মোঃ হেলাল পালোয়ান কমলনগর লক্ষীপুর প্রতিনিধিঃ
লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার আদম ব্যবসায়ীর প্রতারণার ফাঁদে ৬ যুবক প্রতারিত,
বিদেশে ভালো বেতনে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষীপুর কমলনগরে এক আদম ব্যবসায়ী ৬ যুবকের কাছ থেকে অন্তত ২১ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।আর ঐ প্রতারক হলেন-কমলনগর উপজেলার ৮নং চর কাদিরা ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের সোলেমানের বাড়ির ছাকায়েদ উল্যার ছেলে মোঃ ইলিয়াছ রহমান,এবং তার আপন ভাই মোঃ সোলেমান একই ওয়ার্ডের বাসিন্দা।
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন,কমলনগর উপজেলার চর কাদিরা ইউনিয়নের বাসিন্দা সৌদি প্রবাসী ইলিয়াছ রহমান সৌদি থাকা-খাওয়া ফ্রি ও মাসিক বেতন ৪৫ হাজার টাকা বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে তাদের ৬ জনের কাছ থেকে ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছেন।
এর মধ্যে এক ভুক্তভোগী মোঃ পিন্টু অভিযোগ করেন,সৌদিতে উচ্চ বেতনে ভালো চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গত বছরের ইলিয়াছ ও তার ভাই সোলেমান নগদ ও ব্যাংকের মাধ্যমে প্রায় ৪ লাখ টাকা নেন। দুই মাসের মধ্যে তাকে সৌদি পাঠানোর চুক্তি হয়। এই চুক্তির মাঝামাঝি সময় ভিসা আসে পিন্টুর।ইলিয়াছ তাকে একটা বিমান টিকিটও দেন। এরপর ইলিয়াছ তখন জানান মেডিকেল করতে হবে এবং মেডিকেল করে সৌদি নেওয়া হলো।
পিন্টু মিয়ার স্ত্রী বিবি আয়েশা জানান প্রতারক ইলিয়াস ও তার ভাই বার বার আমাদের বাড়িতে বিদাস যাওয়ার জন্য আমাদের কে লোভনীয় অফার করত আমার স্বামী বিদাস গেলে ভালো বেতনে চাকরি দিবে প্রতি মাসে ৫০থেকে ৬০ হাজার টাকা বেতন পাবে এবং ভিসা বিমানের টিকেট আকামা সব করে দিবে বলার কারণে আমারা সুদের উপর টাকা নিয়ে আমার স্বামীকে বিদাস পাটায় কিন্তু ইলিয়াছ আমার স্বামীসহ আরো চার পাঁচ জন কে সৌদিতে নিয়ে আজ আট নয় মাস এখন পযন্ত আকামা করে দিতে পারিনি এবং কোনো কাজ দিকে পারিনি আমার স্বামী বিদাস থেকে প্রতিদিন ফোন দিয়ে কান্না করে টাকার কারণে খাবার খাইতে পাইনা,এবং আমরা যাদের কাছ থেকে সুদের উপর টাকা নিয়ে বিদাস পাটায়ছি তারা প্রতিদিন আমাদের বাড়িতে এসে টাকার জন্য সাবসৃষ্টি করে, এখন আমরা কোথায় যাবো এখন প্রশাসনের কাছে এটার একটা সুষ্ঠু বিচার চাই
একই অবস্থা চর কাদিরার বাসিন্দা মনির হোসেন তিনি বিদাস থেকে মুঠোফোনে বলেন, তাকে সৌদিতে এনে ক্লিনার কোম্পানিতে কাজ দিবে বলেছে কিন্তু এখন পযন্ত কাজও দেয়নি আকামাও করে দেওয়া হয়নি।
কমলনগরের আরেকজন ভুক্তভোগী মো.ইসমাইল বলেন, ৮ মাস আগে প্রায় ৪ লাখ টাকা দিয়ে ইলিয়াছ এর হাত ধরে সৌদিতে আসছি এখন পযন্ত কোনো কাজ দিতে পারেনি অনেক কষ্টে জীবন কাটাচ্ছি বাড়ি থেকে বাররবার ফোন দেয় টাকার পাটানোর জন্য এখানেতো এসে কোনো কাজ করতে পারিনি বাড়িতে টাকা কি ভাবে দিবো।
উপজেলার ফজুমিয়ার হাটের বাসিন্দা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একই ওয়ার্ডে তিনি বলেন ইলিয়াছ ও তার ভাই সোলেমান এরা ভিসার দালালী করে সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে এরা গ্রামের সহজ-সরল মানুষকে বিভিন্ন লোভ-লালসা দেখিয়ে বিদাস নিয়ে সর্বস্বান্ত করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যায়।
এই বিষয়ে ইলিয়াছ রহমান এর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তবে তার ভাই সোলেমানের সঙ্গে মুঠোফোনে সোমবার বিকেলে যোগাযোগ করা হয়। এবং তিনি বিষয়টি শিকার করে বলেন এই বিষয়ে তার ভাইয়ের সাথে যোগাযোগ করে একটা সমাধান করা হবে।
সোলেমান স্ত্রী বলেন, তার স্বামীর কোনো দোষ নেই। উল্টো বিদেশে যাওয়ার জন্য লোকজন তার কাছে এসে বলত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৬ জনকে সৌদিতে নেওয়ার কথা বলেছিল। সে কয়েকজনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে, এবং সৌদিতে পাটানো হয়েছে।তিনি বলেন আকামা করে দিতে পারেনি এ কারণে সমস্যা হয়ে গেছে। তারপরও সবাইকে আকামা করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। পিন্টু সৌদি যাওয়ার জন্য সোলেমানের মাধ্যমে টাকা দিয়েছে বলে স্বীকার করেন সোলেমান এর স্ত্রী।