1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে, সকল মেহনতি শ্রমিকদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান। - Bikal barta
৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ| শীতকাল| শনিবার| রাত ১:১৮|

আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে, সকল মেহনতি শ্রমিকদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, খান সেলিম রহমান।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় বুধবার, মে ১, ২০২৪,
  • 194 জন দেখেছেন

 

শেখ মোঃ হুমায়ুন কবির, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার।

যতো কিছু উৎপাদন হচ্ছে তাদের পিছনে আছে মেহনতি সকল শ্রমিকদের অক্লান্ত পরিশ্রম। শ্রমিকরা উৎপাদন করে এই বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। শ্রমিকদের নিষ্ঠা, ঘাম ঝড়ানো কঠোর পরিশ্রম ও সহযোগিতা ছাড়া প্রতিটি উন্নয়নই অসম্পূর্ণ থাকে।

 

আজ (১’লা মে ২০২৪) বুধবার, আন্তর্জাতিক মহান মে দিবস উপলক্ষে, সকল মেহনতি শ্রমিকদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। জাতীয় দৈনিক মাতৃজগত পত্রিকা’র সম্পাদক, বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাব (কেন্দ্রীয় কমিটি’র) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রাইম সাংবাদিক সংগঠন (কেন্দ্রীয় কমিটি’র) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মানবতার ফেরিওয়ালা খান সেলিম রহমান।

 

সকল মেহনতি শ্রমিকদের সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন।

 

(১’লা মে ১৮৮৬) সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের যে মার্কেটে ৮:ঘণ্টা শ্রমদিনের দাবীতে আন্দোলন রত শ্রমিকের ওপর গুলি চালানো হলে সে গুলিতে ১১জন শ্রমিক শহীদ হয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র বা কানাডায় এইদিন পালিত হয় না। এ ছাড়া এইদিনে আরও কিছু ঘটনা রয়েছে যা আঞ্চলিক ভাবে হয়তো পালিত হয়।

 

পূর্বে শ্রমিকদের অমানবিক পরিশ্রম করতে হত, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা আর সপ্তাহে ৬ দিন। বিপরীতে মজুরী মিলত নগণ্য, শ্রমিকরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করত, ক্ষেত্রবিশেষে তা দাসবৃত্তির পর্যায়ে পড়ত। ১৮৮৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের একদল শ্রমিক দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজ করার জন্য আন্দোলন শুরু করেন, এবং তাদের এ দাবী কার্যকর করার জন্য তারা সময় বেঁধে দেয় (১’লা মে ১৮৮৬) সালে কিন্তু কারখানা মালিকগণ এ দাবী মেনে নিল না। (৪’ঠা মে ১৮৮৬) সালে সন্ধ্যাবেলা হালকা বৃষ্টির মধ্যে শিকাগোর হে-মার্কেট নামক এক বাণিজ্যিক এলাকায় শ্রমিকগণ মিছিলের উদ্দেশ্যে জড়ো হন। তারা ১৮৭২ সালে কানাডায় অনুষ্ঠিত এক বিশাল শ্রমিক শোভাযাত্রার সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে এটি করেছিলেন। আগস্ট স্পীজ নামে এক নেতা জড়ো হওয়া শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা বলছিলেন। হঠাৎ দূরে দাড়ানো পুলিশ দলের কাছে এক বোমার বিস্ফোরন ঘটে, এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়। পুলিশবাহিনী তৎক্ষনাত শ্রমিকদের উপর অতর্কিতে হামলা শুরু করে যা রায়টের রূপ নেয়। রায়টে ১১ জন শ্রমিক শহীদ হন। পুলিশ হত্যা মামলায় আগস্ট স্পীজ সহ আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়। এক প্রহসনমূলক বিচারের পর (১১’ই নবেম্বর ১৮৮৭) সালে উন্মুক্ত স্থানে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। লুইস লিং নামে একজন একদিন পূর্বেই কারাভ্যন্তরে আত্মহত্যা করেন, অন্যএকজনের পনের বছরের কারাদন্ড হয়। ফাঁসির মঞ্চে আরোহনের পূর্বে আগস্ট স্পীজ বলেছিলেন।

 

খান সেলিম রহমান আরও বলেন, আজ (২৬’শে জুন ১৮৯৩) ইলিনয়ের গভর্ণর অভিযুক্ত আটজনকেই নিরপরাধ বলে ঘোষণা দেন, এবং রায়টের হুকুম প্রদানকারী পুলিশের কমান্ডারকে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। আর অজ্ঞাত সেই বোমা বিস্ফোরণকারীর পরিচয় কখনোই প্রকাশ পায়নি। শেষ পর্যন্ত শ্রমিকদের “দৈনিক আট ঘণ্টা কাজ করার” দাবী অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়। এবং (১’লা মে) বা মে দিবস প্রতিষ্ঠা পায় শ্রমিকদের দাবী আদায়ের দিন হিসেবে, পৃথিবীব্যাপী আজও তা পালিত হয়।

 

শ্রমজীবী মানুষের আন্দোলনের উক্ত গৌরবময় অধ্যায়কে স্মরণ করে ১৯৮০ সাল থেকে প্রতি বছরের (১’লা মে) বিশ্বব্যাপী পালন হয়ে আসছে “মে দিবস” বা আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস”। (১’লা মে) সেই আন্দোলনের কথাই আমাদের স্বরণ করিয়ে দেয়।

 

খান সেলিম রহমান আরও বলেন, (১৪’ই জুলাই ১৮৯০) সালে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যালিষ্ট কংগ্রেসে (১’লা মে) শ্রমিক দিবস হিসেবে ঘোষনা করা হয় এবং তখন থেকে অনেক দেশে দিনটি শ্রমিক শ্রেনী কর্তৃক উদযাপিত হয়ে আসছে। রাশিয়াসহ পরবর্তীকালে আরো কয়েকটি দেশে সমাজতান্ত্রিক বিপ্লব সংঘটিত হবার পর মে দিবস এক বিশেষ তাৎপর্য অর্জন করে। জাতিসংঘে একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক শাখা হিসাবে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (অরগানাইজেশন বা আই.এল.ও) প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে শ্রমিকদের অধিকার সমূহ স্বীকৃতি লাভ করে এবং সকল দেশে শিল্প মালিক ও শ্রমিকদের তা মেনে চলার আহবান জানায়। এভাবে শ্রমিক ও মালিকদের অধিকার সংরক্ষণ করে। বাংলাদেশ (আই.এল.ও) কর্তৃক প্রণীত নীতিমালার স্বাক্ষরকারী একটি দেশ। সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় শ্রমিক শ্রেনীর প্রাধান্যের কারনে অধিকাংশ সমাজতান্ত্রিক দেশে বেশ গুরুত্বও সংকল্প সহকারে মে দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশে মে দিবসে সরকারি ছুটি পালিত হয়। এখানে বেশ উৎসাহ উদ্দীপনার সঙ্গে মে দিবস পালিত হয়।

 

খান সেলিম রহমান আরও বলেন, হঠাৎ যদি পুরো বিশ্বের সব শ্রমিক অদৃশ্য হয়ে যায় তবে বিশ্ব থমকে যাবে। আসুন আমরা সকলেই এটি অনুধাবন করি এবং আসুন শ্রমিকদের সম্মান করি, এই দুর্দান্ত মানুষরাই আমাদের বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে যায়। আজকে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে, সকল মেহনতি শ্রমিকদের জানাই, সশ্রদ্ধ সালাম ও আন্তরিক শুভেচ্ছা।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!