এস এম রনি, সাতক্ষীরা :- বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১( তালা – কলারোয়া আসনের দুইবারের সাবেক সংসদ সদস্য জননেতা হাবিবুল ইসলাম হাবিব ২০০২ সালে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মিথ্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হন। ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল হাবিবুল ইসলাম হাবিব সহ ৪৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়। সাতক্ষীরা জজ আদালতের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল এই রায় প্রদান করেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তারিখে উচ্চ আদালতের মাধ্যমে তিনি ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্ত হন। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা কুমিরা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এক বিশাল গনসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, স্বৈরাচারী হাসিনা দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসা করাতে দেননি। খালেদা জিয়া মুক্ত হয়েছেন, এখন হাসিনার চিকিৎসা করাবে কে?
হাবিবুল ইসলাম হাবিব আরও বলেন, ২০২০ সালে যখন আমাকে গ্রেপ্তার করা হয় তার অনেক আগে আমি কানাডায় যেতে পারতাম কারন আমার ভিসা ছিলো। কিন্তু আমি পালাইনি। পালিয়েছে হাসিনা। জীবন হাতে নিয়ে আমরা এই সংগ্রাম করেছি।
জেলখানার অভিজ্ঞতা উল্লেখ করে হাবিব বলেন, কি নিদারুন কষ্টে ছোট্ট ঘরে আমরা থেকেছি। আধাবেলা একবেলা খেয়ে চার বছর পার করেছি। আল্লাহর অশেষ রহমতে আজকে আমরা মুক্তি পেয়েছি, কোন শক্তি আমাদেরকে আটকে রাখতে পারেনি।
হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আগামীতে তরুনদের প্রতিনিধি জননেতা তারেক রহমান দেশকে নেতৃত্ব দেবেন।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তি রায়। এতে আরও বক্তব্য রাখেন এ্যাড.শাহানারা পারভিন বকুল, খুলনা মহানগর বিএনপির নেতা শফিকুল ইসলাম শাহীন, সাতক্ষীরা-৪ আসনের সাবেক সাংসদ কাজী আলাউদ্দিন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তারিকুল হাসান প্রমুখ।