বিশেষ প্রতিনিধি
আব্দুস সালাম মিন্টু:
সোনারগাঁয়ে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে ভেসে ওঠা লাশটি উদ্ধার করেছে কাঁচপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ। এর আগে বুধবার (২০ মার্চ) বিকেলে উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের বালিয়াতলী মাঝেরচর এলাকায় লাশটি ভেসে ওঠে। লাশ উদ্ধার করা নিয়ে বৈদ্যেরবাজার নৌ ফাঁড়িপুলিশ ও কাঁচপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ ঠেলাঠেলিতে লিপ্ত হয়।
সেদিন এলাকাবাসী খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশটি উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ জানায়, নদীতে জোয়ার-ভাটা বেশি থাকায় লাশটি স্রোতের সাথে বন্দরের ধামগড় এলাকার দিকে চলে গেছে। আমরা লোকজন নিয়ে নৌকা দিয়ে নদীর বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেছি। অবশেষে শুক্রবার(২৩ মার্চ) সকাল ৭ টায় ভেসে উঠার ৩৮ ঘন্টা পর মরদেহটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয় কাচঁপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ।
এ বিষয়ে কাচঁপুর নৌ ফাঁড়ি পুলিশ পরিদর্শক তমিজউদ্দিন মিয়া বলেন, লাশটির শরীরে কোনো চামড়া ছিল না। গলিত এবং সম্পূর্ণ পঁচে গেছে। এ অবস্থায় কোনো কিছু নির্ধারণ করা সম্ভব হয় নাই। লাশটির গাঁয়ে কোনো কাপড় ছিল না। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটিকে নারায়াণগঞ্জ জেনারেল(ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এই লাশের সাথে বাঘরিতে চাঞ্চল্যকর গনপিটুনিতে ৪ ডাকাত নিহতের ঘটনার সংযোগ রয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, লাশটি ডাকাত দলের সদস্যের কিনা- এখনো তারা নিশ্চিত নয়।
ঘটনার দিন, ১৭ মার্চ(রবিবার) রাতে সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরের বাঘরী গ্রামে হঠাৎ করেই মসজিদের মাইকে ঘোষণা হয় ‘ডাকাত পরেছে’। ঘোষণার সাথে সাথে গ্রামবাসী লাঠি-সোটা নিয়ে হামলা করে সন্দেহভাজন ডাকাত দলের উপর। সেদিন রাতে গ্রামবাসীর গনপিটুনীতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় ডাকাত অভিযুক্ত ৩ জন। এছাড়া ২ জনকে আহত অবস্থায় পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে পথেই মারা যায় একজন।
তবে একইদিন রাতে ডাকাত সন্দেহে একজনকে গনপিটুনি দিয়ে অলিপুরা ব্রিজ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়া হয়, এমনটাই তথ্য জানায় বাঘরী গ্রামবাসী ও পার্শ্ববর্তী এলাকা অলিপুরাবাসী। এ ঘটনার পরের দিন সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, সেই ব্রিজের রেলিংয়ের বিভিন্ন অংশে রয়েছে রক্তের ছাপ। এছাড়া ব্রিজের সড়কের উপরে রক্তের দাগ দেখলেই মনে হয়, রক্তাক্ত কোন বস্তুকে টানা হেচড়া করে এখানে আনা হয়েছে। ব্রিজের রেলিংয়ে ও সড়কের রক্তের দাগ দেখতে ভোর সকাল থেকেই ভির করছেন উৎসুক এলাকাবাসী।
সেদিন প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানায়, মধ্যেরাতে পাশ্ববর্তী গ্রাম বাঘরীতে মসজিদের মাইকে ডাকাত দলের আক্রমনের ঘোষনা দেওয়া হয়। গ্রামবাসী ধাওয়া দিলে পালাতে চেষ্টা করে অভিযুক্ত একাধিক ডাকাত দলের সদস্যরা। এসময় হাফপ্যান্ট পড়া ভেজা শরীরে একজনকে পালাতে দেখে অলিপুরা এলাকাবাসী। সন্দেহ হলে ওই ব্যক্তির গতিরোধ করে স্থানীয়রা। কিছু প্রশ্ন করতেই আবারও পালাতে শুরু করে সন্দেহভাজন সেই ব্যাক্তি। এতে তাকে ডাকাত সন্দেহে ধরে মারধর করে স্থানীয়রা। পরবর্তীতে আধমরা অবস্থায় ব্রিজ থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ফেলে দেওয়া হয়।
নারায়াণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, লাশটি ডাকাত দলের সদস্যর কিনা এ বিষয়ে আমার জানা নেই।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ