,,,,,,,,,মোঃ আলমগীর হোসেন স্টাফ রিপোর্টার,,,,,,,,,
পাবনার ঈশ্বরদীতে ছাত্রাবাসের ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে তপু হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত খণ্ড-বিখণ্ড মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুন) বিকেল ৩টার দিকে পৌর শহরের মশুরিয়াপাড়া ‘অরন্য’ ছাত্রাবাসের ৩০৫ নম্বর কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহত তপু মশুরিয়াপাড়া এলাকার রিকশাচালক কাশেম হোসেনের ছেলে। সে স্থানীয় একটি ওয়ার্কশপে (কারখানায়) মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতো।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইতোমধ্যে দুই কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন- শহরের মশুরিয়াপাড়া এলাকার তরিকুল ইসলামের ছেলে আলিফ হোসেন (১৬) ও মনিরুজ্জামান (২২)।
নিহত তপুর চাচাতো ভাই রাজু হোসেন জানান, গত ১৫ জুন তপু নিখোঁজ হয়। এরপর তার মোবাইল নম্বর থেকে তপুর বাবা কাশেম হোসেনকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, তপুকে আটকে রাখা হয়েছে। ১০ হাজার টাকা পাঠালে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। পরে ছেলের প্রাণ বাঁচাতে কাশেম হোসেন ওই নম্বরে ১০ হাজার টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দেন। তবে এরপর থেকে তপুর ফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
শনিবার বিকেল ৩টার দিকে গ্রাম থেকে ঈদ শেষে কয়েকজন ছাত্রাবাসে ফিরেন। পরে তারা ৩০৫ নম্বর কক্ষের সামনে থেকে দুর্গন্ধ বের হওয়ার কথা ছাত্রাবাসের মালিক টিপু হোসনকে ডেকে জানান। এরপর থানায় খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ৩০৫ নম্বর কক্ষে থাকা ট্রাঙ্কের ভেতর থেকে তপু হোসেনের খণ্ডিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুন্সি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ধারণা করা হচ্ছে তপুকে হত্যার পর লাশ কয়েক টুকরা করে ট্রাঙ্কের মধ্যে রেখেছিল দুর্বৃত্তরা। প্রাথমিকভাবে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুই জনকে আটক করা হয়েছে।