স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতায় বিজয়ী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়ার লোকজন পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের বাড়ি ঘরে হামলা ও কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে আদালত চত্ত্বরে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মানববন্ধন করেন আইনজীবীরা। মানবন্ধনে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক শেরেনুর আলী প্রমুখ।
বক্তারা মানববন্ধনে বলেন, মধ্যনগরে বিজয়ী প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভূইয়া তার আপন ভাই ডিআইজি আব্দুল বাতেনের প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচিত হয়েও আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। ভোটের পর জয়ী হয়েও তিনি একজন আইনজীবীসহ পরাজিত প্রার্থীর পরিবারের উপর হামলা করে আহত করেছেন। এই ঘটনার ন্যায়সঙ্গত বিচার না পেলে দেশব্যাপী কর্মসূচী দেবারও কথাও জানান উপস্থিত আইনজীবীরা।
জানা যায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় জেলার নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক ভুঁইয়া এবং তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের লোকজনের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান, তার ছেলে আইনজীবী আরিফুর রহমান ঝিনুক সহ তাদের বাড়ি ঘরে হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নারী পুরুষ সহ ১১ জন আহত হন। ঘটনার পর আহত পরাজিত প্রার্থী ও তার ছেলে আইনজীবি প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে ভর্তি হোন। পরে পুলিশের ভয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি হাসপাতালে হন। এদিকে বিজয়ী প্রার্থীর লোকজনের ভয়ে, আতঙ্কে, নিরাপত্তহীনতায় বাড়ি ঘর ছেড়ে অনত্র চলে গেছেন পরাজিত প্রার্থী সহ তার লোকজন। এ ঘটনার পর থেকে পুরো এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপার সহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ঘটনাস্হলে। তব, পুলিশ বলছে এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। গত রোববার রাতে বিজয়ী প্রার্থীর ভাতিজা, স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আজিম মাহমুদ পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান, তার ছেলে আইনজীবী ঝিনুক সহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছেন। জয়ী চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক ভুঁইয়া পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা (ডিআইজ) আব্দুল বাতেনের বড় ভাই। পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমান স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা এবং স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) রাজন কুমার দাস জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এক পক্ষের একটি মামলা হয়েছে। অপর পক্ষ মামলা করলে তাদের মামলাও নিবে পুলিশ। তিনি বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে দাতিয়াপাড়ায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এখানে পুলিশ কারো পক্ষপাতিত্ব করছে না।