আরিফুল ইসলাম(কুষ্টিয়া) প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়া কুমারখালীতে ১৭ ই মার্চ শেখ মুজিবের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপনের চিঠি না পাওয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের একাংশ ইউএনও ‘র অপসারণ দাবী করেছেন।
রোববার দুপুরে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এটিএম আবুল মনসুর মজনু জানিয়েছেন ২৬ মার্চের আগে বর্তমান ইউএনও মাহবুবুল হক এর অপসারণ না হলে তারা উপজেলা গেটের সামনে কঠোর কর্মসূচি নিবেন।
অপরদিকে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমারখালীর সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস হোসেন জানিয়েছেন তিনি ইউএনও প্রতিনিধি। তার মাধ্যমে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণের জন্য জানানো হয়েছে।
জানা যায়, ১৭ ই মার্চ শেখ মুজিবের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন উপলক্ষে কুমারখালী উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রশাসনের আয়োজিত অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির সভাপতি এটিএম আবুল মনসুর মজনু অংশগ্রহণ না করে তাদের মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতি কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ এর আয়োজন করেন। এবং আলোচনা সভায় তিনি উল্লেখ করেন ইতিপূর্বে উপজেলার যেকোন জাতীয় প্রোগ্রামে তাদেরকে চিঠি দেওয়া হতো কিন্তু বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে অবমূল্যায়ন করেছেন শুরু থেকেই। ৭ ই মার্চ মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে পতাকা উত্তোলন না করা হলে তার প্রতিবাদ করেছিলেন। এবং ১৭ ই মার্চের অনুষ্ঠানে তাদেরকে কোন চিঠি দেওয়া হয়নি। ২৬ মার্চের আগে ইউএনও কে অপসারণ না হলে তারা কঠোর ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুবুল হক জানান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কুমারখালীর ইউএনও প্রতিনিধি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোকাদ্দেস হোসেন। ইউএনও প্রতিনিধির মাধ্যমে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের ১৭ ই মার্চের অনুষ্ঠানে থাকার জন্য জানানো হয়েছে।
কুষ্টিয়া -৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ জানান, সকল মুক্তিযোদ্ধা আমার ভাই। তারা যেখানে যাবেনা আমিও যাবোনা। বিষয়টি দ্রুত সুরাহা করতে হবে। ইউএনও যদি মুক্তিযোদ্ধাদের অনুরোধ করে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে পারেন তাহলে আমার কোন আপত্তি নেই।
ক্যাপশন : মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ সমিতির মুক্তিযোদ্ধাদের ১৭ মার্চের চিঠি না দেওয়ায় ইউএনও’র অপসারণ দাবী। ইউএনও মাহবুবুল হক।