1. jhramjan88385@gmail.com : bbarta :
  2. muhammadalomgir350@gmail.com : Muhammad Aaomgir : Muhammad Aaomgir
  3. abrahim111099@gmail.com : Bikal Barta :
ইচ্ছামাফিক খোলা হয় কাউনিয়ায়  কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবাবঞ্চিত রোগীরা। - Bikal barta
২৮শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ| ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ| গ্রীষ্মকাল| সোমবার| রাত ১০:২১|

ইচ্ছামাফিক খোলা হয় কাউনিয়ায়  কমিউনিটি ক্লিনিক, সেবাবঞ্চিত রোগীরা।

রিপোর্টারের নাম
  • প্রকাশিত সময় শুক্রবার, এপ্রিল ১১, ২০২৫,
  • 42 জন দেখেছেন

 

মন্জুরুল আহসান

স্টাফ রিপোর্টারঃ কাগজে-কলমে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কমিউনিটি ক্লিনিক খোলা থাকার কথা থাকলেও এর বাস্তব চিত্র ভিন্ন।  কাউনিয়ায় কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলে মাত্র দুই থেকে তিন ঘণ্টা। এতে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এছাড়া ২৭ প্রকারের ওষুধ সরবরাহের কথা থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে ৩/৪ প্রকার এতে ক্ষুব্ধ সেবা গ্রহীতারা

কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরদারির অভাবে বেহাল অবস্থায় রয়েছে  বলে অভিযোগ সেবা গ্রহীতারা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে, সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর লক্ষ্যে কমিউনিটি ক্নিনিকগুলোর  স্বাস্থ্যকর্মীরা গ্রাম পর্যায়ে টিকা দান, পরিবার পরিকল্পনা, জন্মনিয়ন্ত্রণ, মা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন পরামর্শ ও সেবা দেওয়ার কথা কিন্তু কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডারদের (CHCP) দায়িত্বে অবহেলা এবং উপজেলা  পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার তদারকির অভাবে   গ্রামের বৃহৎ জনগোষ্ঠী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা গেছে, দূরত্ব বুঝে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ছয় হাজার মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার কথা। ওই সকল ক্লিনিকের মাধ্যমে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা, প্রজনন স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, টিকাদান কর্মসূচি, পুষ্টি, স্বাস্থ্যশিক্ষা, পরামর্শসহ বিভিন্ন সেবা প্রদান করার কথা থাকলেও মানুষ পাচ্ছে না মানসম্মত চিকিৎসাসেবা এমনকি প্রতিটি ক্লিনিকে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি), স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যাণ সহকারী (এফডব্লিউএ) থাকার কথা। তবে বেশির ভাগ ক্লিনিকেই সিএইচসিপিরা সপ্তাহে সর্বোচ্চ দুই দিন আসেন বলে অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা এছাড়া, উপজেলার ২০টি কমিউনিটি ক্লিনিকের বেশির ভাগই বেহাল। সেবা নিতে আসা রোগীদের ২৭ থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ সরবরাহ করার কথা থাকলেও  নামে মাত্র কয়েক  ধরনের ওষুধ সরবরাহ করা হয় অধিকাংশ কমিউনিটি ক্লিনিকে।

কমিউনিটি ক্লিনিকে আসা হাজেরা বেগম বলেন, ‘নামেই ক্লিনিক। প্রয়োজনের সময় সেবা পাওয়া যায় না। বেশিরভাগ সময়ই থাকে বন্ধ। ২৭ ধরনের ওষুধের কথা বলা হলেও দুই এক প্রকার ওষুধ ছাড়া কিছুই পাওয়া যায় না।

রাবেয়া বেগম বলেন, ‘মাঝে মধ্যে ওষুধ নিতে আসি। আসলেই বলে ওষুধ নাই, শেষ হইয়া গেছে। তাহলে ওষুধ দেয় কারে?’

সেবা নিতে আসা স্থানীয়দের অভিযোগ, ওই সকল কমিউনিটি ক্লিনিকের সিএইচসিপিরা সপ্তাহে ৩/৪ দিনের বেশি ক্লিনিকে আসেন না যদিও আসেন সকাল ১১টার মধ্যে এলেও ১ টার মধ্যে ক্লিনিক বন্ধ করে চলে যায়। অনিয়ম ও অযত্ন-অবহেলায় চলছে ওই সকল ক্লিনিকগুলোর কার্যক্রম। বর্তমানে প্রতিটি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো যেন নিজেরাই রুগ্নবস্থায় পড়ে আছে।

এ বিষয়ে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য  প: প: কর্মকর্তা সুজয় সাহা জানান, আপনি বলার আগেও আমি এ রকম অভিযোগ পেয়েছি  মাঝখানে ৩/৪ জনকে কারণ দর্শনের নোটিশ দেওয়া হয়েছিলো ,তারা কারন দর্শনের জবাব দিয়েছিলেন, বিদায় পরবর্তী তাদের বিরুদ্ধে কোন  ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি, রুটিন অনুযায়ী ভিজিটে  আমি যাই আমার ইমোওডিসি যায়, পরবর্তীতে এমন কিছু গাফলতির অভিযোগ আসেনি, যদি কোন অভিযোগ আসে তাহলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার সামাজিক মিডিয়ায় সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ পড়ুন
© All rights reserved © 2024 bikal barta
error: Content is protected !!