সিলেট অফিস::
ঈদের পরদিন থেকে দেশের অন্যতম এ পর্যটন কেন্দ্র জনস্রোতে মুখর হয়ে উঠে। পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ কাটাতে জাফলংয়ে ভিড় করেন পর্যটক ও দর্শনার্থীরা। প্রশানের সর্বোচ্চ সহায়তায় এবার অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে পর্যটক সমাগম ঘটেছে।
লাখো পর্যটকের উপস্থিতির কারণে শনিবার ও রোববার পুরো জাফলং লোকে লোকারন্য হয়ে উঠে। সিলেট তামাবিল মহাসড়কে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটার যানযটের সৃষ্টি হয়। নির্ধারিত পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের উপস্থিতির কারণে নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনায় ভোগান্তিতে পড়েন বিভিন্ন অপারেটরের গ্রাহকরা। ভ্রমণ করতে আসা পর্যটক-দর্শনার্থীদের আগমন ও নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিতকরণে জাফলংসহ উপজেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেয় প্রশাসন।
সবকটি পর্যটন কেন্দ্রে সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে স্বয়ং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.তৌহিদুল ইসলাম এবং সিলেট জেলা এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাহবুবুল ইসলাম।
সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে পর্যটকদের আগমণ প্রস্থানে সহযোগিতা করে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। এছাড়া টুরিস্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রতন শেখের নেতৃত্বে টুরিস্ট পুলিশ প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে হ্যান্ডমাইকে দিনভর পর্যটক দর্শনার্থীদের সেবায় নিয়োজিত ছিলো।
এদিকে, ইভটিজিং এবং পর্যটকদের পঁচা ও বাসি খাবার পরিবেশন করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনসহ বিভিন্ন আইনে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.তৌহিদুল ইসলাম ৪টি মামলায় ৪ জনকে অর্থদণ্ড প্রদান করেন। তার মধ্যে
ইভটিজিংয়ের দায়ে মো.রহিম উদ্দিনকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পর্যটকককে পঁচা-বাসি খাবার পরিবেশন করায় এবং পানীয় জাতীয় খাবারসহ বিভিন্ন খাদ্য পণ্যে প্যাকেটে লিখিত মূল্যের চাইতে বেশি রাখায় ও উপজেলা পর্যটন উন্নয়ন কমিটির নির্ধারিত জোনের বাইরে গিয়ে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান বসিয়ে জনভোগান্তি সৃষ্টি করায় তিনজনকে সাড়ে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়াও ঢাকা থেকে এক দম্পতির সরাসরি অভিযোগের প্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো.মাহবুবুল ইসলাম ট্যুরিস্ট বোট চালককে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও পর্যটকদের সাথে প্রতারণার এক হাজার টাকা জরিমানা করেন।
হোটেল ও দোকান গুলোতে নায্য মূল্য ও সেবা নিশ্চিতকরণে এবং নারীবান্ধব পর্যটন স্পট নিশ্চিতে ইভটিজিং প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় সার্বিক সহযোগিতা করেন গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ও ট্যুরিস্ট পুলিশ।
জাফলংয়ে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে অনেকেই স্থানীয় প্রশাসনসহ ট্যুরিস্ট পুলিশকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।