কাউছার আলম বিশেষ প্রতিনিধি:
ইসমাইল হোসেন সোহাগ, এক সময়ের কর্মব্যস্ত মানুষ। কিন্তু জীবনের চাকা হঠাৎ থমকে দাঁড়ায়, যখন তার ক্যান্সার ধরা পড়ে। কঠিন এই রোগের সঙ্গে লড়াই করে জীবনের নতুন বাস্তবতা মেনে নেওয়ার গল্প শেয়ার করেছেন তিনি।
ক্যান্সারের ধাক্কা ও চিকিৎসার কষ্ট
সোহাগ জানান, ক্যান্সার শনাক্ত হওয়ার পর থেকেই শুরু হয় চিকিৎসার দীর্ঘ পথচলা। অসংখ্যবার কেমোথেরাপি ও রেডিও আয়োডিন নিতে হয়েছে তাকে। প্রথম কেমোথেরাপি নেওয়ার কিছুদিন পর চুল ঝরে যেতে শুরু করে। “মাথায় হাত দিতেই এক মুঠো চুল উঠে এলো। তখনই মাথা কামানোর সিদ্ধান্ত নিই,” বলেন তিনি।
কেমোথেরাপির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় নখ কালো হয়ে যায়, খাবার খেতে না পারা, মুখ ও গলায় সংক্রমণ, দুর্বলতা, বমি—এসব ছিল নিত্যসঙ্গী। রেডিও আয়োডিন নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হয়। হাঁটতে কষ্ট হওয়া, মাথা ঘোরা এবং অসহনীয় ব্যথায় উচ্চমাত্রার ব্যথানাশকের প্রয়োজন হয়।
শারীরিক পরিবর্তন ও মানসিক শক্তি
শারীরিক পরিবর্তনগুলো তাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করলেও সোহাগ তার সাহস হারাননি। তিনি বলেন, “বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে চিন্তা করিনি। জীবনের মূল্য এর চেয়ে অনেক বেশি। ক্যান্সারকে বন্ধু বানিয়ে তা মোকাবিলা করার চেষ্টা করছি।”
পরিবার ও ভালোবাসার শক্তি
সোহাগের অসুস্থতা তার পরিবারের স্বাভাবিক জীবনে প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু এই কঠিন সময়ে তিনি অনুভব করেছেন, তাকে ঘিরে সবার ভালোবাসা কত গভীর। তিনি বলেন, “এই ভালোবাসাই আমাকে বেঁচে থাকার শক্তি জোগাচ্ছে।”
সবাইকে কৃতজ্ঞতা ও দোয়ার আবেদন
সোহাগ কৃতজ্ঞচিত্তে সবার কাছে দোয়া চেয়ে বলেন, “মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এবং আপনাদের দোয়ায় সুস্থ হয়ে আবার নতুনভাবে জীবনের স্বাভাবিকতায় ফিরতে চাই।”
ইসমাইল হোসেন সোহাগের এই সংগ্রামী মনোভাব আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তার জন্য আমরা সবাই দোয়া করি যেন তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।