মাসুদ রানা মাসুম
বিশেষ প্রতিনিধি, বান্দরবান।
(সরজমিনে পর্যপেক্ষণ প্রতিবেদন)
বান্দরবান রুমা উপজেলা। বাংলাদেশের বর্তমান সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত একটি উপজেলা। এই উপজেলায় একটা সময় ছিলো যখন এখানকার সব জাতি গোষ্টি সকলে একে অপরের সৌহার্দ্য পূর্ণ ও ভাতৃত্ব বোধ বজায় রেখে চলতো। একিসাথে ব্যাবসা বানিজ্যসহ বিভিন্ন ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা ও বিনয়ের সঙ্গে নানান ভাবে একে-অপরের সংঙে যোগদান বা যোগদর্শন করতেন। এমনকি কোন কোন অনুষ্ঠানে উচ্চপর্যায়ে সরকারী কর্মকর্তারা উপস্তিত হতেন। সেসব অনুষ্টান আয়োজন করা হতো সামান্যতম নিরাপত্তা মধ্যে দিয়ে। কেনবা করা হবেনা। তখন যে সবার উদ্দেশ্য ছিলো একটাই। এই উপজেলাটির সার্ভিক উন্নয়ন ও উন্নতি ঘটানো। উপজেলাটির বিশেষত্ব ও প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি হওয়া। স্থানীয়দের মতে মূলত ২০০১/০২ থেকে শুরু হয় রুমা উপজেলার উন্নয়ন এর ধাবাহিকতা। ২০১৩সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তাগন সরাসরি স্ব শরীরে উপস্থিত হয়ে উদ্বোধন করেন শত কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত রুমা সেতু। যা রুমা থেকে জেলা সদরের সাথে যাতায়াত ব্যাবাস্তাপনা শতভাগ সহজলভ্য করে তোলে। তাতেই আমুল পরিবর্তন আসে যোগাযোগ, ব্যাবসা বানিজ্য ও পর্যটন শিল্পে। তারপরই নানান জেলার নানান দেশী বিদেশি পর্যটক আগমন, দ্রুত বেড়ে ওঠে রুমা উপজেলাতে। ফলে মহা পরিবর্তন আসে স্থানীয় জনসাধারণের জীবন যাবনে। কেননা রুমা বাংলাদেশের একটি সম্পিতির পর্যটক বান্ধব স্থান। এখানে আছে বগালেক, দার্জিলিং, কেকারাডং, তাজিংডং, জাদিপাই ঝর্না, সাকাহাপং, পুকুরপারা, রিজুক ঝর্না সহ বিভিন্ন নামীদামী পর্যটক স্পষ্ট। তাই রুমা সেতু চালু হওয়ার পর সরকার দূত পদক্ষেপ নেন রুমা উপজেলাটির আরো অবকাঠামো উন্নয়ের। যার কিছু অংশ না বললে নয়। যেমন রুমা বগলেক কেকারাডং সহ আসেপাশের বিভিন্ন পাড়াগুলোতে হাজার হাজার ফুট দুরত্বে, জিয়া পাইপ দিয়ে নিরবিচ্ছিন্ন জল সরবরাহের ব্যাবস্থা করে দেন । বগালেক পাড়াতে মসজিদ ও গীর্জাসহ পর্যটকদের জন্য কর্টেক্স নির্মাণ করেন স্থানীয় জেলা পরিষদ সহ সেনাবাহিনী। রুমাতে পাড়ায় পাড়ায় প্রাইমারি স্কুল, গভীর নলকূপ, ছোট বড় কালবার্ট, সোলার বিদ্যুৎ , কৃষি উপকরণ কত কী বিতরণ ও স্থাপন করেন তার কোন শেষ নেই। সত্যি বলতে রুমাবাসী বা স্থানীয়দের মতে বান্দরবান জেলা পরিষদ এমন একটি প্রতিষ্ঠান, যারা যা চেয়েছে তাদের তাই সর্বোচ্চ সংখ্যাক সরবরাহ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। যাতে করে এখানকার জনসাধারণ কোন ভাবেই নাগরিক অধিকার বা নাগরিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়। শুধু মাত্র রুমা উপজেলার দিকে বিশেষ নজর রেখেছিলো বান্দরবান জেলা পরিষদ ও বাংলাদশ সরকার। যেন কোন সন্দেহ নেই। আসলে উন্নয়ন এর সর্বোচ্চ ছোঁয়া পৌছে দিয়েছে বান্দবান জেলার সমস্ত উপজেলায়, প্রতিটি ইয়নিয়নে, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি জাতিকে। এমনকি কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় গ্রামীণ সমিতি বা বিভিন্ন উদ্যোগতাকে। আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করেছেন বাংলাদেশ সরকার । যা দেখেছি বুজেছি শুনেছি এতটুকুতেই বেশ ভালোই ছিলো এ জেলার স্থানীয় জনগন। কোভিট নাইন্টিন এর পর খুব শক্ত ভাবেই ঘুরে দাড়াতে শুরু করেছিলো বান্দরবান জেলা উপজেলাবাসী। কৃষি ও পর্যটকখাতসহ বান্দরবানের সমস্ত বানিজ্যখাত দারুন চাঙা হয়ে উঠেছিল। জনপ্রিয় কিছু এনজিও সংস্থা তাদের ঋন বিতরণ ও উন্নয়ন কার্জক্রমে জোর তৎপরতা এনেছিলো। জাতিসংঘের ইউএনডিপি, ইউএসএইড ও এফওএফ পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক শৃঙ্খলা এবং খাদ্য কর্মসূচিতে মর্যাদাপূর্ন ভুমিকা রাখছিলো। সরকারের পাশাপাশি এনজিও গুলো মূখ্যম ভূমিকা পালন করে চলছিলো এখানকার নাগরিকদের উন্নয়নে।
তাই হয়তো ভালো থাকার শত্রু বেশি? ভাল না থাক এদেশের মানুষসহ পার্বত্য অঞ্চল এর জনগন। কেউ বা কোনদেশ চেয়েছিলো তা। শকুন দৃষ্টিতে নজর দিয়েছিলো শান্তি ও সম্পৃতির জেলা বান্দরবানের দিকে। টার্গেট করা হয়ে ছিলো আরো শান্তি ও সম্পৃতির ছায়াঘর নামে পরিচিত রুমা উপজেলাকে। যেখানে একসাথে ৩৬ জাতির বন্ধুত্তপূর্ন বসাবাস। রুমা সেতু হওয়ার আগেও যেখানে বানিজ্যখাত ছিলো অনন্য উপজেলা গুলো থেকে আরো সমিদ্ধ। অতএব এত উন্নয়ন উন্নতি শিক্ষা ও যোগাযোগ ব্যাবস্তা সহ পাহাড়ি জীবনমান সহজতর হওয়ার পরেও কেন স্থানীয় জনসাধারণের মন আতংক গ্রস্ত আজ ? কেন উজ্জীবিত উপজেলাটির ভবিষ্যত আজ অন্ধকার? কেন এখানকার মানুষ এখন অপরাধী ও অনুতপ্তকারী? কে কারা এর জন্য দায়? নিশ্চয়ই কি নাথান বম বা তার সংঘটন কুকুচিন?? নাকি…অন্য কেউ ???
হ্যাঁ, নাথান বম। ইন্টারনেট সুত্র মতে ঢাকার চারুকলার ছাত্র সে। বম সম্পদায়ের শিক্ষিত যুবক। রুমা ইডেন পাড়ার বাসিন্দা। আসলে নাথান বমের সাথে যারা সরাসরি বন্ধুত্বপূর্ণ মিশেছেন তারাই ওনার সম্পর্কে ভালো জানবেন। তবে কিছু স্থানীয়দের তথ্য মতে সে যেহেতু চারুকলার ছাত্র সেহেতু তার হৃদয় কোমল হওয়ার কথা। কিন্তু এখনকার তাদের ভাষ্য মতে সে ছিলো মিষ্টি ভাষি শিকারী মানব।
যা কোন ভাবেই কাম্য ছিলো না রুমাবাসী বা অধিকাংশ বম জাতির মধ্যেও।
রুমা উপজেলা ঘুরে আরো জানতে পারে যায় নাথান বম যে অর্গানাইজেশন গড়ে তুলেছিলেন তা ছিলো ভারতের মনিপুর কুকিজাতি গোষ্ঠীর সংঘটন গুলোর মতই। যারা মুখে মিষ্টি কথা বলে নিরীহ মানুষের মস্তিষ্ক ওয়াস করে নিজ দেশের আইনকানুন বিরোধীতা করছে। নাথান বম যেহুতু চারুকলার ছাত্র সে এবিষয়ে নিশ্চিত নমনীয় ভাবে মহা পটু ছিলেন। খুব সহজে নিজের জাতির সহজসরল লোকদের লোভনীয় মিষ্টি ভাষায় প্রলোভনমুখী কথা বলে তাদের নিজ স্বার্থে যে কোন কার্যকলাপ করিয়ে নিতে পারতেন। নাথান বমের কথা, ভাষা ও উচ্চারণ যেহেতু শৈল্পিক, এতে বম জাতির কিছু বেকার যুবক তাহার অনুযায়ী হয়ে পড়েন। একসময় ইয়াং জেনারেশন তাহার কথা ও নির্দেশ মোতাবেগ শুরু করে। আর তাতেই দেশী বিদেশি শকুন বা দেশ বিরোধীদের কু চক্র, বিশেষ দৃষ্টি দেন নাথান বম এর উপর।
পাহাড়কন্যা বান্দরবান বা পার্বত্য জেলাগুলোকে
ধংশ ও দখল অথবা পর্যটক বিমুখ করতেই বিষাক্ত এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় নাথান বমকে। সেটা কোন না কোন ভাবে। অবশ্যই প্রচুর লোভ লালসা দেখিয়ে অর্থ প্রদান করেন বাংলাদেশ বিরোধী চক্রান্তকারীরা। আর তাতে তিনিও নিজ স্বার্থে নিজ বম জাতিকেই মহাটোপ হিসেবে ব্যাবহার শুরু করেন এবং বম জাতির সহজসরল যুবক যুবতীদের, মিষ্টিমুখে মিথ্যে বানোয়াট স্বপ্ন দেখিয়ে রাষ্ট্র বিরোধী সন্ত্রাস বানিয়ে তুলেন। নিজ মন গড়া কাল্পনিক দেশ শাষণ শোষণ করার চিত্র, সিনেমার মতো ফুটিয়ে তুলেন পরিশ্রমী ও কিছু মেধাবী বম জনগোষ্ঠীর হৃদয়ে। সে মিষ্টি সুরে নমনীয় কৌশলে সরল বম যুবক যুবতীদের ব্রেনওয়াশ করে রাস্ট্রের বিপক্ষে অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্যা করেন। কেননা নাথান বম যেহুতু রাস্ট্রদোহী এজেন্ট তাই দিনের পর দিন এসব করতেই হতো তাকে তার লাভের জন্য। যার ফলে সে প্রায়সয় বিদেশ যেতেন কৌশলী কথাবার্তা ও অস্ত্র টেনিং নেওয়া জন্য। যা এখন নিশ্চিত ভাবে বিশ্বাস করেন রুমার প্রায় সকল স্থানীয়রা।
তাছাড়া রুমা উপজেলার মানুষেরা কেউ কেউ আরো মনে করেন সে একইসঙ্গে একদিকে সরকার অন্যদিকে রাষ্ট্র বিরোধীদের সাথেও ভীষণ সক্ষতা বজায় রেখে চলতেন। যাতে সে নিজের উচ্চবিলাসী আশা আকাংখা পূরণে সর্বত্র সক্ষম হন। বর্তমানে অনেক শিক্ষিত বমজাতিসহ বিভিন্ন জাতির লোকেরা নাথান বমের এই ছলচাতুরী যা আগে বুজতে পারিনি বলে জানা যায়।
আসলে নাথান বম তখনকার সময়ে যেসব কর্মকাণ্ড করেছেন সব নিজ স্বার্থে নিজের নাম কামাইয়ের জন্যই করেছেন। তাছাড়া যেহুতু সে বাংলাদেশ বিরোধী পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর মোটা অংকের বেতন ভুক্ত এজেন্ট ছিলেন, তাই তাকে এসব চর্চা করতে হতো। (সূত্র:- বাংলাদেশ গনমধ্যাম)
আর এখন তো অনেকের মুখে এও শোনা যায় নাথান বম এজেন্ট হিসাবে নিজের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছেন। সে একদিকে পার্বত্য অঞ্চলের সুনাম নষ্ট করা, বানিজ্য ও পর্যটনখাতকে স্থবির এবং নিজ বম জাতির প্রতি প্রতিশোধ নেওয়া হয়ে গেছে নাথান বম এর (কেননা বাল্য ও শিক্ষা জীবনে নিজ বমজাতি থেকে তেমন সহযোগিতা না পাওয়ার আখ্যেপ)। এ কারনেই নিজের স্বার্থে, বম জাতির অস্তিত্ব বিলুপ্ত করা বা তাদের ধংষের মুখে ঢেলে দেওয়া তার জন্য কোন ব্যাপারি ছিলোনা বলে মনে কিছু রুমা কিছু সংখ্যক মুরব্বিরা। অন্যদিকে এসব চক্রান্ত করার জন্য যারা তাকে রাষ্ট্রবিরোধী এজেন্ট নিয়োগ দিয়েছিলো, তাদের টাকায় এখন সে বিলাসী জীবন যাবন করছেন পার্শ্ববর্তী কোন এক দেশের সন্দেহজনক রাজ্যে। অথচ তারই নির্দেশ মতে চলতে যাওয়া পরিশ্রমী বমজাতির আজ মা বোন স্ত্রী, অনেকে সন্তান ছাড়া এবং স্ত্রী সন্তানেরা স্বামী পিতা ছাড়া হয়ে গেছেন। চাপা কান্নার নোনাজলে ডুবে যাচ্ছে বৃদ্ধ মা বোনেরা। এখন বাংলাদেশ সরকারের আর্থিক ও খাদ্য সহযোগিতায় বেঁচে আছে নিরীহ সাধারণ বম হতদরিদ্র সদস্যরা। তবে চিকিৎসা ও শিক্ষা ক্ষেত্রে আংশিক জটিলতা পোহাতে হচ্ছে তাদের। এছাড়া কুকি-চিন এর ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় শত শত বম যুবকরা কেউ পলাতক কেউ জেলে আর কেউ সন্তার্স বাদে যোগ দিয়েছেন এখন। আর কেউ কেউ অতর্কিত ভাবে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপর। সেনা কর্মকর্তা খুন সহ নির্বিচারে বিভিন্ন জাতির স্থানীয় জনসাধারণকে অপহরণ হত্যা, গুম ও চাঁদাবাজি কাজে লিপ্ত হয়ে গেছেন তারা বা তাদের কুকি-চিন সংঘটনের বেশ কিছু বেপরোয়া সদস্যরা।
অথচ স্থানীয় জনসাধারণের মতে সমস্ত কিছুর জন্য দায়ী শুধু একজনই নাথান বম। রুমা বাসীর মতে স্রার্থ লোভী পুরুষ। নিজের জাতির অস্তিত্ব সংকট পরবে জেনেও শুধু নাম কামানো ও অর্থের নেশায় বান্দরবান সব জাতিকেই ৫০ বছরের পিছনে ঢেলে দিয়েছে এই মানুষটি। যদিও নাথান বম এখনো পলাতক বা ফেরারি অথবা নিরুদ্দেশ কিংবা ভিনদেশী অতিথি হয়ে গেছেন। অথচ তার কর্মকাণ্ড জন্যই এখানখার জনসাধারণ আজ অবিশাপ্ত জীবন যাপন করছেন। বিষেস করে সাধারণ বমজাতিরা। জননিরাপত্তার জন্য প্রশাসনকে বাধ্য করেছেন সাধারনের চলাচল ও বাজারঘাট এবং ক্রয় বিক্রয় উপর বেশ কিছুটা কটোরতা আরোপ আর বাঁধা নিষেধ এর বেড়াজাল তৈরিতে। যা স্বাধীন রাষ্ট্রে যে কোন নাগরিকের স্বাধীনতা হরনের সমান। হয়তো এটা আরো দীর্ঘ মেয়াদে ধারণ করছে । জীবন ধারনের জীবিকা বা উপার্জন প্রতিদিন হ্রাস পাচ্ছে এখানে। রাষ্ট্রিই সম্পদ কৃষি পন্য উৎপাদন কমে এসেছে সর্বনিম্ন পর্যায়ে। পর্যটক আসা দুরে থাক, ইতিমধ্যেই স্থানীয় ব্যাবশায়ীরা অনেকেই ব্যাবসা গুটিয়ে চলে যাওয়া শুরু করেছেন। পরিষ্কার ভাবে হতাশাগ্রস্থ ও মানসিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে এখানে বসবাসরত নিরীহ মানুষের চোখে মুখে। নিশ্চিহ্ন বা নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছে বহু ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান, দোকানপাট, এনজিও এবং ঋণ বিতরণ সংস্থাগুলো।
অর্থাৎ এভাবে চলতে থাকলে রুমা নিষ্প্রাণ হয়ে যেতে বেশি সময় লাগবে না। সাধারণ জনগণের পরিবর্তে রুমা হবে সন্ত্রাস ও প্রশাসনের ।
তাহলে উপায় কী? সমাধান কোথায়?
সত্যি বলতে বর্তমান পরিস্থিত অনুযায়ী দূত সমাধান পাওয়ার উপায়টিও বেশ জটিল। তবে নিশ্চয়ই সম্ভব। যেমন প্রয়োজন অনুযায়ী আরো কিছু সংখ্যক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্যাম্প বা ফাঁড়ি স্থাপন করা রুমা থেকে বগালেক সড়কে। যেহেতু পর্যটক দের জন্য এই সড়কটিই বর্তমানে অনিরাপদ ও ঝুকিপূর্ণ বলে মনে করা হয় । এরপর আপতত বগালেক ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়ে পরিস্থিতি গবীরভাবে অবজারভেশন এবং পরিচালনা করা। যার পরিচালক হবেন সাময়িক বাহিনী ও উপজেলা প্রসাশক। কৃষিখাতকে সম্পূর্ণ উন্মুক্ত করে উতপাদন ও বিপণন বাড়াতে অতিরিক্ত সহায়তা প্রধান করা কৃষক ও জুমচাষীদের। নিরীহ পাহাড়ি বাংগালী জনসাধারণের চাওয়াপাওয়া বুজতে ও জানতে দাপ্তরিক প্রশাসনিক কমিটি গঠন করা। এবং যে কোন সন্তাসী কার্যক্রম বন্ধে আরো সর্বোচ্চ কঠিনতম গ্রহণযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়া। সরকারের সমস্ত নির্বাহী কার্যক্রম সঠিক পরিচালনা ও জোরালোভাবে তা বাস্তবায়ন করা। অতিশীঘ্রই (যদি সম্ভব হয়)রুমা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন এবং রুমা সদর ইউনিয়ন পরিষদ এর উপনির্বাচন আয়োজন করা। কেননা অত্র এলাকার জনসাধারণ ও জনপ্রতিনিধিদের নিষ্ক্রিয়তা দুরকরণের, প্রাথমিক চাওয়া পাওয়া হলো স্থগিত হয়ে থাকা স্থানীয় নির্বাচন। এই নির্বাচন না হওয়ার ফলে জনপ্রতিনিধিরা কেউ কেউ বেসামাল হয়ে উঠছেন। দলীয় কার্যক্রম স্থবির হওয়ায়, ভালোবাসা কমতে শুরু করেছে রুমা উপজেলাবাসীর প্রতি। ভবিষ্যত প্রজন্মেকে সঠিক দিক নির্দেশনা দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন নেতারা। নিরুপায় হয়ে কোণঠাসা সময় অতিবাহিত করছেন চেয়ারম্যানরা মেম্বারা। কোন কোন চেয়ারম্যান যেমন পাইন্দু চেয়ারম্যান তাঁর ইউনিয়নে সরকারি বেসরকারি কার্যক্রম কমে আসায় সে এখন হতাশগ্রস্ত বা বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন । সে প্রায়সই তাঁর ইউনিয়নের সাধারণ জনগনের সংগে বাকবিতন্ডতায় জরিয়ে পরছেন। স্থানীয় পত্রপত্রিকা গুলোতে তাঁহার কর্মঅপকর্ম গুলো হারহামেশায় একের পর এক প্রকাশ পাচ্ছে। তাই দিন দিন জনগণের কাছ থেকেও দুরে সরে যাচ্ছে ওনিসহ প্রায় সকল স্থানীয় নেতৃত্ব দানকারীরা। সত্যি বলতে এসব নির্বাচন গুলো সুষ্ঠ ও অংশগ্রহণমূলক ভাবে অতিদ্রুত আয়োজন করা উচিত বাংলাদেশ সরকারের । কারণ একমাত্র নির্বাচনই পারে, সব জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একতাবদ্ধ রাখতে । এতে যদি বম সম্প্রদায়ের কিছু ভোটার অনুপস্থিতি থাকে তাও বর্তমান নিরীহ স্থানীয়দের জীবনমানের স্বার্থে সরকারকে অবশ্যই কিছুটা ত্যাগী এবং সহনশীলতা প্রদর্শন করতে হবে। নাখান বম বা কুকি-চিন সংঘটনের সবাইকে পুনরায় সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে, আত্তসমর্পণে সক্রিয় ভূমিকা পালন করা অথবা বাধ্য করা । অন্যথায় এদের দমনে আরো কঠোর থেকে কঠোর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া প্রশাসনের । যা এখন রুমা ও বান্দরবানবাসীর প্রাণ এর দাবী হয়ে দাড়িয়েছে। তাই অতিদ্রুততার সাথে এই মহামুসকিল সমাধান করা।যাতে রুমা উপজেলা হয়ে ওঠে আগের মত প্রানজ্বল সৌহার্দ্যপূর্ণ মাধুর্যময় সম্পৃতির রুমা। ভালোবাসার আবেগ, ভালোলাগার বিবেক, ভালোথাকার গতিবেগ,
যেন রুমাবাসী আবার ফিরে পায় রুমা উপজেলার হারানো সুস্থ পরিবেশ ও স্বাধীন জীবনযাপন।
বি: দ্রব্য : পর্যপেক্ষণ প্রতিবেদন এবং পরিস্থিতি অনুকূল না থাকায় প্রতিবেদকের কোন স্থানীয় কতৃপক্ষ বা উর্ধতন কোন কর্মকর্তা সাক্ষাৎকার গ্রহণ সম্ভব হয়নি।