স্টাফ রিপোর্টার-
সুনামগঞ্জ জেলার জামালগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে লিভিয়ায় মানবপাচারকারী সদস্য সৈয়দ কছরু মিয়া, সৈয়দ আব্দুছ ছালাম, সৈয়দ সেজু মিয়া, সর্ব পিতা সৈয়দ আব্দুর রহমান, সৈয়দ আলী হোসেন, পিতা সৈয়দ আকবর আলী, সর্ব গ্রাম মাহমুদপুর গংদের খপ্পরে পড়ে সর্বশান্ত হয়ে আহাজারি করছে তিনটি পরিবার।
ইতালীতে পাঠানোর কথা বলে সুনামগঞ্জ পৌরসভার পশ্চিম তেঘরিয়ার বাবুল মিয়ার ছেলে ফয়ছল আহমেদের কাছ থেকে প্রতারক চক্র হাতিয়ে নিয়েছে ৩২ লক্ষ টাকা। জায়গা জমি বিক্রি ও ধার এবং এনজিও ঋন করে টাকা যোগান দিয়ে সর্বশান্ত হয়ে পড়েছে তাদের পরিবার। জানা যায়, প্রায় ৮ - ৯ মাস আগে জনপ্রতি প্রায় ১১ লক্ষ করে টাকা নিয়ে লিভিয়ায় মানবপাচারকারী সদস্য সৈয়দ কছরু মিয়া, সৈয়দ আব্দুছ ছালাম, সৈয়দ সেজু মিয়া, সৈয়দ আলী হোসেন গংরা নানা প্রলোভন ও সুযোগ সুবিধা দেখিয়ে ভাইরোডে খুব কম খরচে এবং কম সময়ে ইতালী নেওয়ার কথা বলে মানবপাচারকারী সদস্যরা । তাদের মিষ্টি কথায় রাজি হয়ে ফয়ছল আহমেদরা সাক্ষীগনের উপস্থিতিতে টাকা লেন - দেন করে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে পাচারকারী চক্রের হাতদরে ইতালীর উদ্দেশ্য পারি দেয়। কিন্তু কথা মত তাদেরকে ইতালী না নিয়ে লিভিয়ায় মানবপাচারকারী সদস্যের হাতে ছেরেদেয়। বর্তমানে লিভিয়ায় কয়েকমাস ধরে তারা জিম্মি অবস্থায় খুব মানবেতর জীবনযাপন করছে। জমিজামা ও ধারদেনা করে বিদেশ যাওয়ার কারনে পাওনাদারদের দেয়া চাপে দিশেহারা হয়ে রয়েছে অসহায় পরিবারের সদস্যরা। সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়ে বেকায়দায় রয়েছেন তারা। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফয়ছল আহমেদ জানান, পাচারকারী সদস্যরা দির্গদিন যাবৎ আমাকে বলেআসছিল আমার ভাই ও বাগনাদের ইতালী পাঠানোর জন্য। বিভিন্ন প্রলোভন ও আমার ভাই ও বাগনাদের ইউরোপের দেশে স্তায়ী নাগড়িক বানানোর প্রতিস্রুতি দেয় ঐ প্রতারক চক্র। তারা আরও বলে তাদের আপন ছোট ভাই ইতালীতে পরিবার নিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে অনেক দিন যাবৎ। তার মাধ্যমে বৈধ সব কাগজপত্র করে দিবে বলে প্রতিস্রুতি দেয়। তারা আরও বলে তারা অনেক মানুষ ইতালী পাঠিয়ে বৈধ কাগজপত্র তৈরি করে দিয়েছেন। কিন্তু এখন আমার ভাইদের লিভিয়ায় মানবপাচারকারী সদস্যদের মাধ্যমে আটকরেখে আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে এবং আমার কাছ থেকে আরও টাকা দাবী করছে। নিরুপায় হয়ে আইনের সাহায্য নিতে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবরে আবেদন দাখিল করেছি। এ ব্যাপারে মানবপাচারকারী সদস্য সৈয়দ কছরু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমি বাইরোডে ইতালীতে মানুষ পাচার করিনা। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। আমি ঢাকায় থাকি আমার বিভিন্ন ব্যবসা আছে আমার অন্যদিকে সময় দেওয়ার সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার এহসান শাহ বলেন, তদন্তপূর্বক দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।
আইন উপদেষ্টা: অ্যাডভোকেট ফাতিমা আক্তার (এ. এ. জি) সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল, এবং আইনী সহকারী সদস্য, সুপ্রিম কোর্ট।আইন উপদেষ্টা:
এ্যাড.মো. রুবেল আল মামুন। (পাবলিক প্রসিকিউটর।) বিশেষ ট্রাইব্যুনাল নং-১৯, ঢাকা।উপদেষ্টা: আলহাজ্ব এম.এ বারেক, সম্পাদক: মোঃ সাইফুল ইসলাম, প্রকাশক: ফকির আমির হোসেন,বার্তা সম্পাদক: আব্দুর রহিম । বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ১০৭ মতিঝিল বা/এ (খান ম্যানশন) লিফট ৮ তলা ঢাকা ১০০০। মোবাঃ ০১৬২৫৫৫৫০১২ ই-মেইল bikalbarta@gmail.com
Copyright @ চাঁদনী মিডিয়া গ্রুপ