মোঃ আবু তালেব হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি :
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৫নং শিবপাশা ইউনিয়নের আব্দুলাপুর এলাকার একটি হাওর থেকে ১১জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার)বিকাল সাড়ে ৩টার একটি যুবকের লাশ উদ্ধার করে আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ।
এদিকে এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে আজমিরীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি)মাসুক আলীর মুঠোফোনে বেলা ৪টা ১৫মিনিটের দিকে যোগাযোগ করা হলে,তাদের ব্যস্ততার কারনে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।
পরে ইউপি চেয়ারম্যান নলিউর রহমান এর মুঠোফোনে বেলা ৪টা ২০মিনিটের দিকে যোগাযোগ করা হলে,তিনি সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,এঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই।
এবং সেখানে গিয়ে লোকজনের কাছ থেকে জানতে পারি ছেলেটির বাড়ি বানিয়াচং।
সে নাকি মিশুক গাড়ি চালাতো।
ধারণা করা হচ্ছে মিশুক গাড়িটি ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য ঐ ঘাতকরা এখানে হত্যা করে গাড়িটি নিয়ে পালিয়ে যায়।
তবে ছেলেটার বয়স ১৮/২০ এর মতো হবে।
আজমিরীগঞ্জ থানা পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যান।
ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ করে পুলিশ।
এখন পুলিশের সঠিক তদন্তের মাধ্যমের মাধ্যমেই বেরিয়ে আসবে প্রকৃত ঘটনাটি কি এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত ঘাতকদেরকে গ্রেফতারের মাধ্যমে এমনটাই বলেন তিনি।
এদিকে এই যুবকের পরিচয় জানতে বানিয়াচং উপজেলার সদরের ২নং উত্তর পশ্চিম ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি(মেম্বার)জিতু মিয়ার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত করে বলেন নিহত হওয়া ছেলেটার পরিবার তার ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
এই কাজেই বর্তমানে তিনি আজমিরীগঞ্জ থানায় অবস্থান করছেন।
ছেলের মা,বাবা ও আত্বীয় স্বজনগন দুপুর দেড়টার দিকে খবর পেয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় যান।
এবং থানা পুলিশ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে হাওর থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
থানা পুলিশ সাথে আলাপ আলোচনা করে জানান,আজকে লাশটি আনা সম্ভব আগামীকাল ময়না তদন্তের কাজ শেষ করে বাড়িতে নিয়ে আসা হবে।
নিহত যুবক চানপাড়া মহল্লার বশীর মিয়ার পুত্র শাহজাহান(১৪)মিয়া।
তারা ৩ ভাই ও ছোট্ট দুবোন এবং মা,বাবা নিয়ে ঐ সংসার ছিলো।
সবার বড় ভাইটি প্রতিবন্ধী হওয়ায় কোন কর্ম করতে পারে নাই।
নিহত শাহজাহানের বড় ভাই ও শাহজাহান দু’ভাইয়ে কাজকর্ম করে রোজগার করে সংসার চালিয়ে আসছিলো।
সবার ছোট্র শাহজানকে পরিবারের লোকজন ঋন করে এই মিশুক গাড়িটা ক্রয় করে দিয়েছিলো।
আজও প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৮টার দিকে বাড়ি থেকে গাড়িটি নিয়ে বের হয়ে লাশ হয়ে পড়ে রইলো হাওরের মধ্যে।
ইউপি সদস্য জিতু মিয়া এই ঘটনার জড়িত ঘাতকদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য হবিগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারসহ দেশের সকল গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিকট জোরদাবী জানিয়েছেন।
—–
©