।
চেয়ারম্যান বলেন, “পরিকল্পিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে ড্যাপ সংশোধন ও নতুন বিধিমালা প্রণয়নের কাজ চলছে। এতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য ঢাকা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।”
MRT লাইন-৬ প্রকল্প: নগর উন্নয়নের নতুন অধ্যায়
JICA-এর সহায়তায় MRT লাইন-৬ কেন্দ্রিক ট্রানজিট-ওরিয়েন্টেড ডেভেলপমেন্ট (TOD) প্রকল্প নিয়ে কাজের আলোচনা চলছে। এটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আসবে।
একজন গৃহিণী, শিরীন আক্তার, বলেন, “রাজউকের বর্তমান চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে অনেক ভালো পরিবর্তন হচ্ছে। আশা করি, ঢাকার পরিবেশ আরও উন্নত হবে।”
রাজউকের কর্মকর্তাদের মতামত
রাজউকের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেন, “চেয়ারম্যান স্যারের কর্মপদ্ধতি ও পরিকল্পনা আমাদের নতুন করে উৎসাহ জোগাচ্ছে। আমরা সবাই একটি টিম হিসেবে কাজ করছি।”
সিদ্ধান্তমূলক নেতৃত্বে এগিয়ে চলা
মেজর জেনারেল (অব.) ছিদ্দিকুর রহমান সরকারের নেতৃত্বে রাজউক সেবার মান বৃদ্ধি, দুর্নীতি প্রতিরোধ এবং ঢাকাকে পরিকল্পিত নগরীতে রূপান্তরের জন্য দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে। তার উদ্যোগ ও নেতৃত্ব ঢাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে।