দয়াল কৃষ্ণ সানা
কি দেখো তুমি–
অমন করে অপলক?
তোমার দৃষ্টি কে।
আমি তোমার দৃষ্টির
দীপ্ত উচ্ছ্বলতাকে
অনুক্ষণ লক্ষ করি।
যখনই তোমার প্রশংসা করেছি,
তুমি অকারণে হয়েছ বিরক্ত
দু’একটি কথা কখনো বলেছো
কিঞ্চিৎ কপোট অভিমানে।
আমি আরো শুনেছি
তোমার কন্ঠের কম্পিত কথামালা
ঠিক যেন–
প্রণয়নির প্রথম প্রশ্নের
প্রকম্পিত প্রেমের পরশ।
আমি আরো লক্ষ্য করেছি
আমার সাথে কইতে কথা
তোমার চাঁদ বদনের উচ্ছ্বলতা
চকিতে,চমকে, কেঁপে কেঁপে থেমে গেছে
কথা শেষের আগেই।
তুমি অকারণ লাজে
হয়েছো লজ্জাবতী ললনা।
আমি আরও লক্ষ্য করেছি
ফিরে যাওয়ার পথে
পদযুগল তোমার
বিষাদে কেঁপে থেমে থেমে
আবার চলতে শুরু করল।
চাউনিতে তোমার
সকল চলিষ্ণু চঞ্চলতা
ধ্রুবতারা সম ।
অনড়,স্থির হয়েছিল
ক্ষনিক বিবাগী আবেগে।
যে তার প্রতিজ্ঞা বদলাবে না
আর কখনো –
ভেবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল;
তাকে তার
প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করাতে চাওয়ায়
কোন কৃতিত্ব নেই ।
সময়ের সাথে সে নিজেই
নিজের সিদ্ধান্ত বদলাবে
ততক্ষণ পর্যন্ত তোমার
ধৈর্য্য ধরতে হবে।
তা আর –
কখনো হবার নয় –অভিমানী।