মোঃনুহু ইসলাম স্টাফ রিপোর্টার:
ঈদ প্রতি বছরই আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে। বিশ্বজুড়ে নানান সংকট ও প্রতিকূলতার মাঝেও ঈদ মানুষকে খুশি আর সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ করে। এই দিনে সকল দুঃখ-কষ্ট ভুলে গিয়ে সবাই মিলেমিশে আনন্দ করতে চায়। তবু সমাজের একশ্রেণির মানুষ, বিশেষত গরিব ও অসহায়রা, এই আনন্দ থেকে বঞ্চিত থাকে।
অভাবের তাড়নায় অনেকেই ঈদের দিনেও কাজে ব্যস্ত থাকেন, যেন পরিবারের সদস্যদের মুখে একটু আহার তুলে দিতে পারেন। পথশিশু ও দুঃস্থ পরিবারগুলোর পক্ষে নতুন জামা কেনাও কষ্টসাধ্য হয়ে ওঠে। অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারণে ঈদের আনন্দ তাদের কাছে অধরা রয়ে যায়।
এই বাস্তবতায় সমাজের বিত্তবান ও সচ্ছল মানুষের উচিত দরিদ্র ও অসহায়দের পাশে দাঁড়ানো। অনেকেই বিভিন্নভাবে অর্থ ও খাদ্যের অপচয় করেন, যা এড়িয়ে যদি এই ঈদে অসহায়দের মাঝে বিতরণ করা হয়, তাহলে তারাও ঈদের আনন্দের অংশীদার হতে পারে। নিয়ম অনুযায়ী যাকাত আদায় করা গেলে বহু অসচ্ছল মানুষের দুঃখ-কষ্ট অনেকাংশে লাঘব হতো। কিন্তু সঠিক সমন্বয়ের অভাবে প্রাপ্যদের মাঝে তা যথাযথভাবে বণ্টিত হয় না। সরকার যদি সুসংগঠিত ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে যাকাত সংগ্রহ করে প্রকৃত হকদারদের কাছে পৌঁছে দিতে পারে, তাহলে অসহায়রাও ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারবে।
পবিত্র রমজান হলো দান-সদকার শ্রেষ্ঠ সময়। এই মাসে যত বেশি সাহায্য-সহযোগিতা করা যাবে, ততই কল্যাণ বয়ে আনবে। অভুক্ত ও কষ্টে থাকা মানুষদের মুখে হাসি ফোটানো ঈদের প্রকৃত শিক্ষা। আমাদের সকলের উচিত এমন একটি সমাজ গড়ে তোলা, যেখানে কেউ ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হবে না।
একইসঙ্গে দরিদ্রতার স্থায়ী নিরসনের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা জরুরি। দারিদ্র্য যত কমবে, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করার মানুষ তত বাড়বে। তাই সমাজের সামর্থ্যবানদের আরও উদারতা ও মানবিকতার পরিচয় দিয়ে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন। আসুন, ঈদে ধনী-গরিবের ব্যবধান ভুলে একসঙ্গে উদযাপন করি।
বিশ্বের সকল মুসলিম ও মানবজাতির প্রতি ঈদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। ঈদ মোবারক