ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে বিশেষ প্রতিনিধি মোহাম্মদ সজীব মিয়া: কৃষিনির্ভর বিজয়নগর উপজেলায় কয়েক যুগ ধরে আখের রস থেকে তৈরি হচ্ছে তরল গুড়। স্থানীয়রা বলে লালি গুড়। শীতকালে বিভিন্ন পিঠা-পুলির সঙ্গে মুখরোচক লালি স্বাদে আনে ভিন্নতা। অনেকে আবার মুড়ির সঙ্গে মেখেও স্বাদ নেন লালির। এবছর ১ কোটি ৩০ লাখ টাকারও বেশি মূল্যের লালি বিক্রি হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। মূলত উৎপাদনে খরচ বাড়ায় এবং আখ চাষ কমে যাওয়ায় লালির উৎপাদন কমেছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।
বিজয়নগর উপজেলার বিষ্ণুপুর, দুলালপুর ও বক্তারমুড়া গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবার বংশপরম্পরায় বাণিজিক্যভাবে লালি উৎপাদন করে আসছে। প্রতিবছর শীতের শুরুতে লালি তৈরির কাজ শুরু করে পরিবারগুলো। মূলত নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত চলে লালি তৈরি ও কেনাবেচা। প্রতিকেজি লালি বা তরল গুড় খুচরা বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর, কসবা ও আখাউড়া উপজেলার কিছু এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে আখ চাষ করা হয়। এসব আখের রস থেকে লালি উৎপাদন করে চাষিরা। চলতি বছর বিজয়নগরে ২৫ হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়েছে। এ উপজেলার ২৫ হেক্টর জমিতে চাষ করা আখ থেকে অন্তত একশ টনেরও বেশি লালি উৎপাদন হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ। যার বাজারমূল্য ১ কোটি ৩০ লাখ টাকারও বেশি।