1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিগারেটের বাড়তি করের অর্থ যাচ্ছে ডিলার ও মজুতদারের পকেটে! - Bikal barta
৯ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৬শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| রবিবার| রাত ১২:১৪|
সংবাদ শিরোনামঃ
নবীগঞ্জের ফারুক্বীয়া তাজপুর মাদ্রাসায় ২৫জন হিফজকে পাগড়ী প্রধান  আজ রাত থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট শুরু! পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত  জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আংশিক কমিটি ঘোষণায় কয়রায় আনন্দ মিছিল ও আলোচনা সভা  বরমী ডিগ্রী কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচন অনুষ্ঠিত,দাতা প্রতিনিধি রাসেল মোড়ল। ভাঙ্গায় ভলিবল খেলাকে কেন্দ্র করে দুটি বাড়ির ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস নড়াইল জেলা শাখা কমিটি গঠন । বিশ্বম্ভরপুরে রাজনৈতিক মামলা ও জিআর পরোয়ানাভুক্ত সহ ২ আসামি গ্রেফতার। শেরপুরে এক যুবককে মারধরের জেরে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ১০, নির্বাচনের আগে বিচার চাই জামায়াতে আমীর ড.শফিকুর রহমান

সিগারেটের বাড়তি করের অর্থ যাচ্ছে ডিলার ও মজুতদারের পকেটে!

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় মঙ্গলবার, জুন ২৫, ২০২৪,
  • 69 জন দেখেছেন

 

ওয়াসিম শেখ, স্টাফ রিপোর্টার:

প্রতিবছরের মতো ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও তামাকজাত পণ্যের মধ্যে বেশকিছু সিগারেটে শুল্ক বাড়িয়েছে সরকার। বেড়ে যাওয়া সিগারেটের নতুন মূল্যও নির্ধারণ করে দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে বাজারে এখনো আগের উৎপাদিত সিগারেটই বিক্রি হচ্ছে। তবে দাম নেওয়া হচ্ছে বাড়তি, নতুন বাজেট অনুযায়ী। ফলে ধূমপায়ীদের পকেট থেকেও বাড়তি করের টাকা বের হচ্ছে। তবে বাড়তি এই করের টাকা জমা হচ্ছে না রাষ্ট্রীয় কোষাগারে। অবৈধভাবে এই বাড়তি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কিছু মজুতদার ও মাঠ পর্যায়ে সিগারেট বিপণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো (ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটর)।

শুধু তাই নয়, কিছু ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি পুরোনো সিগারেটই নতুন দামে সরবরাহ করছে ! অবৈধভাবে সিগারেট মজুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আইনের ফাঁকফোঁকরের আশ্রয় নিয়ে বাজেটকে কেবলই তাদের ঢাল হিসাবে ব্যবহার করছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানিগুলোও অবৈধ এই বিষয়টিকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

প্রায় প্রতিবছরই বাজেটে তামাকপণ্যে শুল্ক ও কর বাড়ানো হয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও তামাক ও তামাকজাত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হয়েছে। এবারের বাজেট অনুযায়ী সিগারেটের সর্বনিম্ন ধাপের সিগারেটের ১০ শলাকার মূল্য ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৫০ টাকা। মধ্যম মানের ১০ শলাকার মূল্য ৬৭ টাকা থেকে বেড়ে হবে ৭০ টাকা, উচ্চমানের ১০ শলাকার মূল্য ১১৩ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১২০ টাকা এবং অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্য ১৫০ টাকা থেকে বেড়ে হবে ১৬০ টাকা।সম্পূরক শুল্কের হার ৬৫ শতাংশের পরিবর্তে ৬৬ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। বিড়ির কাগজের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের হার সাড়ে ৭ শতাংশের পরিবর্তে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাজারে এখনো আগের উৎপাদিত সিগারেটই বিক্রি হচ্ছে। অথচ দাম নেওয়া হচ্ছে নতুন বাজেট অনুযায়ী। কয়েকজন ক্রেতা-বিক্রেতার সঙ্গে কথা বললে তারাও এ বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানান।

 

দোকানদার ইকবাল বলেন, ‘সিগারেট কোম্পানিগুলো নতুন দাম নিচ্ছে। কিন্তু পুরোনো রেটের বা পুরাতন সিগারেট দিচ্ছে। ‘বাজেটের আগে বেনসন ৩১০ টাকায় কিনে বিক্রি করেছি ৩৪০ টাকায়। এখন ৩২৪ টাকায় কেনা পড়ছে। বিক্রি করছি ৩৬০ টাকায়। মার্লবোবোর ক্ষেত্রে একই অবস্থা।

 

তিনি আরও বলেন, ‘কমদামের মধ্যে ডার্বি ও শেখের দাম বেড়েছে। সিগারেটগুলো আগে ২০ শলাকার মূল্য ৮৮ টাকায় কেনা পড়ত, এখন ১০০ টাকায় কেনা পড়ছে। আর বিক্রি ১২০ টাকা।

 

দোকানদারা আরো বলেন, আমরা কোম্পানির গাড়ি থেকে সিগারেট রাখি। বাজেটের পর থেকেই তারা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সিগারেটের গায়ে আগের দামই লেখা আছে। তারা আসলে ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। হয়তো তারা আগের সিগারেট মজুত করে রেখে এখন বাড়তি লাভের আশায় নতুন দামে বিক্রি করছে।

 

এক ধূমপায়ী বলেন, বেনসনের প্যাকেটে ৩১০ টাকা লেখা আছে। আগে ৩৪০ টাকায় কিনতে পারলেও এখন ৩৬০ টাকার কমে কেনা যাচ্ছে না। প্রতিবছরই বাজেটের পর এমন হয়। আর ছোট দোকান থেকে একটি বেনসন কিনতে গেলে ১৮-২০ টাকা পর্যন্ত রাখা হচ্ছে। অথচ সরকার এখনো এর রাজস্ব পাচ্ছে না। তাহলে বাড়তি কর দিচ্ছি কেন? আমরা সরকারকে কর দিচ্ছি, তা যেন কারো অবৈধ ব্যবসার হাতিয়ার না হয়। আর এমনিতেই সিগারেট কোম্পানিগুলো আমাদের শুষে নিচ্ছে। বিপণন পর্যায়ে যেন কোম্পানিগুলো আরও তদারকি বাড়ায়।

 

ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিগুলো পুরনো তারিখে পুরনো সিগারেট বিক্রি করছে। অথচ দাম নিচ্ছে নতুন বাজেট অনুযায়ী। এমনই একটি কোম্পানি এম-আর বাদ্রাস্। সিরাজগঞ্জ সব এলাকায় এই কোম্পানিটি সিগারেট সরবরাহ করে থাকে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!