স্টাফ রিপোর্টার, সাইফুজ্জামান সুমন:

আজ ২৬ শে ডিসেম্বর রোজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২:০০টায় কয়রা কপোতাক্ষ কলেজ ময়দানে কয়রা জামায়াতে ইসলামীর মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মহাসমাবেশের সভাপতিত্ব করেন মাওঃ মিজানুর রহমান আমীর,কয়রা উপজেলা শাখা ও উক্ত মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন শেখ সাইফুল্লাহ উপজেলা সেক্রেটারি জামায়েত ইসলামী। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জামায়েত ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার,মুহাদ্দিস আব্দুল খালেক কেন্দ্রিয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক, আবুল কালাম আজাদ কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল সহকারী পরিচালক, শাহ মোঃরুহুল কুদ্দুস সাবেক এমপি খুলনা-৬ কয়রা -পাইকগাছা, মাওঃইমরান হুসাইন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমির।উক্ত মহাসমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন মাওলানা মিজানুর রহমান আমীর, কয়রা উপজেলা শাখা, আবু জাফর গিফারী সভাপতি, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা জেলা দক্ষিণ, আরাফাত হোসেন মিলন সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির খুলনা মহানগর, অধ্যক্ষ গাউসুল আজম হাদি সহকারী সেক্রেটারী খুলনা জেলা, অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস সহকারী সেক্রেটারী খুলনা জেলা, অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান সহকারী সেক্রেটারী খুলনা জেলা, মুন্সী মইনুল ইসলাম সহকারী সেক্রেটারী খুলনা জেলা, মুন্সী মিজানুর রহমান কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা সেক্রেটারী,অধ্যক্ষ মাওঃ কবিরুল ইসলাম খুলনা জেলা নায়েবে আমীর,মাওলানা গোলাম সারোয়ার কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও খুলনা জেলা নায়েবে আমীর,বাবু কৃষ্ণ নন্দী সভাপতি হিন্দু শাখা ডুমুরিয়া।উক্ত মহাসমাবেশের প্রধান অতিথির ভাষণে ডাঃশফিকুর রহমান বলেন সাঈদীর সহ ১১ জন জামায়েত নেতা কে বিচারীক আদালতে খুন করেছে খুনী হাসিনা। শত শত নেতাকর্মীকে হত্যা ও গুম করেছে, ৫৭ জন দক্ষ সেনা অফিসার কে হত্যা করেছে, ২ হাজার ছাত্র জনতা হত্যা, ৩০হাজার ছাত্র জনতা আহত হয়েছে। গুম,আয়না ঘর, চাকরি খেয়েছে, জেলে ঢুকিয়েছে, ২০১৪ সালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সরকার গঠন, ২০১৮ সালে দিনের ভোট রাতে ও ২০২৪ সালে নির্বাচনে ভোট কেন্দ্রে ছাগল, কুকুর, ঘুমাচ্ছে। ২৬ লক্ষ কোটি টাকা পাচার,রুপপুর তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫৭ হাজার কোটি টাকা লুট করছে স্বৈরাচারী হাসিনা সরকার। সেইসব নায়ক নায়িকাদের ধরতে হবে, যারা ভারতের কাছে বাংলাদেশকে ইজারা দিয়েছিল, হাসিনা সরকার ভারতের সেবাদাসী ছিলেন।৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গনঅভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের পতনের মাধ্যমে দেশে একটি শান্তি ফিরে এসেছে। বাংলাদেশের মানুষ ১৬ বছর ধরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের কাছে জিম্মি ছিল। ২০২৪ সালে ৫ ই আগস্ট খুনি হাসিনার পতনের মাধ্যমে বাংলার মানুষ আজ খোলামেলা ও মুক্ত বাতাসে স্বাধীনভাবে জীবন-যাপন করতে পারছে।তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামিক শাসনতন্ত্রের বাংলাদেশ যেখানে থাকবে না কোন বৈষম্য। নারী পুরুষ সকলে সমান অধিকার নিয়ে সমাজে বসবাস করবে।