1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
সিলেট কাস্টঘর সুইপার কলোনীর ইয়াবার ডিলার সেলিমের খুঁটির জোর কোথায়?  - Bikal barta
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শনিবার| বিকাল ৫:০২|

সিলেট কাস্টঘর সুইপার কলোনীর ইয়াবার ডিলার সেলিমের খুঁটির জোর কোথায়? 

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় রবিবার, সেপ্টেম্বর ২২, ২০২৪,
  • 68 জন দেখেছেন

 

সিলেট থেকে বিকালবার্তা প্রতিবেদক >>সিলেট নগরীর কাস্টঘরের সুইপার কলোনী অপরাধীদের নিরাপদ আস্তানা, আর সেই আস্তানা নিয়ন্ত্রণ করেন কাষ্টঘরের ইয়াবা ডিলার সেলিম। তাহার ক্ষমতার দাপটের কাছে জিম্মি এলকার সকল অপরাধী। সমগ্র সিলেটের ৮০% মাদকদ্রব্য এই কাষ্টঘর থেকে বিক্রি হয়, সুইপার কলোনি হওয়ায় পুলিশের নজরধারী কম, ফলে এখানে অপরাধীরা বেপরোয়া। নগরীর যুবসমাজ থেকে শুরু করে সকল বয়সী মাদকাসক্ত ব্যক্তির আনাগোনা দেখতে পাওয়া যায়। ভয়াল মরণ নেশা মাদকের ধ্বংসের হাত থকে আধ্যাতিক নগরীর যুবসমাজকে বাঁচাতে এখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান জরুরী হয়ে পরেছে বলে অভিমত প্রকাশ করছেন বিজ্ঞমহল।

 

সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) কর্তৃক কাস্টঘরের সুইপারদের পরিচ্ছন্ন কর্মী হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয়। কিন্তু বর্তমানে সুইপার পরিচ্ছন্ন কর্মীরা টাকার বিনিময়ে বাঙ্গালি লোক দিয়ে তাদের কাজ করায়। তারা এখন পরিচ্ছন্নকর্মীর কাজ না করে নানা ধরনের মাদকদ্রব্য বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছে।

 

কাস্টঘরের সুইপার কলোনীতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দৈনিক কোটি টাকার মাদকদ্রব্য আসে। এই সব মাদকদ্রব্য এখান থেকে ছড়িয়ে পড়ে সিলেটের আশপাশ এলাকায়। সুইপার কলোনীর বেশ কয়েকটি ঘরে ফেনসিডিল, গাজা ও ইয়াবা নামক মরণ নেশা পুলিশের সামনেই নির্বিগ্নে বিক্রি হচ্ছে। ইয়াবা, ফেনসিডিল ভারতীয় মদসহ সকল প্রকার মাদকদ্রব্য এখানে পাওয়া যায়, সংশ্লিষ্ট একটি নির্ভরযোগ্য তা নিশ্চিত করেছে।

 

কাষ্টঘর সুইপার কলোনীর এই মাদকদ্রব্যে প্রকাশ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের কারণে সিলেট নগরীর আশপাশ এলাকাসহ পূণ্যভূমি সিলেটের যুবসমাজের বৃহৎ একটি অংশ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই! মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নাকের ডগায় এতোবড় অপকর্ম হলেও তারা দেখেও না দেখার ভান করে বসে আছেন। আর সাংবাদিক সমাজ অদৃশ্য কারণে এসব বিষয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন।

 

অবৈধ মাদক ব্যবসার আয়ে বদলে গেছে সুপারদের জীবন। সুইপার পরিচ্ছন্নতা কর্মীর ছেলে মেয়েরা এখন সিলেটের বিখ্যাত কিন্ডারগার্ডেন থেকে শুরু করে নামীদামি প্রাইভেট কলেজে পড়াশুনা করছে এবং আধুনিক মানের মোটর সাইকেল, প্রাইভেট কার ব্যবহার করছে, যা বাঙ্গালীরা পারছেনা।

 

একদিকে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের আওতাধীন বন্দরবাজার ও সোবহানীঘাট পুলিশ ফাঁড়ি অন্যদিকে কোতোয়ালি মডেল থানা থাকা স্বত্বেও ছিনতাইকারী থেকে শুরু করে সবধরনের অপরাধীদের বৈধ আস্তানায় এই জায়গাটি পরিণত হয়েছে। যাহার নিয়ন্ত্রণ ইয়াবা সম্রাট সেলিমের হাতে।

জানতে চাইলে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, তারা অসহায় হয়ে পরেছে সুইপার পরিছন্ন কর্মীদের কাছে। টোকাই থেকে শুরু করে হাই প্রোফাইল লেবেলের সন্ত্রাসীদের আনাগোনা এখানে। তাই তারা চরমভাবে নিরাপত্তাহীন।

 

পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভিতরে সোর্সদ্বারা নির্দিষ্ট ব্যাক্তি নেশা দ্রব্য বস্তু কেনার পরে রাস্তায় আটকিয়ে তল্লাশী করে নেশা দ্রব্য জিনিস হাতেনাতে ধরার পর পুলিশের চাহিদা মিটিয়ে ফেললে আবার ছেড়ে দেন। ছিনতাই, জুয়া, মাদক সবই চলে কাস্টঘরে এ যেন সকল অপরাধের নিরাপদ আস্তানা। সারা সিলেটের সকল অপরাধীর মিলনমেলা কাস্টঘর। পুলিশ, ডিবি, সিআইডি ও র্যাবের সোর্স যারা আছে সবাই সুইপার ও দাগী অপরাধীদের সাথে ভাগবাটোয়ারা নিয়ে ব্যস্ত।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায় ইয়াবা সম্রাট সেলিম একজন বাঙ্গালী, তাহার মুলবাড়ী গোয়াইনঘাট উপজেলায়। বেশ কয়েক বছর আগে তাহার আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো থাকায় বিবাহিত স্ত্রী বাড়ীতে রেখে চাকুরীর আশায় থাকতো সিলেট শহরে, পাশাপাশি নিজের আর্থিক কষ্ট নিবারণে কাষ্টঘর কলোনীতে দেশীয় মদ সেবন করতো সেলিম। সেই মদ পানের নেশা করতে গিয়ে সুইপার মেয়ের সাথে পরিচয়, প্রেম ও বিয়ে। বিয়ের পর থেকেই সেলিম কাষ্টঘর সুইপার কলোনিতে বসবাস শুরু করে। এরপর সুইপারদের সাথে জড়িয়ে পড়ে মাদক ব্যবসায়, বর্তমানে সমগ্র সিলেটের মধ্যে সব থেকে বড় ইয়াবা ব্যবসায়ী। পুলিশ, র্যাব, সাংবাদিক সবই সেলিমের ব্যপারে নীরব দর্শক। এই মাদক ব্যবসা করে সে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছে। সুইপারদের জন্য সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্মিত নতুন বিল্ডিংয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে বসবাস করছে। তাহার বাসায় নিরাপত্তার জন্য সিসি ক্যামেরা লাগিয়েছে। তাহার বাসায় দুটি বিদেশি বিড়াল আছে। প্রতিদিন এই দুটি বিড়ালের ৫ হাজার টাকা।

 

স্থানীয়রা বলছেন পুলিশ সাংবাদিক ম্যানেজ করেই চলছে সেলিমের সকল অপকর্ম।এ ব্যপারে সেলিমের বক্তব্য নিতে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, তাহার মোবাইল রিসিভ না হওয়ায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

এ ব্যপারে তরিৎ পদক্ষেপ নিতে সচেতন মহল মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সমন্নয়ক এবং সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!