ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সজীব মিয়া।
২০১০ লাশ থেকে এ পর্যন্ত ভারত সীমান্ত এলাকায় ১২৭৬ বাংলাদেশি সীমান্ত হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। আহত ১১৮৩ জন।
গত চার মাসে এ হত্যার সংখ্যা ২১ জন। অভিযোগের তীর ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র দিকে। চলতি মাসের ৫ তারিখে মায়ানমারের আভ্যন্তরীন ‘যুদ্ধের’ মটারসেল বাংলাদেশ সীমান্তে পড়ে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছে।
এ পরিস্থিতিকে সীমান্তে ‘লাশের মিছিল’ বলে আখ্যায়িত করা হলো। অভিযোগ করা হলো, গুলি করে পাখির মতো মানুষ হত্যা করা হচ্ছে। দাবি জানানো হয়েছে, এ আগ্রাসন বন্ধের। এমন হত্যাকান্ড বন্ধে কিছু প্রস্তাবনাও তুলে ধরা হয়েছে।
এই হত্যাকান্ড বন্ধে প্রতীকী ‘লাশের মিছিল’ নিয়ে ব্যতিক্রম প্রচারণা চালানো শুরু হয়েছে। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া পর্যন্ত দেশের প্রতিটি সীমান্ত এলাকায় এ প্রচারণা চালানো হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করা হয়। শেষ করা হবে যশোরের বেনাপোল সীমান্তে।
এ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাতে সোমবার(১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আসেন পাঁচ নাগরিক। মূলত ওই পাঁচ নাগরিকই দেশের বিভিন্ন সীমান্তে হত্যাবন্ধে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাবেন। তারা প্রতীকী লাশ নিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করছেন।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে আখাউড়া পৌর শহরের সড়ক বাজারে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে নোয়াখালীর মাইজদীর মো. হানিফ নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে কর্মসূচি পালিত হয়। তার সঙ্গে ছিলেন, চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর নুরুল আজিম, রংপুরের পীরগাছার মো. আবু হোসেন নীরব, ঝালকাঠির সৌরভ হোসেন বেলাল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের মো. আরিফ। কর্মসূচিতে স্থানীয় সাধারন মানুষও যোগ দেয়। উপজেলা পরিষদের সামনে কর্মসূচির শুরু করা হয়। মো. হানিফ সাংবাদিকদের জানান, গরু চোর কিংবা গরু চোরকারবারি বলে সীমান্তে এভাবে মানুষ হত্যা করা ঠিক নয়। এ হত্যা বন্ধের দাবিতে ও সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যেই সারাদেশের সীমান্ত এলাকায় প্রতীকী লাশ নিয়ে মিছিল করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমরা সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি সীমান্ত এলাকার মানুষের কর্মসংস্থার সৃষ্টির দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি হত্যা বন্ধে দু’দেশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছি। আমরা এমন মৃত্যু আর দেখতে চাই না।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ