নিশাত তাবাসসুম
সমাজের মতে মেয়েদের কোনো ঘর নেই ।কোনো থাকার আবাসন নেই।
বিয়ের আগে নাকি বাবার বাড়ি।আর বিয়ের পরে শ্বশুর বাড়ি।
কিন্তু আমার মতে মেয়ে ছাড়া তো কোনো ঘর তৈরিও হতে পারবে না ।কারণ মেয়েরাই তার মায়া আর শাসন দিয়ে প্রতিটা ঘর তৈরি করে।
আমার মেয়ের বিয়েতে ভরি ভরি গয়না আর ফার্নিচার না দিয়ে অল্প পরিমান কিছু দেবো।কিন্তু আমার কাছে মেয়ে ওয়ারিস হিসেবে যেই সম্পত্তি পাবে,সেটা দিয়ে মেয়েকে ছোট করে হলেও একটা ঘর বানিয়ে দেবো।অথবা ঘর করার একটা ছোট জায়গা কিনে দেবো, যেইটাতে একমাত্র হস্তক্ষেপ থাকবে শুধুমাত্র আমার মেয়ের, তার স্বামী,সন্তান,বাবা,ভাই,কেউ সেখানে কোনো অংশ পাবে না তার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত।এর ফলে অন্তত কোথাও অবহেলিত হতে হবে না ওকে।
আমার মেয়ে যেনো অন্তত বাসাটা ভাড়া দিয়ে হলেও মান্থলি একটা ইনকাম করতে পারে।
((জানো তো,আজকাল টাকা আর জায়গা ওয়ালা মানুষের খুব দাম!!))
আর বাবার বাড়িতে ভাইয়ের সংসারে বা স্বামীর বাড়িতে অথবা নিজের ছেলের সংসারে অশান্তিতে থাকলে অন্তত আমার মেয়ে দিনশেষে এইটা ভেবে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে যে,
আমার একটা ঘর আছে।
সেই ঘর টাতে গিয়ে মাঝে মাঝে আমার মেয়ে আনন্দে চোখের জল ফেলবে।মন চাইলে বেলা গড়িয়ে ঘুম থেকে উঠবে,দেরিতে খাবে।কোনো কথা শুনানোর অধিকার কারো থাকবে না।
কথাগুলোতে অনেক প্রশ্ন উঠবে আমি জানি,কিন্তু বাস্তবতা বড্ড তিক্ত।যারা ভুক্তভোগী তারাই বুঝবে আমার কথা গুলোর মর্ম।
জীবনে মেয়েরা একটা সময় একটা ঘরের খুব অভাব বোধ করে।একটা ব্যক্তিগত ঘরের অভাব। একটি মাত্র আবাসনের অভাব।