1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
হাসিনার পালানোর ঘটনাসহ পাঠ্যবইয়ে যেসব পরিবর্তন - Bikal barta
৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২২শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বুধবার| বিকাল ৫:৫৩|
সংবাদ শিরোনামঃ
ভাঙ্গায় বিএনপি’র সাবেক সভাপতি বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন কৃষক দল সভাপতির শ্রীপুরে এক কৃষকের ২টি গরু চুরি। দরিদ্র পরিবারের চতুর্থ শ্রেণীর ছা‌ত্রের হার্টে চিকিৎসায় এগিয়ে আসুন,, গেন্ডারিয়া থানা ৪৬ নং যুবদলের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে আজ।  সিলেট সীমান্তে কোটি টাকার চোরাইপণ্য আটক  সিলেটের আল-হামরায় স্বর্ণ চুরি : কুমিল্লা থেকে স্বর্ণালংকার উদ্ধার, আটক ৩ নিয়ামতপুরে ৫৩ তম শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ  ডুমুরিয়ায় ক্লাইমেট স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন ঢাকা থেকে নিখোঁজ হওয়া কিশোরী সুবা নওগাঁয় উদ্ধার, র‍্যাব হেফাজতে  পাইকগাছার গদাইপুরের গর্ভস্থ পানি পাইপ লাইনের মাধ্যমে পৌরসভায় সরবরাহের বিরোধ নিয়ে আলোচনা।

হাসিনার পালানোর ঘটনাসহ পাঠ্যবইয়ে যেসব পরিবর্তন

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শুক্রবার, জানুয়ারি ৩, ২০২৫,
  • 50 জন দেখেছেন

 

বিকাল বার্তা ডেস্ক>> জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর শিক্ষার্থীদের পাঠ্যবইয়ে রাজনৈতিক অতিকথন ও বন্দনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত সরকারের চালু করা সৃজনশীল শিক্ষাক্রম বাদ দিয়ে শিক্ষায় চালু করা হয়েছে ২০১২ সালের কারিকুলাম।

 

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত নতুন শিক্ষাবছরের পাঠ্যবই গত ১ জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। তাতে দেখা গেছে, বিভিন্ন শ্রেণির পরিবর্তিত পাঠ্যপুস্তকে স্থান পেয়েছে ছাত্র-জনতার জুলাই অভ্যুত্থানের নানান গল্প, ছবি, কার্টুন, গ্রাফিতিসহ বিভিন্ন বিষয়।

 

পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত শেখ মুজিববন্দনা। চার নেতার বিবরণীতে স্থান পেয়েছেন শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। স্বাধীনতার ঘোষণায় স্থান পেয়েছেন মেজর জিয়াউর রহমান।

 

জুলাই আন্দোলনে রাজধানীর বাড্ডায় হেলিকপ্টার থেকে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি করার বিষয়টি পাঠ্যবইয়ে কার্টুনের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। জুলাই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শহীদ হওয়া আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের নাম যুক্ত করা হয়েছে। নতুন পাঠ্যবইয়ে জন-আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের গণভবন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার বিষয়টিও উঠে এসেছে।

 

এনসিটিবির তথ্য মতে, ষষ্ঠ শ্রেণির চারুপাঠে ‘কার্টুন, ব্যঙ্গচিত্র ও পোস্টারের ভাষা’ শিরোনামে একটি লেখা ছাপানো হয়েছে। কার্টুনের ছবির মাধ্যমে যে প্রতিবাদ বা বিদ্রোহের প্রকাশ ঘটে, তা দেখানো হয়েছে এই লেখায়। এখানে বলা হয়েছে, ’৬৯-এর গণ অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থান পর্যন্ত বারবার কার্টুনে প্রতিবাদের প্রকাশ দেখা গেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সারা দেশের দেয়ালে দেয়ালে অসংখ্য গ্রাফিতির কথাও বলা হয় এই লেখায়। এই লেখায় কার্টুনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে হেলিকপ্টার থেকে গুলি ছোঁড়ার চিত্র।

 

পঞ্চম শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে ‘আমরা তোমাদের ভুলব না’ অধ্যায়টি। দেশের জন্য যুদ্ধ করে শহীদ মীর নিসার আলী তিতুমীর, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, শহীদ মতিয়ুর রহমান মল্লিক, সার্জেন্ট জহুরুল হক, ড. মুহম্মদ শামসুজ্জোহা, নূর হোসেনসহ বিভিন্ন শহীদের তথ্য তুলে ধরা হয়। এই অধ্যায়ের সংযোজন করা হয় জুলাই আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী শহীদ হওয়া আবু সাঈদ ও মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধের নাম। এই অধ্যায়ে বলা হয়েছে, অধিকারের দাবি ও বৈষম্যের কথা বলতে গিয়ে ২০২৪ সালে রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থীরা। সরকারি বাহিনী নির্মমভাবে সেই আন্দোলন দমন করতে চায়। পুলিশের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রংপুরে ছাত্রনেতা আবু সাঈদ দুই হাত প্রসারিত করে দাঁড়ান। পুলিশ তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করে। এতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে। সারা দেশের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে, বিশাল গণঅভ্যুত্থানের সৃষ্টি হয়। আরও বলা হয়, রাজধানীর উত্তরায় শিক্ষার্থী মুগ্ধ আন্দোলনরত সবাইকে পানি বিতরণ করতে করতে নিহত হন।

 

নবম ও দশম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা’ অধ্যায়ে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এরপর তিনি ২৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে আবারও স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

 

নবম ও দশম শ্রেণির বাংলা সাহিত্য বইয়ে স্থান দেওয়া হয়েছে ‘আমাদের নতুন গৌরবগাঁথা’ অধ্যায়। এ অধ্যায়ে গণ-আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের গণভবন ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। এখানে বলা হয়, সেদিন ৫ আগস্ট ২০২৪- ৩৬শে জুলাই। বাংলাদেশের ক্যালেন্ডার জুলাইতে থেমে গেছে। শুধু দেশ নয় সারা দুনিয়ার মানুষ তাকিয়ে আছে বাংলাদেশের দিকে। আন্দোলনকারী ছাত্র-জনতা এক দফা দাবি পেশ করেছে। সারা দেশ থেকে মানুষ ঢাকায় ছুটছে। ঘেরাও করবে গণভবন। মূলোৎপাটন করবে শাসনক্ষমতা আঁকড়ে থাকা ফ্যাসিবাদী শাসককে। কারফিউ উপেক্ষা করে ঢাকার উত্তরার পথে মানুষের দেখা মিলল। যাত্রাবাড়ীর দিকে মানুষ জড়ো হতে থাকল ধীরে ধীরে। নামল মানুষের ঢল। জনতা গণভবনে পৌঁছে যায় দুপুর নাগাদ। পতন অত্যাসন্ন টের পেয়ে স্বৈরাচার সরকারপ্রধান পালিয়ে যান দেশ ছেড়ে।

 

এ অধ্যায় আরও বলা হয়, ২০২৪ সালের শুরুতে প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে সরকার। উঠে আসে বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল-কলেজ- মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের অবদানের কথাও। এ অধ্যায়ে বলা হয়, সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলো বন্ধ করে দেওয়ার পর আন্দোলন কর্মসূচি গতি হারাতে পারত। কিন্তু বিভিন্ন প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাশিক্ষার্থীরা তখন ব্যাপকভাবে এগিয়ে আসেন।

 

এই পাঠ্য বইয়ে আওয়ামী আমলের দীর্ঘ দুঃশাসনের কথাও উঠে আসে। সামান্য দাবির কারণে নির্বিচারের নির্যাতন আর গুম-খুন করা হয়েছে- বলে পাঠ্যবইয়ে উল্লেখ করা হয়। এ অধ্যায়ে বছরের পর বছর ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান লুট হওয়াও উঠে আসে।

 

এতে আরও বলা হয়, সাবেক সরকারের দানবীয় শাসন চালানোর জন্য মুক্তিযুদ্ধের গল্প ছিল প্রধান অবলম্বন। কিন্তু লোকে দেখল হাজার সার্টিফিকেটধারী মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের পরে। জাল সনদ সংগ্রহ করে চাকরির সুবিধা নিয়েছে অনেকে। সরকার সব অনিয়ম অবৈধতাকে ঢেকে দিতে চেয়েছে অবকাঠামোগত ‘উন্নয়নের গল্প’ দিয়ে।

 

সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ে যুক্ত করা হয়েছে জুলাই আন্দোলন নিয়ে ‘সিঁথি’ নামে কবিতা। কবিতায় বলা হয়েছে, ভাই মরলো রংপুরে সেই/ রংপুরই তো বাংলাদেশ। কবিতায় বলা হয়, খোদার আরশ কাঁইপা ওঠে/ শুইনা বাপের হাহাকার/ একটা মানুষ মারার লাগি/ কয়টা গুলি লাগে ছার? আন্দোলন চলাকালে একজনকে মারতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপর্যুপরি গুলির বিষয়টিও উঠে এসেছে।

 

তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে অধ্যায় যুক্ত করা হয়েছে ‘আমাদের চার নেতা’। চার নেতার বিবরণীতে তথ্য দেওয়া হয়েছে, শেরেবাংলা একে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। এই বইয়ে প্রত্যেকের ছবিসহ তাদের সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। আর গত বছর তৃতীয় শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ে থাকা ‘আমাদের জাতির পিতা’ অধ্যায়টি এবারের পাঠ্যবই থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

 

নতুন পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন এবং জুলাই অভ্যুত্থানের নানা বর্ণনা উপস্থাপনার কথা জানিয়েছেন জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক এ কে এম রিয়াজুল হাসান। তিনি বলেন, ২০২৪-এর অভ্যুত্থান ছিল ব্যাপক। স্বৈরাচারবিরোধী এ গণঅভ্যুত্থানে কোমলমতি শিক্ষার্থীরাও অংশ নিয়েছিল। এটি বাংলাদেশের আশাবাদী হওয়ার বড় জায়গা। এই আন্দোলন, অভ্যুত্থান আমরা পাঠ্যবইয়ে স্থান দিয়েছি নতুন প্রজন্মকে উৎসাহ দিতে। পাঠ্যবইয়ে রাজনৈতিক অতিকথন ও বন্দনাও বাদ দেওয়া হয়েছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!