মোঃ তোফায়েল আহমেদ শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:
“স্টার্ট আপ হবে বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকা শক্তি। লেখাপড়া শেষ করে চাকুরী করতে হবে এরকম গতানুগতিক ধারণা থেকে শিক্ষার্থীদের বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের দেশের তরুণরা কেবল শারিরীকভাবে সক্ষম নন; তাদের উদ্ভাবন ও মেধা শক্তি অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় বেশি। সঠিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাগ্রহন করলে কোনো শিক্ষার্থী বেকার থাকতে পারে না। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি তার শিক্ষার্থীদের বেকার হিসেবে দেখতে চায় না। সেজন্য আমরা তাদের শিক্ষাদানের পাশাপাশি তাদের উদ্ভাবনী ও মেধাশক্তির বিকাশ ঘটিয়ে তাদেরকে যোগ্য ও দক্ষ হিসেবে গড়ে তোলার পাশাপাশি উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ক্লার্ক বা তথাকথিত চাকুরে বা কর্মকর্তা না হয়ে তারা নিজেদের মেধা ও উদ্ভাবনী শক্তি কাজে লাগিয়ে নিজের ভাগ্যোন্নয়ের পাশাপাশি পরিবারের মুখে হাসি ফুটাবে ও দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে। আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের ব্যাপার যে আমাদের অনেক শিক্ষার্থী ২য় বা ৩য় বর্ষে অধ্যয়নকালেই মাসে লাখ টাকা আয় করছে। মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির এলামনাইরা অনেককে তাদের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী দিচ্ছে। দেশের অনেক ব্যবসা ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির গ্র্যাজুয়েটদের উপর নির্ভরশীল। সেটা আমাদের জন্য গর্বের।” আজ ১৬ অক্টোবর ২০২৩ সোমবার সকাল ১০ টায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক এম. হাবিবুর রহমান হলে ইনোভেশন ডিজাইন অ্যান্ড এন্টারপ্রেনারশিপ একাডেমি আইডিয়া প্রকল্পের আওতায় সরকারের আইসিটি বিভাগ আয়োজিত “স্টার্ট আপ কম্পাস-বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্টিভেশন প্রোগ্রাম” এর অধীনে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক উপর্যুক্ত কথাগুলো বলেন।
আইডিয়া প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক (উপ-সচিব) ড. মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সরকারের জৈষ্ঠ আইসিটি কনসালটেন্ট ইউএনডিপির প্রাক্তন কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ গোস্বামীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান ও হাল্ট প্রাইজের উপদেষ্ঠা মোঃ ইমরান উদ্দিন, সহযোগী অধ্যাপক মোঃ মাসুদ রানা, বেপ্রো কনসালটেন্সী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুমন সাহা, টেক্সনেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ রেজওয়ানুল হক, প্রমূখ।
ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক আরো বলেন, স্টার্ট আপ বর্তমান সরকারের এক যুগান্তকারী উদ্যোগ। এ উদ্যোগের উপর ভিত্তি করেই আমরা উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছবো। স্থানীয় অর্থনীতির বিকাশও ঘটবে স্টার্ট আপের মাধ্যমে। আমরা সে সুযোগটি কাজে লাগাতে চাই। আমরা সরকারের আইসিটি বিভাগকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি দেশের ৪৬টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এ প্রকল্পের আওতায় মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটিকে নির্বাচন করার জন্য। আমরা আশাবাদি মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা এ প্রকল্পের আওতায় কয়েক কোটি টাকার স্টার্ট আপ ব্যবসা শুরু করবে। আমরা এজন্য সরকারের সহায়তা চাই।
উল্লেখ্য, ৭ টি বিভাগের বিভিন্ন ব্যাচের নির্বাচিত ১২০ জন শিক্ষার্থী এ কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন। সারাদেশের ৮টি বিভাগের ৪৬ টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।