পাবনার রিপোর্টার। মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন:
পাবনার ঈশ্বরদী থানার আলোচিত ডাকাতি মামলায় গোয়েন্দা তথ্য ও তথ্য প্রযুক্তির ভিত্তিতে পাঁচ ডাকাত সদস্যকে গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত ইং ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের মোকারমপুর গ্রামের মোঃ বাবুল হোসেন এর বাড়ীতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ৫/৬ জনের একটি ডাকাত দল বাহির দরজার শিকল কেটে এবং শয়ন ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে জখম করে এবং স্ত্রী কন্যাদের জিম্মি করে একটি ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন মূল্য অনুমান-২৮,০০০/- টাকা, ৮ আনা ওজনের একজোড়া স্বর্নের কানের দুল মূল্য অনুমান-৫৬,০০০/- টাকা, আড়াই ভরি ওজনের একজোড়া রুপার নুপুর অনুমান মূল্য-৫,০০০/- টাকা, ১ ভরি ওজনের রুপার বেসলেট অনুমান মূল্য- ২,০০০/- টাকা, এবং ধান বিক্রয়ের নগদ ৫১,৫০০/- (একান্ন হাজার পাঁচশত) টাকাসহ একটি ভিভো ও একটি স্যামফনি বাটন মোবাইল জোরপূর্বক ডাকাতি করে ডাকাত পালিয়ে যায়। পরদিন এ ঘটনায় মামলা দায়ের হলে
পুলিশ সুপার (অতিরিক্ত ডিআইজি পদে পদোন্নতীপ্রাপ্ত) আকবর আলী মুনসী্’র সার্বিক দিক নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মোঃ মাসুদ আলম, বিপিএম এবং ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, বিপ্লব কুমার গোস্বামী এর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ, ঈশ্বরদী থানা ও অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো হাসান বাসির সহ থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ডাকাতিকৃত মালামাল ও ঘটনার সাথে জড়িত ডাকাত দলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে জোর তৎপরতা চালাইতে থাকে।
এক পর্যায়ে তাহারা এই ঘটনায় জড়িত আসামী মোঃ শিশির প্রাং (২২), পিতা-মোঃ মনিরুল ইসলাম (২) শিপন, গ্রাম- মোকারমপুর, থানা- ঈশ্বরদী, জেলা- পাবনা কে সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করে।
জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত অপরাপর আসামী ১. মোঃ মাহাবুল আলী(৩৬), পিতা-মোঃ সেলিম প্রাং, গ্রাম- বড়দীঘশাইল (রয়েজ মোড়ের পাশে), থানা- পাবনা সদর, জেলা- পাবনা, ২. মোঃ হাসিনুর রহমান (৫) হাসু (২৪), পিতা-মোঃ আফসার আলী, গ্রাম- চৌবাড়ীয়া (হারুপাড়া), থানা- ভাঙ্গুরা, জেলা- পাবনা ৩. মোঃ মমিন (৩৩), পিতা-মৃত আফজাল হোসেন, গ্রাম- বামনডাঙ্গা, থানা- আতাইকুলা, জেলা-পাবনা, ৪. মোঃ সবুজ জমাদ্দার (২২), পিতা-মোঃ খোকন জমাদ্দার, গ্রাম- সাদুল্লাপুর (সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পার্শ্বে), থানা- আতাইকুলা, জেলা-পাবনাদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করলে পাবনা জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাহাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
এই সময় ডাকাত দলের নিকট হতে ডাকাতীকৃত ৫,৫০০/- টাকা, ডাকাতী কাজে ব্যবহৃত একটি চাপাতি, দরজা ভাঙ্গার যন্ত্রপাতি এবং বিড়ি উদ্ধার করা হয়। আসামীরা স্বীকার করে যে, “তারা সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য”। তারা পাবনা জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহে ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।