মনোয়ার হোসেন সেলিম নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি:
আজ বাংলা নববর্ষ । ১৪৩২ বছরের প্রথম দিন। বৈশাখী বছরের নতুন এই দিনে বরণে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে সারা দেশ। ভোরের আলো রাঙিয়ে দিয়েছে নতুন স্বপ্ন, নতুন রুপ ও নতুন প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। পহেলা বৈশাখ বাঙালির জীবনে শুধু নতুন বছরের শুরুই নয়, এদিনে জীর্ণ-পুরোনো দিন গুলোকে ভূলে গিয়ে মন থেকে মুছে ফেলে নতুন দিনের আশা করে বাঙালি।
নতুন এই বছরকে বরণ করে নিতে পূর্বের মতো এবারও প্রস্তুত সমগ্র বাংলাদেশ। বৈশাখ উপলক্ষে বাঙালি জাতি ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের জাতি নিজেরা উৎস করে এই দিনে। তাই এবার সরকারি ভাবেই নববর্ষের এই আয়োজনে যুক্ত হয়েছে অন্য অন্য জাতিসত্তা গুলোও।
রাজধানীসহ দেশজুড়ে চলছে বাংলা নববর্ষের আয়োজন। বাংলা নববর্ষ উদযাপনে নানা কর্মসূচি নিয়েছে সরকার। রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করছে ছায়ানট।
এই দিনটি সরকারি ছুটির দিন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে। ছায়ানট ভোরে রমনার বটমূলে ‘এসো, এসো, এসো হে বৈশাখ’—এই আগমনী গানে নতুন বছরকে আবাহন করবে।
এ ছাড়া সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ড্রোন শোসহ নানা আয়োজন করেছে। বাংলা একাডেমিতে চলবে কারুপণ্যের মেলা। সুরের ধারা, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, জাতীয় কবিতা পরিষদ, বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশন, বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যসহ নানা সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান পয়লা বৈশাখে নানা আয়োজন করেছে। তাতে মিলবে বাঙালি লোক পরিবেশনার সুর। বাংলা নববর্ষে সব কারাগার, হাসপাতাল ও শিশু পরিবারে (এতিমখানা) উন্নত মানের ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার পরিবেশন করা হবে।
দিনটি ঘিরে নানা অনুষ্ঠান থাকছে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগেও। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব জেলা, উপজেলায় বৈশাখী র্যালির আয়োজন করা হয়েছে।