চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরোচীফ
কে এম আবুল কাশেম
অদ্য ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ইং বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেস কøাব চত্বরে ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস কমিশনের (আইএইচআরসি)’র উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে র্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আইএইচআরসি বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু। সমাবেশ পরিচালনা করেন চট্টগ্রাম জেলার সমন্বয়ক মো: আমির হোসেন খান ও নুরুল আবছার তৌহিদ। প্রধান অতিথি আইএইচআরসি’র উপদেষ্টা বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, মানবাধিকারের মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে সবার জন্য স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, সমতা, ন্যায় বিচার, সুশাসন, সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের মাটি ও মানুষ জেনেভা কনভেনশনে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অধিকার থেকে বঞ্চিত। এভাবে দেশ চলার জন্য জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিই নাই। লক্ষ লক্ষ শহীদ ও মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দেশ স্বাধীন করেছি। দেশের মানুষ আজ সর্বাগ্রে অধিকার থেকে বঞ্চিত। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোর প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। দেশে সুশাসনের পরিবর্তে ব্রিটিশ শাসিত পুলিশী শাসন চলছে। এসব কর্মকান্ড বন্ধ করুন। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বাকস্বাধীনতা, সমাজ জীবন, রাষ্ট্রীয় জীবন দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। দেশের প্রশাসনে উপরে থেকে নিচে জবাবদিহিতার আওতায় আনতে হবে। বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের উপর অযাচিত গণগ্রেপ্তার, নির্যাতন, হয়রানি, গভীর রাতে আদালত বসিয়ে বিচার বিশ্লেষণ সুষ্ঠু তদন্ত না করে অহি নাযিল যে সাজা দেওয়া হচ্ছে তা দেশের মানুষ বুঝে। সভাপতির বক্তব্যে আইএইচআরসি’র প্রেসিডেন্ট এম এ হাশেম রাজু বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর উপর নির্যাতন, নিপীড়নের চিত্র গণতান্ত্রিক বিশ্বে আজকে দৃশ্যমান। গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে যে সংকট চলমান রয়েছে তাতে দেশের অর্থনীতি ও রাজনীতি দুর্ভোগে নিমজ্জিত। এভাবে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র চলতে দেওয়া যায় না। মানুষের মানবাধিকার, ভোটাধিকার প্রতিটা ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে বন্দি রেখে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে। বন্দিদের সু-চিকিৎসা, ভালোমানের খাওয়া-দাওয়া থেকে আজ বঞ্চিত। দেশের কারাগারগুলোতে ৪০ হাজারের পরিবর্তে প্রায় ৮০ হাজার বন্দি মানুষ বিভিন্ন রোগেশোকে আক্রান্ত হচ্ছে। ফিলিস্তিনীর উপর ইহুদীবাদীদের হামলায় হাসপাতাল, মসজিদ, মাদ্রাসা, ধর্মীয় উপাসনালয়, স্কুল কলেজ ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে চলছে। অবিলম্বে বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে এ হত্যাকান্ড ও যুদ্ধ বন্ধ করুন। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, আইএইচআরসি’র আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক উম্মে আফরোজ শারমিন আক্তার সরোয়ার খান, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা পর্তুগাল বাংলাদেশর প্রেসিডেন্ট মো: ইলিয়াছ সিরাজী। বক্তব্য রাখেন আইএইচআরসি’র দপ্তর সম্পাদক মো. মাঈনউদ্দিন আহমেদ, মো. জানে আলম চট্টগ্রাম উত্তর দক্ষিণে মহানগরের সংগঠকবৃন্দ যথাক্রমে তাহেরা আক্তার, তাহমিনা আক্তার, সৈয়দ মোস্তাফা আলম মাসুম, রবিউল হক শিমুল, মো. ইসমাইল, মো. নাছির উদ্দীন লিটন, জসিম উদ্দিন চৌধুরী মিন্টু, নুর মোহাম্মদ দোহাজারী, মো. হারুন-অর-রশিদ, আবু মোহাম্মদ হোসেন চৌধুরী, মো. শফিকুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, এ এম জেড আলম, এস এম কামরুল ইসলাম, আব্দুর রউফ, মো. সেলিম, সাজ্জাদ হোসেন, আরিফ হোসেন প্রমুখ।