নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ নেত্রকোনা মোহনগঞ্জ উপজোলায় ঋণ আদায় করতে গেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের এক কর্মকর্তাকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। পাঁচ ঘণ্টা আটকে রাখার পর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে।
২০ মার্চ বুধবার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত মঙ্গলবার উপজেলার মাঘান গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই কর্মকর্তার নাম- মোঃ গোলাম নবী (৩৬)। তিনি মোহনগঞ্জ উপজেলার পানুর এলাকায় অবস্থিত ব্র্যাক এরিয়া অফিসে ফিল্ড অফিসার হিসেবে কর্মরত।
অভিযুক্ত ব্যক্তি উপজেলার মাঘান গ্রামের ফজলু মিয়ার ছেলে মোঃ মুন্না মিয়া (৩০) ও তার স্ত্রী পপি আক্তার।
পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায় গত বছরের জুলাই মাসে মোহনগঞ্জ ব্র্যাক অফিস থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নেয় মুন্না মিয়ার স্ত্রী পপি আক্তার। ওই ঋণের মাসিক কিস্তি পাঁচ হাজার ৫০০০ টাকা। প্রথম তিন মাস নানা তালবাহানা করে কিস্তি পরিশোধ করেন। গত পাঁচ মাস যাবৎ কোন কিস্তি দেয়নি। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কিস্তির টাকা আনতে যায় ব্র্যাক কর্মকর্তা গোলাম নবী। এ সময় অশালীন ভাষায় গালাগাল শুরু করে মুন্না ও তার স্ত্রী পপি আক্তার। প্রতিবাদ করলে মারধর করে গোলাম নবীকে আটকে রাখেন তারা। খবর পেয়ে অন্য ব্র্যাক কর্মকর্তারা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে ব্র্যাক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। ভুক্তভোগী ব্র্যাক কর্মকর্তা রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
ভুক্তভোগী গোলাম নবীর সহকর্মী ইসমাইল হোসেন বলে, রাতে খবর পাই সহকর্মী গোলাম নবীকে মারধর করে আটকে রেখেছে মুন্না। খবর পেয়ে অফিস থেকে আমরা কয়েকজন মুন্নার বাড়িতে গিয়ে তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হই। মুন্না হুমকি সুরে বলে- এই এলাকায় এমন কেউ নেই যে আমাকে কিছু করতে পারবে। এক পর্যায়ে তাদের খুন করার হুমকি দেয়। পরে রাত ১১টার দিকে আমরা বিষয়টি থানা পুলিশকে জানাই। দ্রুত পুলিশ গিয়ে গোলাম নবীকে উদ্ধার করে। তবে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় মুন্না।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মোঃ দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলে, খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে ওই ব্র্যাক কর্মকর্তাকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভোগী। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি অবহিত করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা এনজিও বিষয়ক সমন্বয় কমিটির সভাপতি মোসাঃ হাফিজা জেসমিন জানায়, আপনার কাছ থেকেই ঘটনাটি প্রথম জানলাম। এই ঘটনাটি সংশ্লিষ্ট এনজিও থেকে কেউ আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশকে বলব।