1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
শেরপুরে গারো পাহাড়ের আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির অন্যতম প্রধান নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব অনুষ্ঠিত - Bikal barta
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ১:৫৬|
সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জ কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর থানা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন।  সভাপতি রিপন মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী। বিশ্বম্ভরপুরে”জয়কুলের”উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন। দিনাজপুরে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীত উপহার বিতরণ  বীরগঞ্জে ৩৯৫কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় তারুন্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান  জকিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার! আজ মতিয়ারা মুক্তার জন্মদিন মর্যাদার শোকজ খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ২ আসামি, ভ্যান উদ্ধার শেরপুর জেলায় মিষ্টি আলু রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

শেরপুরে গারো পাহাড়ের আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ও কৃষ্টির অন্যতম প্রধান নবান্ন বা ওয়ানগালা উৎসব অনুষ্ঠিত

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, নভেম্বর ২৪, ২০২৪,
  • 42 জন দেখেছেন

 

মোঃ মাকসুদুর রহমান রোমান শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:শেরপুরের সীমান্তবর্তী ও দেশের ঐতিহ্যবাহী গারো পাহাড় এলাকায় গারোরা এবারও ওয়ানগালা উৎসবের আয়োজন করে। এখানে তারা নেচে-গেয়ে উৎসবে মেতে ওঠে। আজ রোববার ঝিনাইগাতীর গারো পাহাড়ের মরিয়মনগরে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হয় এ ওয়ানগালা উৎসব। এ বছর ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ওয়ানগালা উৎসব ছিল মরিয়মনগর ধর্মপল্লিতেই।

একসময় গারো পাহাড়ি এলাকায় জুম চাষ হতো। তখন ওই জুম বা ধান ঘরে উঠানোর সময় গারোদের শস্য দেবতা ‘মিসি সালজং’কে উৎসর্গ করে এই উৎসবের আয়োজন করা হতো। এ সম্প্রদায় বিশ্বাস করে যে, তাদের শস্য দেবতা একসময় পাহাড়ি এলাকার গারোদের হাতে কিছু শস্য দিয়ে বলেছিল, ‘তোমরা এটা রোপণ কর তাতে তোমাদের আহারের সংস্থান হবে এবং তোমরা যে শস্য পাবে তা থেকে সামান্য কিছু শস্য আমার নামে উৎসর্গ করবে।’ এরপর থেকেই গারোরা তাদের শস্য দেবতাকে এই ফসল উৎসর্গ করে আসছিল। কিন্তু গারো পাহাড়ের অধিকাংশ গারো ক্যাথলিক খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হওয়ায় এখন ধর্মীয় ও সামাজিকভাবে একত্রে করে পালন করা হয় এ উৎসব। এখন নতুন ফসল কেটে যিশু খ্রিস্ট বা ঈশ্বরকে উৎসর্গ করে ওয়ানগালা পালন করেন তারা। সীমান্তবর্তী শেরপুর জেলার গারো পাহাড়ের নৃ-গোষ্ঠীর বা আদিবাসীরা মনে করে ঈশ্বরের দয়ায় তারা ফসল উৎপাদন করে থাকে। তাই তারা প্রতি বছরের ন্যায় আয়োজন করে থাকে নবান্ন বা গারোদের ভাষায় ওয়ানগালা উৎসব। মরিয়মনগর ধর্মপল্লিতে ১৯৮৫ সাল থেকে ওয়ানগালা উৎসব পালন করা শুরু হয়। এবারও আজ গারো পাহাড়ের মরিয়মনগর ধর্মপল্লিতে ধুমধামে আয়োজন করা হয় ওয়ানগালা উৎসব।

মূলত থক্কা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এ উৎসব। এরপর প্রার্থনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নাচ গান ও খাওয়া-দাওয়া, খেলাধুলা ও র‍্যাফেল ড্রসহ উৎসবে মেতে ওঠে নৃ-গোষ্ঠীর নারী, পুরুষ ও শিশুরা। এখানে অনেকেই তাদের ফসলের কিছু অংশ প্রভুর নামে উৎসর্গ করেন, আবার কেউ প্রভুর কাছে দয়া শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা ভালো ফলাফল করতে প্রভুর কাছে এসেছে। তাদের বিশ্বাস প্রভু আশীর্বাদ করলে সবকিছুই ভালো হবে। প্রভু তাদের পরিবারের জন্য দয়া করে থাকেন।

শিক্ষার্থী সুইট চিচিং বলেন, ‘ইশ্বর আমাদের নতুন ফসল দেয়। এ উৎসবে আমরা খুব আনন্দ করি। নতুন ফসল প্রভুর কাছে উৎসর্গ করি। নাচ-গানের মধ্য দিয়ে আনন্দ করি। আমাদেরকে প্রভু আশীর্বাদ করবেন, পরের বছরও আমরা ভালো ফসল পাব। প্রভু আমাদের পরিবারের জন্য দয়া করে থাকেন। উৎসবে আমরা নতুন নতুন কাপড়-চোপড় পরি। অনেক বন্ধু-বান্ধব একসাথে হতে পারি। বাড়িতে বাড়িতে অতিথিরা আসে। আমরা খুব আনন্দ পাই।’সমিকা ম্রং বলেন, ‘আমরা আসলে নতুন ফসল প্রভুকে উৎসর্গ করার জন্যই এই উৎসব পালন করে থাকি। নতুন ফসল হওয়ার পর আমরা প্রভুকে আগে উৎসর্গ করে থাকি। তারপর আমরা খাই। এইটা নবান্ন উৎসবের মতোই। কিন্তু আমরা এইটাকে ওয়ানগালা হিসেবে পালন করি। এ উৎসবের মাধ্যমে খ্রিস্টকে আমরা কৃতজ্ঞতা জানাই।’

উত্তরা ম্রং বলেন, ‘আমাদের আগের লোকেরা এই কালচার করে গেছে আমরা তাই পালন করে থাকি। আসলে নতুন ফসল প্রভুকে দেই। এর মাধ্যমেই আমরা ফসল ঘরে তুলি থাকি এবং খাই। আমরা এই উৎসবে নাচ-গানের মাধ্যমে অনেক আনন্দ করি।’

ময়মনসিংহ ধর্ম প্রদেশের বিসপ পনেন পল কুবি বলেন, ‘আমাদের মান্দি সমাজে আদি পিতামাতা যারা ছিলেন সাংসারিক ধর্ম পালন করতেন। তারা আনন্দে ওয়ানগালা উৎসব পালন করতেন। এ ওয়ানগালা হলো আমাদের উৎসব। যেখানে জমির নতুন ফসল ঈশ্বরকে দেওয়া বা কৃতজ্ঞতা জানানো। এই দিবসে আমরা খ্রিস্ট রাজাকে সম্মান ও বিশ্বাস প্রদর্শন করে থাকি। আমরা যখন এই উৎসব পালন করি তখন চিন্তা করি কীভাবে আমরা আগামী বছর যিশুকে সাথে নিয়ে পথ চলতে পারি।’

প্রাচীনকাল থেকে গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতিকে নতুন প্রজন্ম ও বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর কাছে তুলে ধরাই এর মূল লক্ষ্য। উৎসব ঘিরে ধর্মপল্লির পাশে গারোদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও শিশুদের নানা রকমের খেলনা নিয়ে বসে মেলা। রাতব্যাপী চলে গান-বাজনা, আনন্দ-উৎসব।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!