স্টাফ রিপোর্টার>>সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে অভিযান চালিয়েছে দুদক। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দুদকের ৪ সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করে। দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার ও তামাবিল স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান অভিযানের নেতৃত্ব দেন।অভিযানে স্থলবন্দরে নানা অসঙ্গতির সত্যতা মিলেছে। দুদক বলছে তামাবিল স্থলবন্দরে প্রতি মাসে ৩ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব বেশি ফাঁকি দেওয়া হয়েছে।
তামাবিল স্থলবন্দরে লোড আনলোডের তথ্য যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায়, ৫ টনের ট্রাকে আসছে ১০ থেকে ১২ টন পণ্য। প্রতি ট্রাক ৫ থেকে ৬ টন পণ্য বেশি আসছে। এ স্থলবন্দর দিয়ে প্রতিদিন ৪ থেকে ৫শ ট্রাক আসছে। সে হিসেবে দিনে ১৫ লক্ষ টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। আর মাসে হারাচ্ছে ৩ কোটি ৩২ লক্ষা টাকা। পাশাপাশি হুসনে আরা এন্টারপ্রাইজ নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লোড-আনলোডের কোনো কাজ না করেই গত অর্থ বছরে (২৩-২৪) প্রায় দশ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার সত্যতাও পায় অভিযানিক দলটি। এসব বিষয়ে অধিকতর তদন্ত শেষে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানায় দুদক।
তবে বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে অভিযোগ পায়নি তারা। পাশাপাশি পণ্য পরিবহণে অতিরিক্ত ওজন থাকলে কাস্টমস নিয়মিত মামলা দায়ের করছে বলে দাবি তাদের।