নিজস্ব প্রতিবেদক:
কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন মনিরঝিল সোনাইছড়ি পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতি লিঃ এর৷ ব্যবস্থাপনা কমিটির মাধ্যমে সাভাবিকভাবে পরিচালীত হয়ে আসছিল। সম্প্রতি কমিটির মেয়াদ শেষ হতে না হতেই স্থানীয় বাসিন্দা আওয়ামী খুনি সৈরাচারের দোসর শেখ মুজিবের মাজার পুজারী অবৈধ বিকাশ এমপি কমলের ঘনিষ্টজন হিসাবে পরিচিত একটি আওয়ামী চক্র, যারা বিগত ১৫/১৬ বছর ধরে সাবেক অবৈধ বিকাশ এমপি কমলের অস্বাভাবিক দাপট দেখিয়ে অবৈধভাবেই বিভিন্ন অনিয়ম, রাজত্ব করে টাকার পাহাড় গড়েছেন। সেই কালো টাকার বিনিময়ে সূত্রমতে জানা যায় (২৫০,০০০ টাকার বিনিময়ে) রামু উপজেলা সমবায় অফিসার আবুল কালাম এবং জেলা সমবায় অফিসার মোঃ জহির আব্বাসকে মেনেজ করে সিরাজুল ইসলাম, পিতা-মৃত আয়ুব আলী এবং আব্দুস সালাম, পিতা-মৃত গোরা মিয়া এর নেতৃত্বে বর্তমান কমিটির অগোচরে তিন সদস্য্য বিশিষ্ট অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি নামে একটি কমিটি নিয়ে আসে (কক্সবাজার জেলা সমবায় কর্যালয় হতে কমিটির আদেশ নং ১৪০৩,তারিখ ০৮/১২/২০২৪)। এ বিষয়ে বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুর রহিমের সাৎে যোগাযোগ করা হলে রামু উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা জনাব আবুল কালাম তাদের ফেবারে কমিটি দেওয়ার শর্তে এক লক্ষ টাকা ঘুষ চেয়েছিল তা দিতে না পারায় যারা টাকা দিতে পেরেছে তাদের কমিটি দিয়েছেন বলে জানান। । স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর অভিযোগ করে বলেন-যারা পানি ব্যবস্থাপনা কমিটিতে আসছে বলে শুনা যাচ্ছে তারা এলাকার আতংক। তারা সুযোগ পেলে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। তাদের দ্বারা সাধারন কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবার সম্ভাবনার আশংকা প্রকাশ করেছেন অনেকেই। স্থানীয়রা আরও অভিযোগ করে বলেন- সিন্ডিকেটটি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজারের বিভিন্ন সিনিয়র আওয়ামী নেতাদের দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত হয়ে এই মনিরঝিলের সাধারণ মানুষদের মনে ভীতি তৈরী করে যা ইচ্ছা তাই করে গিয়েছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধ। গত ১৫/১৬ বছর এলাকাবাসী এই বিষয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়নি এমনকি কিছু বলতে গেলেই মামলা হামলার হুমকী-ধামকী দিয়ে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন এই চক্রটি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন প্রত্যক্ষদর্শী এলাকায় বিভিন্ন এনজিও কতৃক প্রদত্ত্ব এবং বাস্তবায়িত কৃষি সমিতির লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে এই চক্রের বিরুদ্ধে। কর্মরত অনেকেই এই বিষয়ে অবগত থেকেও ভয়ে কিছু বলতে নারাজ। বিপুল পরিমান টাকার বিনিময়ে দেওয়া এই অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির বিষয়ে রামু উপজেলা সমবায় অফিসার জনাব আবুল কালমের কাছে জানতে চাইলে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন এবং নিউজ না করার জন্য প্রয়োজনে সম্মানী দেওয়ার প্রস্তাব দেন। বিষয়টি রামু উপজেলা প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি তদন্তের মাধ্যমে ব্যাবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান- কালো টাকায় কেনা অবৈধ কমিটি অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। অন্যতায় ঘুষখোর অফিসারদের অপসারণের জন্য সাংবাদিক সম্মেলন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বারকলীপিসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। তাছাড়া চক্রটি বিগত অবৈধ আওয়ামীলিগ সরকারের নাম ভাঙ্গিয়ে দীর্ঘদিন এই অপকর্ম করে ক্ষ্যন্ত হয়নি বর্তমান সময়ে জেলা উপজেলা কিছু অঙ্গ সংগঠনের নেতাদের আশ্রয়-পশ্রয়ে এবং নাম ভাঙ্গিয়ে সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে এই ধরনের অপকর্ম চালিয়েছেন। জেলা সমবায় অফিসার জনাব মোঃ জহির আব্বাসের বক্তব্য নিতে একাধিকবার মোবাইল ফোনে কল করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।