1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
অবাধে প্যারাবন ও পাহাড় নিধনের ফলে ২৯ এপ্রিলের চাইতেও ভয়াল স্মৃতির মুখোমুখি হতে হবে মহেশখালীবাসীকে - Bikal barta
৬ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৩শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| বৃহস্পতিবার| রাত ৪:৫৬|
সংবাদ শিরোনামঃ
কালিগঞ্জ কোটচাঁদপুর ও মহেশপুর থানা মটর শ্রমিক ইউনিয়নের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন।  সভাপতি রিপন মোল্লা। সাধারণ সম্পাদক আব্বাস আলী। বিশ্বম্ভরপুরে”জয়কুলের”উপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে মানববন্ধন। দিনাজপুরে অসহায় নারী-পুরুষ ও শিশু কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে শীত উপহার বিতরণ  বীরগঞ্জে ৩৯৫কেজি ওজনের কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি উদ্ধার পটুয়াখালী জেলা গলাচিপায় তারুন্যের উৎসব ২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান  জকিগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার! আজ মতিয়ারা মুক্তার জন্মদিন মর্যাদার শোকজ খোকসা মডেল টাউনে লাশ উদ্ধারের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ২ আসামি, ভ্যান উদ্ধার শেরপুর জেলায় মিষ্টি আলু রপ্তানি হচ্ছে জাপানে

অবাধে প্যারাবন ও পাহাড় নিধনের ফলে ২৯ এপ্রিলের চাইতেও ভয়াল স্মৃতির মুখোমুখি হতে হবে মহেশখালীবাসীকে

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শনিবার, মে ৪, ২০২৪,
  • 157 জন দেখেছেন

 

স্টাফ রিপোর্টার:

মহেশখালী সমিতি – ঢাকা’র উদ্যোগে ভয়াল ২৯ এপ্রিল ১৯৯১ স্মরণে এক স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিল গত ৩ মে ঢাকার সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়।

সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাজ্জাদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবু সুফিয়ানে সঞ্চলনায় প্রধান আলোচক বিশিষ্ট সমাজবিজ্ঞানী ও প্রতিবুদ্ধিজীবি সম্পাদক সাদাত উল্লাহ খান, আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন রাজনীতিবিদ, গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান, সমিতির সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মোঃ জসিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক এরফান উদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পোদ্যোক্তা মার্শাল পাভেল, বিশিষ্ট ব্যবসায়ি ও সমিতি নির্বাহী সদস্য সাইদুল করিম, লেখক, প্রকাশক ও মুন্সিয়ানার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিরান , সমিতির প্রচার সম্পাদক সালমান এম রহমান, উইংস এর সভাপতি নাইম রহমান আকাশ, ডুসামের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ এমরান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জসিম উদ্দিন প্রমুখ। ভয়াল ঘুর্ণিঝড়ে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন সমিতির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এইচ এম একরামুল হক রানা।

বক্তারা বৈশ্বিক পরিস্থিতি ও পরিবেশগত বিপর্যয় রোধকল্পে বিভিন্ন কথা বলেন। সমাজবিজ্ঞানী ও প্রতিবুদ্ধিজীবি সম্পাদক সাদাত উল্লাহ খান বলেন, উপকূলের বেড়িবাঁধগুলো অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় আছে। এগুলো ৯৯ ভাগ মাটির তৈরি এবং বিভিন্ন স্থানে এগুলো ভেঙে গেছে। আশু পরিকল্পনা করে এগুলো মেরামত ও স্থায়ী কনক্রিটের বেড়িবাঁধ করা জরুরি। আবার ’৯১ এর মতো দুর্যোগ হলে লাখ লাখ লোক মারা যাবে, তলিয়ে যাবে সমুদ্র জলে। এটা উপকূলবাসীর শুধু জীবন রক্ষায় কাজ করবে তা নয় প্রবল জোয়ার থেকেও বাঁচাবে আর কানেকটিং সড়ক হিসাবে কাজ করবে।

গণমাধ্যম ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মুহাম্মদ আতা উল্লাহ খান বলেন, উপকূলকে ঝড় জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষা করে প্যারাবন কিন্তু দুর্বৃত্তরা নির্বিচারে প্যারাবন ধ্বংস করছেন। সিনৃডিকেট করে অবাধে প্যারাবন ও পাহাড় নিধনের কারনে ২৯ এপ্রিলের চাইতেও ভয়াল স্মৃতির মুখোমুখি হতে হবে মহেশখালী বাসীকে। এ অপকর্মে দলমত সবাই সিন্ডিকেট করে একজোট হয়েছে। স্থানীয়ভাবে ওদের প্রতিরোধ বা মামলা করা সম্ভব নয়। আমাদের কেন্দ্রীয়ভাবে একটা কমিটি করতে হবে যারা পরিবেশ ধ্বংসের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে মামলা করবে। একমাত্র মামলাকেই অপরাধীরা ভয় পায়।

লেখক, প্রকাশক ও মুন্সিয়ানার সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন মিরান বলেন, উপকূলীয় বন যে কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে। নইলে উপকূল চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে। যেভাবে প্যারাবন নিধন চলছে তাতে আগামী ২০-৩০ বছর পর মহেশখালী থাকবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহপোষন করেন বক্তারা। এই ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেকোন মূল্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে বলে মতামত ব্যক্ত করেন তারা। বক্তারা বলেন, যে উন্নয়ন বনকে ধ্বংস করে, পাহাড়কে ধ্বংস করে সে উন্নয়ন চাই না। আমরা চাই প্রকৃতি বান্ধব উন্নয়ন।

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ও শিল্পোদ্যোক্তা মার্শাল পাভেল বলেন, উপকূলীয় বন যে কোন উপায়ে রক্ষা করতে হবে। নইলে উপকূল চরম ঝুঁকির মুখে পড়বে। যেভাবে প্যারাবন নিধন চলছে তাতে আগামী ২০-৩০ বছর পর মহেশখালী থাকবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহপোষন করেন বক্তারা। এই ধ্বংসের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে যেকোন মূল্যে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে

বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমিতি নির্বাহী সদস্য সাইদুল করিম বলেন, উপকূলীয় এলাকায় বছরের বিভিন্ন সময়ে ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন, টর্ণেডো সহ নানারকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ আঘাত হানে। এর ফলে ঘরবাড়ি, ফসল ও সম্পদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকাংশে কমিয়ে আনে সৃজিত উপকূলীয় প্যারাবন। যেখানে নতুন নতুন বন সৃজন করার কথা, সম্প্রসারিত করার কথা- সেখানে তা ধ্বংস করা হচ্ছে, সংকুচিত করা হচ্ছে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!